ডিসিরা চাইলে জেলার চেহারা বদলে দিতে পারেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জেলার প্রশাসক একটা জেলার চেহারাই বদলে দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘ডিসিদের বলেছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট তৈরি করে না। জেলার প্রশাসক একটা জেলার চেহারাই বদলে দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্যঅধিবেশন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট তৈরি করে পাসপোর্ট অফিস। আমাদের প্রবাসীরা বিভিন্ন সময় পাসপোর্টের জন্য অনেক ভোগান্তি পোহান। এটা যেন ডিসিরা দেখেন। যাতে সহজেই তথ্যগুলো সরবরাহ করা হয়।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ডিসিদের বলেছি, দালাল চক্রের কারণে আমাদের বহু লোক বিদেশ গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাই অবৈধভাবে লোক যাওয়া বন্ধে ডিসিরা ভূমিকা রাখতে পারেন।
বিশেষ করে জেলায় যেসব সভা হয় যদি ডিসিরা বলেন তাহলে মানুষ অবৈধভাবে বিদেশ যাবে না। যারা অবৈধভাবে বিদেশ যায় তাদের বড় কষ্ট হয়, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আরও শ্রমবাজার খুলছি। মানুষের কাজের জায়গা করে দিচ্ছি। লিবিয়া, রোমানিয়ায় আমরা শ্রমবাজারে খুলেছি।
বিদেশীদের বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীদের অনাবাদি জমি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিসিদের বলেছেন, দেখেন সিলেটের প্রবাসীরা জমি বর্গা দিতে চায় না। আত্মীয় স্বজনকেও দিতে চায় না। তারা মনে করে ডিসি যদি এই জমি কোনো কাজে লাগান তাহলে তারা সেটা দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, অবৈধ টিলা কাটা, পুকুর ভরাট ও নদী দখল যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে ডিসিদের অনুরোধ করেছি। কারণ ডিসিরা এখানে ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, খেলার মাঠের বিষয়েও ডিসিদের বলেছি, খেলার মাঠ কমে গেছে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ। খেলার মাঠ থাকলে মানুষ আশ্রয় নিতে পরেবে। এ ব্যাপারে তারা যেন নজর দেন।
সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখেন সীমান্তে হত্যা বন্ধে আমরা দুই দেশের একেবারে উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপরও দুই-একটি ঘটনা ঘটছে। হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান নয় উল্লেখ করে বলেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধের আমাদের দুই দেশের সিদ্ধান্ত একটা লোকও মরবে না।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, দেখেন আমাদের পলিসি হচ্ছে আমরা আর একটা রোহিঙ্গাও নেব না। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবস্থান নিয়েছেন যে আমরা এদেরকে নেব না। কিছু কিছু যখন আসে তখন আমরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করি। আমাদের কাছে কোনো শর্টকাট উত্তর নেই। আমরা মিয়ানমার সরকারকে বলেছি তোমরা তোমাদের একটা লোকও পাঠাবে না।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কি-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আই ডোন্ট নো ইয়েট। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে অবশ্যই তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। আমরা বলেছি তাদের রিপার্টিশন করতে হবে। মায়ানমার বলেছে তাদের লোকগুলোকে নিয়ে যাবে। কিন্তু ছয় বছর হয়ে গেছে একটা লোকও যায়নি। তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এনএইচবি/এমএমএ/
