‘বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে বিদেশে টেবিলে টেবিলে আলোচনা হয়’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, করোনাকালে বাংলাদেশের সাফল্য নিয়ে এখন বিদেশে টেবিলে টেবিলে আলোচনা হয়। আমি যেখানেই যাই এই আলোচনা শুনি। তারা জানতে চায়, তোমরা কীভাবে এত সাফল্যের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করে এগিয়ে গেলে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পৃথিবীর সব দেশেই আসল। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহান চিন্তা, সিদ্ধান্ত, পাশে থাকা সব মিলিয়েই আমরা এই অঞ্চলে করোনা মোকাবিলায় সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। যদি সারা বিশ্বের হিসাব করা হয় তাহলে আমরা ৫ নম্বরে। আগের ৪টি দেশের কোনোটিরই দেশের জনসংখ্যা এক কোটির বেশি হবে না। আমরা খুবই সাফল্যের সঙ্গে এটা করতে পেরেছি। এখন বিদেশিরা এটা নিয়ে আমাদের খুব বাহবা দিচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। আমি সবখানেই এসব শুনি।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছেন, যাতে দেশের মানুষ একটু ভালো থাকে। কথা অনেক বলা যাবে, সমালোচনা করলে অনেক করা যাবে। কিন্তু দৃশ্যমান যে সাফল্য সেটাকে স্বীকার করতে হবে। দৃশ্যমান হলো বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। যদি এটা নাই হতো তাহলে ২০২৬ সালে যে আমাদের গ্র্যাজুয়েশন হবে, আমাদের উন্নয়ন হবে, আমরা একটা অবস্থান থেকে উত্তরণে যাব, সেটা তো আর এমনি এমনিই জাতিসংঘ করছে না।
তিনি আরও বলেন, এখান থেকে পড়াশোনা করে অনেক ছাত্ররাই বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। আপনাদের কাছে একটি কথা, আমাদের মধ্যে দ্বিমত থাকতে পারে, বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু দেশটা তো আমাদের সবার। দেশের উন্নয়নে, ভালোর জন্য সবাইকেই একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের সময় এখন শেষ, আর বেশিদিন টিকব বলে মনে হয় না। এখন এই দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে। দেশটাকে আরও এগিয়ে নিতে আপনাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাসিদুল ইসলাম পল্লবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া এসময় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকসহ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসজি
