টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলে পৌর শহরের সবুজবাগ বাগানবাড়ী প্রধান শাখা ‘ইয়ং ইকোনমিক সোসাইটি’ (ইয়েস) নামক একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাহকদের জমাকৃত আমানতের প্রায় ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমানতকারীরা এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির বাগানবাড়ী শাখার সাবেক হিসাব রক্ষক ও আমানতকারী নিতাই চন্দ্র রায় লিখিত বক্তব্যে বলেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইয়েস- এর নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সংস্থাটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন নেন। ২০২০ সালে সংস্থার কার্যক্রম চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে সংস্থাটি বিভিন্ন স্থানে ৯টি শাখার মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ শুরু করে।
এরপর অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ইয়েস-এর ৯টি শাখার মাধ্যমে প্রায় ১৫ কোটি টাকা আমানত ও সঞ্চয় সংগ্রহ করা হয়। তারমধ্যে শুধুমাত্র শহরের সবুজবাগ বাগানবাড়ীর প্রধান শাখা থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। চলতি বছরের শুরুতে আমানতকারীদের জমানো টাকা ফেরত না দিয়ে সবকটি শাখার কার্যক্রম বন্ধ করে নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন পালিয়েছে। কোনো কোনো গ্রাহক তার দেখা পেলেও টাকা ফেরত দেওয়ার তারিখ দিয়ে আবার পালিয়ে থাকে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, ইয়েস নামক এনজিওতে যাদের চাকুরি হয়েছে তারাও ৩, ৫ ও ৭ লাখ টাকা করে আমানত রেখেছেন। ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত আমানতকারীদের জমাকৃত টাকার বিপরীতে লাভের অংশ পরিশোধ করা হয়েছে।
এরপর আমানতকারীরা জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিলে চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎ সব শাখা বন্ধ করে দিয়ে সংস্থার প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন পালিয়ে গেছেন। জমাকৃত টাকা ফেরত না পাওয়ায় অনেক গ্রাহকের বাড়িতে পারিবারিক কলহ দেখা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জমাকৃত টাকা ফেরত পেতে আমানতকারীরা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের ভুক্তভোগী সালমা পারভীন, নাসরিন সুলতানা, ইয়াছমিন আক্তার স্মৃতি, হাসনা আক্তার, রীতা রাণী সরকার, আমিনা আক্তার, বিথী আক্তার, বিউটি আক্তার, মনোরঞ্জন সরকার, মলিনা বসাক সহ ২৫ জনের বেশি আমানতকারী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ইয়ং ইকোনমিক সোসাইটির (ইয়েস) নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।