‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে’

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে। এজন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জন্য উন্নয়ন কিছুটা স্থবির হয়েছে। যুদ্ধ থামানো না গেলে বিশ্বের অবস্থা আরও খারাপ হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থাও খারাপ হবে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নাটোর আদালত চত্বরে নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনের পর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মহামারি করোনাকালীন সময়ে দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া ছাড়াও ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ওই সময় মানুষ কষ্ট পেলেও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার কোনো মানুষ যেন অনাহারে না থাকে সে অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক যখন ঋণ দেবে না বলে জানায় তখন সাহসিকতার সঙ্গে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন। ২১০০ সাল নাগাদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে উন্নতির শিখরে দ্রুত আরোহণ করবে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারি পার করে প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছিলেন ঠিক সেই সময় রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হয়। ওই যুদ্ধের কারণে ৬০ ডলারের তেল ১৬০ ডলারে উন্নীত হয়। যার ফলে বৃদ্ধি পায় চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী দেশের ভূমিহীন মানুষদের জমি দেওয়া ছাড়াও ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। কেননা তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
নাটোর আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন তালুকদার টগরের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম বকুল, জেলা আইনজীবী সমিতি, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসজি
