এখন থেকে প্রবাসীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা পাবেন: প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত
প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিদেশে কর্মরত প্রবাসীরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে কাজ করেন। দেশের অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। প্রবাসীদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং তাদের ও তাদের পরিবারের কল্যাণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিজয় একাত্তর মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. নজরুল এই মন্তব্য করেন। মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন (পারকস) এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া গমনের পর বৈধভাবে কর্মরত সব বাংলাদেশি শ্রমিকদের এফডব্লিউসিএসের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে পারকসের সঙ্গে নিবন্ধিত হয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পেশাগত নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। এসব সুবিধার মধ্যে রয়েছে মেডিকেল বেনিফিট, অস্থায়ী ও স্থায়ী অক্ষমতা বেনিফিট, নির্ভরশীলদের জন্য বেনিফিট, ফার্নাল বেনিফিট, রেবেলিটেশন সুবিধা, এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান এবং পারকসের পক্ষ থেকে গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার দাতো শ্রী ড. মোহাম্মদ আজমান বিন মোহাম্মদ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার) শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর, প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টার একান্ত সচিব সারোয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।