মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারের শোক

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংসদ নেতা ও প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক শোক বার্তায় তিনি বলেছেন, মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারাল। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অপর এক বিবৃতিতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। এ ছাড়া, শোক ও সমাবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
সাবেক ছাত্র নেতা মোছলেম উদ্দিন ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের চট্রগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে তিনি বেশ কয়েক বছর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চট্রগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে বহু সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করেন তিনি। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দ্বিতীয়বারের মতো সভাপতি হয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দীন ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ নির্বাচন করে অল্প ভোটে পরাজিত হন। চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ) আসনের সংসদ সদস্য জাসদ নেতা মাঈন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপ-নিবাচনে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
এনএইচবি/এমএমএ/
