শাহবাগে পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে : ডিএমপি
ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে আসেন তারা।
এদিকে আগের থেকেই শাহবাগ মোড়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সাঁজোয়াযান ও জলকামান নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে এলে সাঁজোয়াযান ও জলকামান পিছিয়ে নেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশনার পর ডিএমপির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় না নামার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
তারপরও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু পালন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ সেখানে (শাহবাগে) ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছিলাম রাস্তায় যেন না নামেন। গতকাল আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের অবকাশ নেই। আশা করেছিলাম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না। কিন্তু তারা নেমে পড়লেন।
মহিদ বলেন, পুলিশের অবস্থান সেখানে রয়েছে। পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, আজকেই এটা শেষ হবে। ফার্দার কিছু করবে না। পুলিশ চায় না শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু হোক। তাদেরও বোঝা উচিত। তাদেরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আশা করব তাদের বোধোদয় হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে পুলিশ তাদের বাধা দেয়, পরে সরে যায়। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বর্তমানে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দু-দিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার একদিন বিরতি দিয়ে গতকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি চলে।