শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৬৯ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বাঙালি সদস্য সার্জেন্ট জহুরুল হক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন।
সার্জেন্ট জহুরুল হক ছিলেন একজন স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক সৈনিক। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান সরকারের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রাখা হয়। পরে ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ওই মামলার নামকরণ করা হয় ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’।
এই মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১ নম্বর এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হককে ১৭ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে এয়ারফোর্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকা সেনানিবাসে বন্দী রাখা হয়। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। কিন্তু ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকা সেনানিবাসে আটক অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সৈনিকরা।
দেশের মুক্তির লক্ষ্যে সার্জেন্ট জহুরুল হকের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র হলের নামকরণ করা হয় ‘সার্জেন্ট জহুরুল হক হল’ এবং ১৯৮২ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটির নামকরণ করা হয় ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক’। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামে অবস্থিত বিমানবাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ যোহর এক মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদ শেষে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মিলাদ মাহফিলে ঘাঁটি এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. বদরুল আমিন, ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এসজি
