জিম্মি ২৩ নাবিককে উদ্ধারে লাগতে পারে দীর্ঘ সময়
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার দুপুরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে, যা সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায়। জাহাজটিতে আটকে পড়েছেন ২৩ জন নাবিক। সকলের পরিবারেই নেমে এসেছে শোক। কবে ফিরবেন তাদের প্রিয়জন সেই আশায় বুক বেধেছেন।
এদিকে সাবেক মেরিনার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক নিজের এক অভিজ্ঞতার আলোকে জানান, সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও ২৩ নাবিককে সব প্রক্রিয়া শেষ করে উদ্ধার করতে প্রায় এক থেকে চারমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
নিজের এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সাবেক মেরিনার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সাধারণত নিজেদের সমুদ্র সীমায় ছোট ছোট স্পিডবোটে ব্যবহার করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জলদস্যুরা। তবে আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এসে ছিনতাই করে এই জাহাজটিকে।
এখন বড় প্রশ্ন জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে কতদিন লাগবে? সাবেক এই মেরিনার বলছেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের ছাড়া পেতে লাগতে পারে ১ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত। কেননা, মুক্তিপণ দাবির পর তা নিয়ে দরকষাকষিসহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে এই কবির গ্রুপেরই জাহাজ জাহান মণি মুক্তি পেতে লেগেছিল ১০০ দিন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফির্সাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, নানা প্রক্রিয়া শেষ করে সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্ত করতে বেশ সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সমঝোতাই মুক্তির মূল উপায়।
সাবেক মেরিনারদের মতে, মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে কোন নাবিকেরই ক্ষতি করে না জলদস্যুরা। তাই, এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও যেহেতু মালিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু করতে আগ্রহী, তাই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।