ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: রাষ্ট্রপতি
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই পারস্পরিক শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত না করি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, বাসযোগ্য সুরক্ষিত পৃথিবী রেখে যেতে পারব না।'
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গভবন থেকে যুক্ত হন তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, 'করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের ভেতরের দুর্বলতাগুলো দেখিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে বিশ্ব অসংখ্য চ্যালেঞ্জ ও সংঘাতের মুখোমুখি। আমাদের অবশ্যই ধর্মীয় অন্ধ বিশ্বাস, বর্ণ এবং জাতিগত বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ বিশ্বাস করে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোত্তম পন্থা। এমনিট উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংঘাতের সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচারের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই নীতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি।’
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার অর্জনের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'ওটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তি। যার ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন।'
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই সম্মেলন ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ গৃহীত হবে। সমাপনী পর্বে সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সভাপতি ও সায়মা ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে ৪৬ সদস্যের আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়। গত মার্চ মাসে এই সম্মেলনের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ভারতের সাবেক মন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়ার সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার, বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক ও জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ারুল করিম চৌধুরী, মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের ভিডিওবার্তা দেখানো হয়।
আরইউ/এএন