বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫ | ৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ড. ইউনূসের বিষয়টি খয়রাত করে বিজ্ঞাপন: শেখ হাসিনা

ড. ইউনূসকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা কোনো বিবৃতি নয় এটা একটা বিজ্ঞাপন। আমাদের দেশের এক ব্যক্তি খয়রাত করে এই বিবৃতি দিয়েছেন।’

সোমবার (১৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন রমজান হচ্ছে কৃচ্ছ্রতাসাধনের মাস। রমজানে যা যা প্রয়োজন তার সবগুলোই আমরা ক্রয় করে মজুদ করে রেখেছি।’

তিনি বলেন. ‘আমরা দেখছি, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফিতি। অনেক দেশে তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবে না, কিংবা চারটার বেশি ডিম কিনতে পারবে না। সেই অবস্থায় আমরা যাইনি।’

গণভবনের কৃষি খামার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি নিজে যেটা করি সেটাই জনগণকে করতে বলি। এমনকি আমাদের গ্রামের বাড়িতে কৃষি জমিতে চাষ করতে ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

আপনারা জানেন যে, উত্তরবঙ্গে সবসময় মঙ্গা লেগে থাকতো। মানুষের শরীর কঙ্কালের মতো থাকত। গায়ে কাপড় লেগে থাকত। সেখানে আমি দলের নেতাদের পাঠিয়েছিলাম। আজকে সকালে স্বপন রিপোর্ট করল গঙ্গাছড়ায় এখন আর সেই অবস্থায় নেই। মানুষ কৃষি ক্ষেত করছে। গাইবান্দায়ও পাঠিয়েছি। এখন কুড়িগ্রামেও যেতে বলেছি। সব দেখে আমাকে রিপোর্ট করতে বলেছি। সেভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছি।

আমাদের সামনে রমজান। আগে আমাদের পেঁয়াজ আমদানি করতাম। এখন আমরা পেঁয়াজ উৎপাদন করি। গণভবনে ইতিমধ্যে আমরা ৪৬ মণ পেঁয়াজ উত্তোলন করেছি। চালের কোনো অভাব নেই।

আমরা রমজান মাস মানুষকে স্বল্প মূল্যে তেল, ডাল কিনতে টিসিবির মাধ্যমে দিচ্ছি। ৪৯ লাখ মানুষকে আমরা স্বল্প মূল্যে চাল দিয়ে দিচ্ছি। আর যারা একেবারেই কর্মক্ষম নয়, তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে মাসে ৩০ কেজি চাল দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা নিজেদের ঘরে যা পারেন উৎপাদন করেন। তাহলে আর কোনো সংকট থাকবে না। তবে আমাদের মজুতদার আছে। তার উপর আমাদের বিরোধী দল তো আছেই।

খাদ্যপণ্যের দাম যদি আমি বেশি কমাই। তাহলে যারা উৎপাদন করবে তারা উৎসাহ হারাবে। আবার বেশি দাম দিলে ভোক্তাদের কষ্ট হবে। যাতে কারো কোনো সমস্যা না হয় সেটা বিবেচনায় নিয়েই সবকিছু করতে হয়, যোগ করেন তিনি।

সবাইকে বলব একটু সুষম খাদ্য দেওয়া। আর এগুলো উৎপাদন করা খুব কঠিন না। খাওয়ার অভ্যাসটাও আমাদের আস্তে আস্তে বদলানো উচিত। আমি সকালে টমেটো খাই। টমেটোতে অনেক ভিটামিন আছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কখনো সামরিক সরকার, কখনো মিলিটারি ব্যাক সরকার। ফলে শ্যাডো সরকারের সুযোগ হয়নি। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন সব সময় পরিকল্পনা ছিল। পরিকল্পনা ছিল বলেই আমরা যখনই সরকারে এসেছি তখনই আমরা সেগুলো করেছি। আমরা হুটহাট কিছু করি না। আমরা আগে বিবেচনা করি কোনটা জনগণের উপকারে আসবে। সেটা বিবেচনায় নিয়েই আমরা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করি। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। মানুষেকে সেলাই মেশিন দিয়েছি। কাজে লাগিয়েছি। ট্রেনিং দিচ্ছি। আমাদের জনগণকে দক্ষ জনগোষ্ঠী করতে চাচ্ছি।

আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সাল। তারই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কিন্তু প্রত্যেকটা কাজ একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেই কাজ করি।

২১০০ সালের বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান। সেটাও আমরা করে দিয়েছি। আমরা উপকূলীয় অঞ্চলে ঘরবাড়ি করে দিয়েছি। সাইক্লোন শেল্টার করে দিয়েছি। এমনভাবে ঘর করে দিয়েছি। যাতে তারা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় সবকিছু নিয়ে যেতে পারে।

সমগ্র বাংলাদেশ একটা যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মধ্যে চলে এসেছে। আমরা সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বিএনপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্যাডো সরকার কে করবে। যে দলের দুই নেতাই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বিএনপি তো তার নিজের গঠনতন্ত্র নিজেই ভঙ্গ করেছে। গঠনতন্ত্রে সাজাপ্রাপ্ত আসামি নেতা হতে পারবে না। কিন্তু তাদের দুই নেতাই সাজাপ্রাপ্ত।

তিনি বলেন, বগুড়ায় আজ খোঁজ নিলাম। সেখানেও গ্রামের মানুষ আমার দল করে না, তারাও বলছে দেশ ভালো চলছে। গ্রামের সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা এই সরকারই থাকা উচিত। এখন জনগণ দিলে আছি না দিলে নাই।

আওয়ামী লীগে নতুন নেতা আসছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৭ মার্চ আমি দেশে ছিলাম না। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে রাদওয়ান মুজিব পুস্পস্তবক অর্পণ করেছেন। আমার দুই বোনের ৫ ছেলে মেয়ে। তারা দেশের জন্য আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অনেকগুলো পক্ষ আছে। দেশের ভেতরে ও দেশের বাইরে। আমি আগেই বলেছি, নির্বাচন করার জন্য আমরা কি কি করেছি সেটা বলেছি। আমরা নির্বাচন নির্বিঘ্ন করার জন্য সব সংস্কার করেছি।

নির্বাচন যে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হতে পারে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আর কি প্রমাণ করতে হবে। আমরা যাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছি তিনিও একজন পোড়খাওয়া মানুষ। তিনি জেল খেটেছেন। জুডিশিয়াল সার্ভিসে কাজ করেছেন। বিএনপির আমলে চাকরি হারিয়েছেন।

আমরা তো আইয়ুব, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদের সামরিক সরকার, আর্মি ব্যাক সরকার, আর্মির স্ত্রীর সরকার দেখেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এটা বলতে পারেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিয়েছি।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দেশের নেতৃত্ব যার কাছেই যাক, পরিবর্তিত ব্যবস্থা প্রয়োজন: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে এখনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, "ফ্যাসিবাদী সিস্টেম পাল্টাতে হবে। বাংলাদেশের নেতৃত্ব আগামীতে যার হাতেই যাক না কেন, একটি পরিবর্তিত ব্যবস্থা প্রয়োজন।"

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইফতার মাহফিলটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, "অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার মতো এবং দেশের মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো রাজনৈতিক দল বা পক্ষ বাংলাদেশে রয়েছে। ৫ আগস্ট যে শক্তিকে বাংলাদেশের মানুষ পরাজিত করেছে, মুজিববাদ ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছে, ভবিষ্যতের রাজনীতি ও নির্বাচনে সেই মুজিববাদী রাজনীতির কোনো স্থান হবে না।"

তিনি আরও বলেন, "একটি বিচার প্রক্রিয়া চলমান আছে। সেই বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না। আমি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই যেন আমরা এই বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমতে আসতে পারি। আমরা সবসময় এমন এক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছি, যেখানে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, নীতিগত পার্থক্য থাকবে, সমালোচনাও থাকবে। কিন্তু সবাই একসাথে বসে দেশের স্বার্থে আলোচনা করতে পারবে।"

নাহিদ ইসলাম উল্লেখ করেন, "যখন রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে বসার মত অবস্থা থাকে না এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভিতরে অনৈক্য সৃষ্টি হয়, তখন অরাজনৈতিক শক্তিগুলো সুযোগের সন্ধানে থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা বিভিন্ন সময়ে এ রকম ঘটনা ঘটতে দেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ঐক্য বজায় রাখা প্রয়োজন।"

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল অব. অলি আহমদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্য নেতা। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওরার্কার্স পার্টির সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী এবং অন্যান্য নেতারা।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, রুহুল কবির রিজভী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ড. মাহদী আমিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

Header Ad
Header Ad

এখনো গণতন্ত্রের দিশা খুঁজে পাচ্ছি না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশ পেলেও এখনো গণতন্ত্রের দিশা খুঁজে পাওয়া যায়নি। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়াই তাদের মূল আকাঙ্ক্ষা। বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “এই মুহূর্তে ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যাগুলো নিরসন করতে হবে। বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে দলের ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের পথে যাওয়ার বিকল্প নেই। জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠন করা প্রয়োজন এবং তারা প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে। বিভিন্ন খাতের সংস্কার প্রস্তাব ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “বাংলাদেশ একটি পরীক্ষার মধ্যে অগ্রসর হচ্ছে। সকল শ্রেণির মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সফল হয়েছে। জাতীয় ঐক্যই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।” তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, টেকসই গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার চারটি পয়েন্টে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

Header Ad
Header Ad

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, জাতীয় পার্টি (জাফর) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অপতৎপরতা এবং চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে। চরমপন্থী গোষ্ঠী ও পরাজিত অপশক্তি গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তারেক রহমান আরও বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজ সংকটে পড়তে পারে যদি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চরিত্র রক্ষা না করা হয়। চরমপন্থা ও ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রতিহত করতে হবে এবং মাফিয়া চক্রকে বিচারের সম্মুখীন করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, রাজনীতি এবং অর্থনীতিসহ দেশের সবক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদী শাসন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। একটি রাষ্ট্র এবং সমাজের মধ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হলে সমাজব্যবস্থা ভঙ্গুর ও অমানবিক হয়ে ওঠে এবং উগ্রবাদের বিকাশ ঘটে।

তারেক রহমান উল্লেখ করেন, সরকার ও প্রশাসনের মনোযোগ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরিতে বেশি থাকার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব।

তিনি বলেন, মাফিয়া সরকারের পতনের পর সাত মাস পেরিয়ে গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে হবে। জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না দেখালে এবং অযথা সময়ক্ষেপণ করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

তারেক রহমানের মতে, সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ দুটিকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতিকে শক্তিশালী করতে প্রতিদিনের গণতান্ত্রিক চর্চা অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, জনগণ এবার তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে প্রস্তুত।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এই ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের নেতৃত্ব যার কাছেই যাক, পরিবর্তিত ব্যবস্থা প্রয়োজন: নাহিদ ইসলাম
এখনো গণতন্ত্রের দিশা খুঁজে পাচ্ছি না: মির্জা ফখরুল
ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর হবে: তারেক রহমান
ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে তেল স্থাপনায় ইউক্রেনের হামলা: রাশিয়ার অভিযোগ
ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতকরণে টাঙ্গাইলে সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা
ভারতে সাজাভোগ শেষে ২১ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু দেশে ফিরলেন বেনাপোল দিয়ে
আসছে ‘অ্যালেন স্বপন ২’, নতুন ‘বৈয়াম পাখি’ হবেন জেফার!
হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর রাসেলস ভাইপারও চলে গেছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
রাজশাহীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতাকে সতর্কবার্তা
যা রিমান্ড দেয় দিক, কিছু বলবি না: আইনজীবীকে দীপু মনি (ভিডিও)
আন্দোলনে শহীদ জসিমের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিপিজিসিবিএলে চাকরির সুযোগ, বেতন এক লাখ ৭৫ হাজার
আগামী বাজেটে সিগারেটে কর বাড়বে না: এনবিআর চেয়ারম্যান
ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হাইকোর্টে স্থগিত
সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা
জিন আতঙ্কে ৫০ পোশাক শ্রমিক অসুস্থ, কারখানা ছুটি ঘোষণা
ঘুষ ছাড়া ফাইল ধরেন না নওগাঁ গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারী!
যুক্তরাষ্ট্রে আবদুস সোবহান গোলাপের ৯ বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে দুদক
৩৭ লাখ টাকাসহ আটক গাইবান্ধার সেই প্রকৌশলীকে বরখাস্ত
মহাকাশে আটকে পড়া ৯ মাসে কী খেতেন সুনিতারা!