টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি কাঠামো সংগ্রহ করা হয়েছে। উক্ত কাঠামোগুলো পর্যালোচনা কাজ চলছে।
বৃহষ্পতিবার (২ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ফি কাঠামো পর্যালোচনা শেষে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে একটি সমন্বিত নীতিমালা ও গাইডলাইন প্রণয়ন করা হবে।
তা ছাড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৯ (৪) ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিকরা পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শতকরা তিনভাগ আসন প্রত্যন্ত অনুন্নত অঞ্চলের মেধাবী অথচ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সংরক্ষণ করে এই সব শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি ও অন্যান্য ফি ব্যতিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। উক্ত বিধান অনুযায়ী মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা স্বল্প বেতনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে লেখাপড়া করছে।
সরকারি দলের সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের লিখিত জবাবে দীপু মনি জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের সব জেলায় অন্তত একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সরকার দলীয় সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ২০ হাজার ৩১৬ টি। এর মধ্যে নিম্ম মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) দুই হাজার ৩৫৭টি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক হাজার ৪৪৩টি। সারা দেশে ৩৫৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়েছে।
এদিকে সরকারি দলের আনোয়ার হোসেন খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শরীফ আহমেদ সংসদে জানিয়েছেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ২ মে থেকে নকশা অনুমোদনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য অনলাইন সেবা চালু করেছে। অনলাইনে নকশা অনুমোদন কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রাজউকে ৩৪ হাজার ৩৬টি আবেদন পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করায় ২২ হাজার ৯৩৩টি আবেদেন অনুমোদন করা হয়।
একই প্রশ্নের জবাবে গণপূর্তমন্ত্রী জানান, অনলাইনে নকশা অনুমোদন কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রাজউকে ৩৪ হাজার ৩৬টি নকশা অনুমোদেনর আবেদন পাওয়া যায়। এরমধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করায় ২২ হাজার ৯৩৩টি আবেদন অনুমোদন করা হয়।
বিভিন্ন অসংগতির কারণে বিধি মোতাবেক ৮১টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়। বর্তমানে রাজউকে ৩ হাজার ৮৫৯টি আবেদন বিভিন্ন পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট মালিক ও প্রতিনিধি দাখিল না করার কারণে ৭ হাজার ১৬৪টি আবেদন বিভিন্ন সময়ে আবেদনকারীর আইডিতে পাঠানো হয়েছে।
এনএইচবি/এমএমএ/
