বিশ্ব পানি দিবস বুধবার
আগামীকাল বুধবার (২২ মার্চ) বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ‘বিশ্ব পানি দিবস’ বাংলাদেশেও দিবস পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য-‘ভূগর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব।’
এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাষ্ট্রপ্রতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও সুপেয় পানি মানুষসহ বিশ্বের সকল প্রাণিকুলের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পানি ও স্যানিটেশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিত করা’ বৈশ্বিক পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করার প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, উৎস থেকে সমুদ্র অবধি পানির অবারিত প্রবাহ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই পানির সুষম প্রাপ্যতা ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশে মনুষ্যসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক নানাবিধ কারণে পানীয় জল ও স্যানিটেশনের সংকট বিদ্যমান। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নদী ও খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
এ ছাড়া, নদীর তীর সংরক্ষণ, পানি অবকাঠামো সংস্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা চলমান।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের জলাধারসমূহে বছর জুড়ে পানি সংরক্ষণ পরিকল্পনা এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
রাষ্ট্রপতি প্রাকৃতিক সম্পদ পানির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, কৃষিকাজ, শিল্পখাত বিবেচনায় রেখে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানি চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের সরকার পানি অবকাঠামো সংস্কার, নদীর তীর সংরক্ষণ, নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে ড্রেজিং, খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে নদীর তীরবর্তী ভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নদীমাতৃক বাংলাদেশের জনগণ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিশ্ব পানি দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য পানির সঠিক ব্যবহার ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।
এমএমএ/