আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছে উপকূলবাসী
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রভাব কমেছে কক্সবাজরের উপকূলে। সন্ধ্যা নাগাদ এটি কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে চলে যাওয়ার পর আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন উপকূলের লোকজন।
সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ ও কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা উপকূলের লোকজন রবিবার (১৪ মে) বিকাল পাঁচটা থেকে আশ্রয়কেন্দ্র ত্যাগ করতে শুরু করেন।
এ দিন সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের পৌর প্রিপ্যারেটরি উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে খবর নিয়ে জানা যায়, আশ্রয় নেওয়া লোকজন দল বেঁধে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
সেখানকার এক বাসিন্দারা বলেন, নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শনিবার সকালেই সপরিবারে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছি। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ অতিক্রম করে মিয়ানমারে চলে গেছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তাই এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কক্সবাজার জেলায় ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ অতিক্রম করার পর লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাসায় চলে যাচ্ছেন। তাদের অধিকাংশই নিজ উদ্যোগে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। যারা যেতে পারছেন না তাদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এর আগে মোকার প্রভাব থেকে জানমাল রক্ষায় কক্সবাজার উপকূল এলাকার লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে এসেছিলেন শনিবার রাত পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামু ও কক্সবাজার সদর উপজেলাতে ৬৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। উপকূল ও দুর্গত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তত ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করেছেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা প্রায় পাঁচ লাখ ছয় হাজার।
কেএম/আরএ/