দুদক পুনর্গঠনের দাবি দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের
দুদক পুনর্গঠনের দাবি দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিশ্রুত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুনগঠনে বর্তমান কমিশনের কাছে পাঁচটি দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশেন (ডুসা)।
বুধবার (৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়। দুদকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো হলো–
১. বিধি বর্হিভূতভাবে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া ও বর্তমানে কর্মরত সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের নিজ নিজ সংস্থায় ফেরত নিতে হবে।
২. সুপ্রিম কোর্টের আদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২০ক ধারায় উল্লেখিত ‘তদন্তের সময়সীমাকে বাধ্যকর নয়, যা নির্দেশক এবং এরূপ সময়সীমা লঙ্ঘনের দায়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে গৃহীত আইনগত ব্যবস্থা বাতিল বা দুর্বল হয় না বলে উল্লেখ করায় ওই সময়সীমা বিবেচনায়’ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহীত সব প্রশাসনিক ব্যবস্থা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার করা।
৩. প্রেষণে কর্মরত কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই কমিটি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে সৎ ও যোগ্য কর্মকর্তা দিয়ে পুর্নগঠন করতে হবে।
৪. বৈষম্যমূলক ও বিধিবর্হিভূতভাবে কমিশনের যোগ্য পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের সব শূন্যপদে আগামী সাত দিনের মধ্যে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. অবৈধভাবে নির্দিষ্ট গোষ্টি বা ব্যক্তিকে আইনের আওতার বাইরে রাখার স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরিচ্যুত পরিচালক শরীফ উদ্দিনসহ অন্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।