রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

কুয়েত সরকার নতুন সংশোধনী অনুযায়ী প্রায় ৪২ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, যা দেশটির জন্য নীতিগতভাবে বড় পরিবর্তন। ডিসেম্বরে পাশ করা সংশোধনী অনুযায়ী, নৈতিক দুর্নীতি, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকি, বা আমির ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের সমালোচনার কারণে নাগরিকত্ব বাতিল করা যাবে।

৮৪ বছর বয়সী আমির মিলাশ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবহ-এর শাসনামলে কুয়েতে গণতন্ত্রকে সীমিত করে কর্তৃত্ববাদী নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি গত বছরের মে মাসে সংসদ স্থগিত করেন এবং সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দেন। তার মতে, রাজনৈতিক অচলাবস্থা কুয়েতকে পঙ্গু করে রেখেছে।

নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি সপ্তাহে বাতিলকৃত নাগরিকদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে। গত ৬ মার্চ একদিনেই ৪৬৪ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনকে অবৈধভাবে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অভিযোগে এবং ৪৫১ জনকে জালিয়াতি ও প্রতারণার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

কুয়েত দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না। তাই নাগরিকত্ব অর্জনকারীদের তাদের আগের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়। এতে বিশেষ করে কুয়েতি নাগরিককে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পাওয়া নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা এখন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে রাষ্ট্রবিহীন অবস্থায় পড়েছেন।

কুয়েতি গবেষক ক্লেয়ার বেউগ্রা বলেন, "এই পদক্ষেপগুলোর গতি এবং আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কুয়েতের ইতিহাসে অভূতপূর্ব। সরকার এলোমেলোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।"

সরকারের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই দমনপীড়নের নিন্দা জানিয়েছে।

কুয়েতে এমন একাধিক নাগরিকত্বহীন জনগোষ্ঠী রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘বিডুন’ সম্প্রদায়। তারা বেশিরভাগই যাযাবর গোত্রের বংশধর, যারা কখনও প্রমাণ করতে পারেনি যে তারা কুয়েতি নাগরিক। তারা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অধিকারের বাইরে রয়ে গেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক কুয়েতি নাগরিকই ভিন্ন দেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, কারণ নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি তাদের জীবনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

Header Ad
Header Ad

ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা দত্তকে আজ রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার পর সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ডা. অনিন্দিতা দত্তকে বাসায় নেওয়ার কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় পুলিশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর। তিনি বলেন, যদি তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে, সকালে একদল লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ভবনের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্তকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। জানা গেছে, গত জুলাইয়ে গণহত্যার অভিযোগে তার নামে মামলা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, 'প্রাণ গোপাল স্যারের মেয়ে এখানে চাকরি করেন। তাঁকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা সবাই বন্দি অবস্থায় আছি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত রয়েছে।'

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মধ্যে ডা. অনিন্দিতা দত্তও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি, তবে দুই দিন আগে থেকে তিনি কাজে আসা শুরু করেন।

Header Ad
Header Ad

অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ‘সোনিয়ার’ প্রতারণা, টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে বেসরকারী সংস্থা সোনিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপি ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন- বেসরকারি সংস্থা সোনিয়া ফাউন্ডেশনের স্বত্ত্বাধিকারী সোনিয়া অস্ট্রেলিয়ায় ভালো বেতনে চাকুরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত অস্ট্রেলিয়া নিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে নানা তালবাহানা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

তারা আরও বলেন- প্রতারক সোনিয়া টাঙ্গাইলের সন্তোষ এলাকার সাজু মিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করিয়েছে। অবিলম্বে সাজুর মুক্তির দাবি করে প্রতারক সোানিয়াকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি এমএম আলী কলেজের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট আজীম উদ্দিন বিপ্লব, ভাসানী পরিষদের খোদা-ই-খেদমতগারের হাসরত খান ভাসানী, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রকি হায়দার, জোবায়ের হোসেন প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় সার বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজেন দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকারের সঞ্চালনায় এ সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। 

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম. সাইফুল্লাহ, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র ,জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক(উদ্যান)দেবাশীষ কুমার দাস, অতিরিক্ত উপ-রিচারক (শস্য) কৃষ্ণ রায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভীন, জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আকবর ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর বারী, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক আসলাম হোসেন অর্ক । 

সার ও বীজ মনিটরিং সভায় জানানো হয়, ১৬ মার্চ পর্যন্ত জেলায় ইউরিয়া সার বরাদ্দ আছে ৩ হাজার ৮৮২ মেট্টিক টন ও মজুদ আছে ৩ হাজার ৫৬৯ মেট্টিক টন, টিএসপি বরাদ্দ আছে ৮৮৩ মেট্টিক টন ও মজুদ আছে ৮৩৯ মেট্টিক টন, এমওপি বরাদ্দ আছে ৮০৪ মেট্টিক টন ও মজুদ আছে ১ হাজার ৫৯৯ মেট্টিক টন ও ডিএপি বরাদ্দ আছে ১ হাজার ৩৮৪ ও  মজুদ আছে ৬ হাজার ৭৭৮ মেট্টিক টন। সভায় আরো জানানো হয়, নীতিমালায় থাকলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে সার সঙ্কট এড়াতে কম সংখ্যক সার ডিলার নিয়োগ করার ব্যাপার সচেষ্ট থাকতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ‘সোনিয়ার’ প্রতারণা, টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় সার বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব অন্যায়-জুলুমের বিচার নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা
স্বাধীনতা দিবসে এবারও হচ্ছে না কুচকাওয়াজ: স্বরাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশের নির্বাচন হবে আন্তর্জাতিক মানের, আশা ইউরোপীয় ইউনিয়নের
নাইটক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্তত ৫১
বন্ধ হওয়ার পথে ভয়েস অব আমেরিকা, ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই
পুলিশের ১২৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
চুয়াডাঙ্গায় ‘গো গ্রীন’ কর্মসূচির আওতায় দুটি নতুন প্রকল্পের যাত্রা
আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল
কুয়েতে ৪২ হাজার নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল: রাতারাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা
দেশের পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন অস্কারজয়ী শিল্পী এ.আর.রহমান
৬ হাজার কোটির লিগ আনছে সৌদি, চ্যালেঞ্জের মুখে আইপিএল
৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট, দ্রুত কার্যকর চান আবরার ফাহাদের বাবা
ঘুষ-বাণিজ্যের অভিযোগ, রংপুরের সেই উপ-পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার
আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল