তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
ছবি সংগৃহিত
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। যখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার নিজের দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, “যখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে, তখন থেকে এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কোনো ‘সুযোগ নেই’ মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, “বিএনপি-জামায়াত প্রতিবার নির্বাচন নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।”
ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরুর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেজন্য নভেম্বরের মাঝামাাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
কিন্তু বিরোধী দলে থাকা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন হবে।
সংবিধানে এখন নির্বাচনকালীন সরকার বলে কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। ২০১১ সালের ১০ মে সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থানে অসাংবিধানিক ঘোষণার পর ওই বছরের ৩০ জুন সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে সংসদ।
তত্ত্বাবধায়কের অধীনে টানা তিনটি নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন হয় দলীয় সরকারের অধীনে।
সেই নির্বাচনের আগে গঠন করা হয় নির্বাচনকালীন সরকার। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলেও সেই মন্ত্রিসভার আকার হয় ছোট। ভোটের পর নতুন সরকারের শপথ নেওয়ার আগ পর্যন্ত সেই সরকার নীতি নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তারা কেবল রুটিন কাজ করে যায়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা।