যে কোন মূল্যে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে: সিইসি
ছবি: সংগৃহীত
খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ি জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, যে কোন মূল্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।
কোনরকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, পরিবেশটা যেন অনুকূল থাকে, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে এসে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার সকালে যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অডিটোরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সেখানে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ ১৩ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের ২৯০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সিইসি।
এসময় তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ভেতরে আমরা থাকবো না, প্রিজাইডিং অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা থাকবেন। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যেমন কোনরকম অনিয়ম, কারচুপি, দখলদারিত্ব, কোনোরকম পেশীশক্তির প্রয়োগ না হয়, সে ব্যাপারে তাদেরকে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার বিষয়টি যেন নিশ্চিত করা হয়, সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারদের কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসারদেরই মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে। উনারাই নির্বাচন কমিশন, উনারাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সমস্ত ক্ষমতা উনাদের ডেলিগেট করে দেওয়া হয়েছে। তাদের এ দায়িত্ব নিতে হবে, এ দায়িত্ব বহণ করতে হবে এবং সুচারু ও সুষ্ঠুভাবে এ দায়িত্ব পরিসমাপ্ত করতে হবে- এ বার্তাও তাদের দেওয়া হয়েছে’।
খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এসব ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে। যদি দায় নিরূপণ করতে পারি তাহলে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। তিনি বলেন, ‘দু’চারটা এরকম ঘটনা হয়তো ঘটবে, ব্যাপকভাবে যাতে এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিধিবিধান অনুসরণ করে কঠোরভাবে তা প্রতিহত করবেন। পরে বিকেলে একই স্থানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যশোর জেলার ৬টি আসনের ৩২ জন প্রার্থীর সাথে মতবিনিময় করেন।