সাদিক আবদুল্লাহ’র যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের তথ্য চাইলো নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং তার স্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও সম্পদের তথ্য দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা নিতে বলেছে সংস্থাটি।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনাটি ইসির আইন শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা পাঠান।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ হলফনামায় তার নিজের ও স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক। এ অভিযোগ করে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত।
এরপর ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহায়তায় সাদিক আবদুল্লাহ ও তার স্ত্রীর দ্বৈত নাগরিকত্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত তাদের সম্পদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানোর জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন। পরেরদিন ১৫ ডিসেম্বর আপিলের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক।
অপরদিকে ৯ ডিসেম্বর জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আপিল করেন সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি জাহিদ ফারুকের বিরুদ্ধে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনেন। তার আবেদনের শুনানি হবে ১৫ ডিসেম্বর।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এরমধ্যে বাছাইয়ের সময় ৭৩১টি মনোনয়ন বাতিল হয়। যা মোট দাখিল করা মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে এক হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র। যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ। আর বাতিলের খাতায় অধিকাংশই স্বতন্ত্র, ৪২৩ জন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়ে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি করে আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।