আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট রহমতুল্লাহর পকেটে

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ নিজেকে আহলে হাদিসের অনুসারী দাবি করে তার পকেটে দুই কোটি ভোট আছে বলে দাবি করেছেন ।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোট। আহলে হাদিসের প্রায় ৩০ জন এমপি আছে। অনেকে পরিচয় দেন না। আমি যেদিকে যাব, আহলে হাদিসের ভোটাররা সেদিকে যাবেন।’
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনার সুযোগ নিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্যেও সুযোগ নিয়ে নিজেকে আহলে হাদিসের দুই কোটি ভোটের চিফ অ্যাডভাইজার দাবি করেন প্রবীণ এই সংসদ সদস্য।
রহমতুল্লাহ বলেন, আমাকে আহলে হাদিসের সভাপতি করতে চেয়েছিল। আমার অফিসে বসে আমি কমিটি বানিয়ে দিই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। এরা কোনো দিন জামায়াত করে না। আমি যেদিকে যাব, আহলে হাদিস সেদিকে থাকবে।
এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ১/১১ পর কারা পালিয়েছিল, মানুষ জানে। ফখরুল সাহেব, তুমি তো ধাক্কা দিয়ে মানুষকে ফেলে দিতে চাও।
তিনি আরও বলেন, ১/১১ এর সময় আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে এসেছেন। আমি ইতালি থেকে লন্ডনে আসি। রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। আমাকে ডেকে পাঠিয়েছেন।
আমাকে বললেন, রহমতুল্লাহ, ঢাকায় তো মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া) নাই, আজম (মির্জা আজম), নানক (জাহাঙ্গীর কবির নানক) নাই। আপনি না গেলে সাহারা কি কোনো লোক জোগাড় করতে পারবে? তখন আমি এসে এক দিনে সব ব্যবস্থা করি।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বলেন, যেহেতু আমি অনেস্ট লোক। এলাকার সব রাস্তাঘাট করে দিয়েছি, উন্নয়ন করেছি, আমি এসে কেমনে কেমনে দুই লাখ লোক জোগাড় করে ফেললাম। তারপর আপাকে রিসেপশন দিলাম। আপা বললেন, এত লোক কেমনে জোগাড় করলেন! আমি বলেছিলাম, আমি সব পারি।
মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, আপনাকে মিনিস্টার করলেন না কেন? আমাকে মেয়র সেধেছেন। মিনিস্টার করতে চেয়েছেন। কিন্তু রাজি হইনি।
এক পর্যায়ে স্পিকার বলেন, আপনার পয়েন্ট অব অর্ডারটা কী? এ সময় তিনি স্পষ্ট কিছু না বলে বলেন, একটি পত্রিকার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেছেন, ১/১১ এর পর কারা পালিয়েছিল, মানুষ জানে। এটা মিন করছে আমাদের। আমি পেপারটা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব। আপনি পড়লে বুঝতে পারবেন।
এনএইচবি/এমএমএ/
