‘বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে শঙ্কিত নই’: পরিকল্পনামন্ত্রী
ব্র্যাক সেন্টারে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী
বাংলাদেশে নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। এই সংখ্যা নিয়ে সরকার শঙ্কিত নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ‘স্কিলস গ্যাপ অ্যান্ড ইয়থ ইমপ্লয়মেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, বিডি জবসের নির্বাহী পরিচালক মাসরুর ফাহিম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সালমা বেগমসহ আরও অনেকে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দ ইউসুফ সাদাত।
কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স পাস করেও এর বেসিক জিনিস জানে না। তাহলে এত বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশে বিশ্ববিদ্যালয় বেড়েছে এতে দেশের প্রচুর লাভ। শিক্ষার হার বাড়ছে। গ্রোথ হচ্ছে। ৭৫ শতাংশ শিক্ষার হার দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এটার দরকার আছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মত। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, শিক্ষার কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। তার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সংখ্যাটা বড় ফ্যাক্টর নয়। শিক্ষার মান বাড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে সাইন্সে শিক্ষার্থী ছিল ২ শতাংশ। তা বেড়ে বর্তমানে ১৮ থেকে ১৯ শতাংশে পৌঁছে গেছে। অবশ্যই আমাদের শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটার বাজার আছে। ডিমান্ডও আছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে ১৫১টি হয়েছে। তাই আমি বলব তার দরকার আছে। এতে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
সিভি যাচাই করতে গিয়ে ভালোদের হারিয়ে ফেলি। অনেকে সরকারি চাকরির দিকে ঝুঁকছে বেশি বেতন ও মর্যাদার দিক বিবেচনা করে। এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, বেতন বৈষম্য কমাতে সরকার পে-স্কেল চালু করেছে। কারণ সরকারের সর্বোচ্চ বড় কর্মকর্তা শেষ বয়সে ৪০ হাজার টাকা বেতন পেতেন।
এমপি শিরিন আক্তার বলেন, আমরা ডিজিটাল বিশ্বে ঢুকে গেছি। উন্নয়নশীল দেশে পা দিয়েছি। এই পা যখন দিয়েছি অনেক লাভ আছে। শিক্ষার মূল মানদণ্ড প্রাইমারিতে হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকারের নজরদারি থাকতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, শিক্ষা ও দক্ষতার সমন্বয় করতে হবে। এ কাজে কর্মচারী ও নিয়োগদাতাদের দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলেও গ্যাপ কমে যাবে।
জেডএ/টিটি