বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে দেশব্যাপী নানা আয়োজন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সব স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করবে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। এ উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে আওয়ামী লীগ। আগামী রবিবার (১৯ মার্চ) বিকাল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ ছাড়াও শুক্রবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এসময় সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে। এদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠান সূচিতে রয়েছে শিশু প্রতিনিধির বক্তব্য, বঙ্গবন্ধু ও শিশু অধিকারবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কাব্যনৃত্যগীতি আলেখ্যানুষ্ঠান এবং বই মেলা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান এবং অসচ্ছল মেধাবী শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান বিতরণ করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ স্ব স্ব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ও পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও এবং এফএম রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রয়েছে শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হবে। দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এমএইচ/এসএন
