বতসোয়ানায় চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদ করতে চায় বাংলাদেশ

অব্যবহৃত কৃষি জমিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের চুক্তিবদ্ধ চাষের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বতসোয়ানাকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং বতসোয়ানার কৃষিমন্ত্রী ফিদেলিস এম. মালাও-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
উভয় পক্ষই কৃষি, প্রাণিসম্পদ এবং মৎস্য খাতে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। কৃষি, মৎস্য ও জলজ-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ বিনিময় করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গত এক দশকে কৃষি খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্পর্কে বতসোয়ানা পক্ষের প্রশংসা করেন। স্বল্প পরিমাণ জমিতে খাদ্য প্রধান, শাকসবজি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর বিপুল পরিমাণ উৎপাদনের বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বতসোয়ানার অব্যবহৃত কৃষি জমিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের চুক্তিবদ্ধ চাষের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বতসোয়ানাকে প্রস্তাব দেন।
বতসোয়ানা বাংলাদেশ ও বতসোয়ানার মধ্যে কৃষি ও চুক্তিভিত্তিক কৃষিতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকটি সমাপ্ত করার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দুই দেশের কৃষি বিশেষজ্ঞ ও উৎপাদকদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে ফিদেলিস এম. মালাও বাংলাদেশের একটি কৃষি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলকে বতসোয়ানা সফরে আমন্ত্রণ জানান।
একই দিনে (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বতসোয়ানা ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেসের শিক্ষাবিদদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকের সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতামত দেয় যে উভয় পক্ষ উদ্যানপালন, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি এবং পশুচিকিৎসা ক্ষেত্রে জ্ঞান বিনিময় করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী কৃষি খাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা উল্লেখ করেন এবং প্রস্তাব করেন যে বাংলাদেশ ও বতসোয়ানা কৃষি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা যেতে পারে। উভয় পক্ষই কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের সফর বিনিময় করতে সম্মত হয়েছে।
আরইউ/এমএমএ/
