বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আজ সব রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ

ফাইল ছবি

চলমান কারফিউয়ের মধ্যে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও রোববার (৪ আগস্ট) সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, অনিবার্য কারণ বশত রোববার (৪ আগস্ট) সব ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। এর আগে গত ১৮ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ ছিল যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল। যদিও এর মধ্যে বিজিবি ও পুলিশের পাহারায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করেছে। ১ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে।

এদিকে এক দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম শহিদ মিনারে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

৪ দিনের গ্যাস সংকটে পড়তে যাচ্ছে সারাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চার দিনের গ্যাস সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মহেশখালীতে অবস্থিত এলএনজি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ সময় অপর একটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫৫০-৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। তবে তা দেশের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হবে না।

এর আগে ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত একই কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সারা দেশে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে যাবে এবং বাসাবাড়ি, শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

এ পরিস্থিতিতে পেট্রোবাংলা একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গ্যাস ব্যবহারকারীদের এই সময় সচেতনভাবে গ্যাস ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির কারণে টিসিবির ৩৭ লাখ কার্ড বাতিল : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবিঃ সংগৃহীত

বিগত সময়ে এনআইডি জালিয়াতি করে একই পরিবারের একাধিক টিসিবি কার্ড করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর এমন ৩৭ লাখ কার্ড বাতিল হওয়ার কারণে আরও ৩৭ লাখ পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারী) তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের কথা বলা হলেও এখন কেন ৬৩ লাখ পরিবারকে স্মার্ট কার্ডের আওতায় পণ্য দেওয়া হচ্ছে?

এ প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা শেখ বশির বলেন, এক কোটি কার্ডের মধ্যে প্রচুর দুর্নীতি ছিল। একই পরিবারে একাধিক কার্ড ছিল। এনআইডি ব্যবহার করে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে এই কাজটা করেছে। এক কোটির মধ্যে যে ৩৭ লাখ কার্ড নেই, এর মধ্যে একজনও বাদ পড়েনি।

যারা ছিল, যারা সঠিক প্রাপক, তাদের কাছেই পণ্য পাঠানো হচ্ছে। যারা বেঠিক ছিল, ডুপ্লিকেশন ছিল; তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সংখ্যায় একটি পরিবারকেও কমানো হয়নি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা আরও ৩৭ লাখ কার্ড বাড়াতে চাই। ক্রয় এবং বিপণনে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে যদি এটা এক কোটি থেকেও বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়- আমরা সেটাও করব।

Header Ad
Header Ad

একাই ৫৭ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন সালমান এফ রহমান  

শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সালমান এফ রহমান। ছবিঃ সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপক দুর্নীতি আর অনিয়ম হয়েছে দেশের বিভিন্ন খাতে। আওয়ামী লুটতরাজকারীদের কালো থাবা পড়েছে সবচেয়ে বেশি দেশের ব্যাংকিং খাতে। জানা গেছে, গত দেড় দশকে ব্যাংক ও আর্থিক খাত থেকে একাই ৫৭ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সালমান এফ রহমান। তিনি নামে-বেনামে ব্যাংকসহ ১৮৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে এ বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিববার (৯ জানুয়ারি) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

পত্রিকাটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, কারসাজি এবং প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তাকে ‘আর্থিক খাতের মাফিয়া’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তার এই কর্মকাণ্ডের কারণে ‘দরবেশ’ উপাধিটি অনেকের কাছে বিদ্রূপাত্মক।

প্রসঙ্গত, সালমান এফ রহমানকে ‘দরবেশ’ বলা হয় তার লম্বা দাড়ি ও সাদা পোশাকের কারণে।

পত্রিকাটি জানায় তাদের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ‘দরবেশ’ সালমান এফ রহমান ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং পুঁজিবাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংক থেকে ঋণের নামে নেওয়া এসব অর্থের মধ্যে ২৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা বর্তমানে খেলাপি হয়ে পড়েছে। শুধু তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানই নয়, বেনামি কোম্পানি খুলে সালমান বিভিন্ন ব্যাংককে খালি করেছেন।

আর্থিক খাতের এই ‘দরবেশ’ আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। সালমানের ক্ষমতার প্রভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে, যেখানে তিনি ২৪ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। সোনালী, আইএফআইসি, রূপালী, ন্যাশনাল ও এবি ব্যাংক থেকে তিনি আরও ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঋণের নামে এসব ব্যাংক লুটে সালমান আর্থিক খাতে বড় ধরনের ক্ষতি করেছেন, তবে হাসিনা সরকারের সংশ্লিষ্টরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এ বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী বলেছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ব্যাংক-বিমাসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক যোগসাজশে লুট করা হয়। সালমান শুধুমাত্র ব্যাংক লুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, তিনি দেশের শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনকে ব্যবহার করেছেন। এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও সালমানের ব্যাপক প্রভাব ছিল। সালমান যাকে যেই পদে চেয়েছেন, সেখানেই বসিয়েছেন এবং নিজের স্বার্থে সরিয়েও দিয়েছেন।

মোস্তফা কে মুজেরী আরও বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় লুটপাটের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে এবং সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংক খাতে গুণগত পরিবর্তন হয়নি।

সালমানের প্রভাবে ধসনামা জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মজিবর রহমান বলেন, ঋণ আদায়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে। রিসিভার আছেন, তিনিও টাইম টু টাইম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন। ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করি ভালো কিছু হবে।’

বেক্সিমকোর ঋণের বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শওকত আলী খান বলেন, ‘বেক্সিমকোর কয়েকটি ইউনিটের ঋণ রয়েছে। বড় একটি অংশ খেলাপি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী কোনো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে বাকিগুলো ঋণ পায় না। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৪ দিনের গ্যাস সংকটে পড়তে যাচ্ছে সারাদেশ
দুর্নীতির কারণে টিসিবির ৩৭ লাখ কার্ড বাতিল : বাণিজ্য উপদেষ্টা
একাই ৫৭ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন সালমান এফ রহমান  
সোহানের তাণ্ডবে বরিশালকে হারিয়ে রংপুরের টানা ছয় জয়
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
দাবি আদায়ে রাজপথ দখল কোনো সমাধান নয়: ডিএমপি কমিশনার  
বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্কবার্তা: ভুঁইফোড় সংগঠন ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে নির্দেশনা
পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে দুদকের ১০টি দল গঠন
নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের ২ মামলা
নির্বাচনে কারও পক্ষে কাজ করলে অসুবিধা হবে: সিইসি  
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিধ্বংসী দাবানলে হলিউড তারকাদের বাড়ি পুড়ে ছাই
শরীয়তপুরের জাজিরা থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার
১ জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার বাড়ছে
পিটার হাসের উত্তরসূরি হিসেবে ঢাকায় আসছেন ট্রেসি জ্যাকবসন
ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানানোর দাবি সারজিসের? যা জানা গেল
নওগাঁ সীমান্তে উত্তেজনা, বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক শুক্রবার
ফের এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন সাকিব
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে এসে বিজিবির বাধায় পিছু হটল বিএসএফ
সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে, বিয়ে করলেই সংসার হয় না: জয়া