শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চলতি বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ৪৪ জনের মৃত্যু!

হাতিরঝিল থানায় সুমন শেখ ওরফে রুম্মন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে আন্দোলন করছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। পরিবার ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে আত্মহত্যা করেছেন সুমন।

থানায় কিভাবে একজন আসামি আত্মহত্যা করে? সুমন মারা যাওয়ার সময় ডিউটিরত পুলিশ কি করছিল? এর দায় কার? এভাবে যদি থানায় মানুষ মারা যায় তাহলে মানুষের সিকিউরিটি কোথায়— বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সুমনের মৃত্যু নিয়ে সোমবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাতে রামপুরায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের সময় নিহতের পরিবার ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে।

আপনারা কিভাবে জানেন সুমন শেখ মারা গেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে নিহত সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের জানিয়েছে চুরির অভিযোগে শুক্রবার রাতে হাতিরঝিল থানায় সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেয়নি। বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। পরে আমরা তার জন্য খাবার পাঠায় পুলিশ সেটা গ্রহণ করে। এরপর সকাল থেকে আমরা থানার সামনে দাঁড়াই সুমনকে বের করে না পুলিশ। পরে আমাদের বলা হয় সে আত্মহত্যা করেছে’।

তিনি আরও বলেন, মনে হয় সুমনকে পুলিশ আগে থেকে অনেক মারধর করেছিল এজন্য আমাদের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেয়নি। তিনি বলেন, এভাবে সুমন মারা যেতে পারে না, পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

   সুমনের মৃত্যুতে এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন

এদিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ বলছে, নিহতকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের দিন রাতে সুমন থানার মধ্যে আত্মহত্যা করেন। এরপর তার লাশ নামানোর জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে আনা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আমরা তার ঝুলন্ত লাশ নিচে নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই।

তবে পুলিশের এসব কথা মানছে না ভুক্তভোগীর পরিবার। তাদের অভিযোগ, সুমনকে মেরে ফেলা হয়েছে। আত্মহত্যার কথা বলে পুলিশ দায় এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে।

এদিকে আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আসকের আরেকটি তথ্য বলছে, চলতি মাস আগস্টে পুলিশি নিযার্তনে ৪ জন মানুষ মারা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে, সেটি আগস্টে শেষে বা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আসক গণমাধ্যমকে জানাবেন। আসকের দাবি, চলতি বছর ২০২২ সালের আগস্ট পযর্ন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ৪৪ জন মানুষ মারা গেছেন।

এসব বিষয়ে অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেল-হাজতখানায় থাকা আসামির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব হলো পুলিশের। হাতিরঝিল থানার মধ্যে সুমন শেখের মৃত্যুর ঘটনার দায় পুলিশ এড়িয়ে যেতে পারে না। এটা অবশ্যই পুলিশের একটি ব্যর্থতা। মানুষ এজন্য পুলিশের উপর থেকে আস্থা হাারিয়ে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে মিশে বিভিন্ন আন্দোলন করছে। যা পুলিশকে একটি খারাপ বার্তা দিচ্ছে।

সুমনের মৃত্যুর বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, পুলিশ হেফাজতে যেহেতু হাতিরঝিল থানায় সুমনের নিহতের ঘটনাটি ঘটেছে, তাই এই দায় থানা পুলিশের উপর পড়ে।

তিনি বলেন, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সে হয়ত আত্মহত্যার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বা কিছু একটা করছে। পুলিশ যদি সর্তক থাকত, তাহলে এই ঘটনাটি ঘটত না। থানার মধ্যে আত্মহত্যার বিষয়টি মানুষ স্বাভাবিকভাবে মেনে নেবে না। এটি আত্মহত্যা হলেও থানায় কর্তব্যরত পুলিশের সদস্যরা এর দায় কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না।

মো. নূর খান আরও বলেন, নিহত সুমন শেখ মারা যাওয়ার পর তার লাশ নিয়ে অনেক কথা বলেছে পুলিশ। এজন্য তার পরিবার জানিয়েছে, তারা পুলিশের নামে মামলা করে, লাশ গ্রহণ করবেন। যেহেতু পুলিশ হেফাজতে থেকে সুমন মারা গেছেন এক্ষেত্রে পুলিশের একটু নিরব ভুমিকা গ্রহণ করা উচিত ছিল।

সুমনের নিহতের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ রয়েছে এমনটা জানিয়ে নিহতের স্ত্রী জান্নাত আক্তার ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি, ওইটাই যে সুমন সেটা ভালো করে বোঝা যাচ্ছে না। আপনারা লাশ নেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ লাশ নিতে বাধা দিয়েছে। এরপর আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছি, এখন পুলিশ বলছে তার লাশ মর্গে রয়েছে সেখান থেকে নিতে হবে।

এদিকে সুমনের মৃত্যু নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছে, সুমন শেখ থানা হেফাজতে গভীর রাতে আত্মহত্যা করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাদের দাবি, বর্তমান প্রতিটা থানায় সিসিটিভির ফুটেজ রয়েছে কাউকে হত্যা বা নিযার্তন করা কোনোভাবেই সহজ নয়। কারণ থানার সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশের উপরের অফিসাররা নিয়মিত দেখেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আপনি তো আমাদের সঙ্গে গতকাল সিসিটিভির ফুটেজ দেখেছেন সেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে আসামি সুমন শেখ আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হয়ত থানায় ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা অন্য কোনে কাজে ব্যস্ত ছিল, এজন্য তারাও বিষয়টি বুঝতে পারেনি, যদি পুলিশ এমনটা আগে থেকে বা কিছু একটা বুঝতে পারত তাহলে সর্তক থাকত।

তিনি বলেন, থানায় আত্মহত্যার ঘটনায় আমরা দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আমরা আমাদের পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ও এ বিষয়ে অ্যাকশন নিয়েছি, একই সঙ্গে এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি অবশ্যই এর সঠিক তদন্ত করবে।

আজিমুল হক আরও বলেন, সুমন শেখের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে। তার পরিবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে, পুলিশ তার লাশ নিতে দিচ্ছে না। তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা, আমরা তাদের বলেছি, মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করতে হবে। এজন্য তারা মরদেহ বুঝে নিচ্ছে না। তিনি বলেন, নিহতের পরিবার হয়ত কারো ইন্ধনের কারণে মরদেহ নিচ্ছে না।

নিহত সুমনের পরিবার আদলতে হাতিরঝিল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েছিল আপনার তাদের হুমকি দিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়েও নিহতের পরিবার মিথ্যা কথা বলছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, হয়ত নিহতের পরিবার কারো দ্বারা ভুলপথে পরিচালিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, সুমন শেখকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে তিন লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সে যদি নিরীহ মানুষ হয় তাহলে এই টাকা সে কোথায় পেল? এটা চুরির টাকা। তাকে গ্রেপ্তারের পর তিনি সব কিছু স্বীকার করেছেন।

ওসি বলেন, থানা হেফাজতে আসামিকে হত্যা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ সব জায়গায় সিসিটিভি রয়েছে। এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, থানা হেফাজতে বা পুলিশের নিরাপত্তায় কেউ মারা গেলে সেই দায়ভার অবশ্যই পুলিশকে নিতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষ এটাকে ভালোভাবে নেবে না।

তিনি বলেন, পুলিশ হলো জনগণের সেবক, সেই জায়গায় থেকে পুলিশকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হবে, এতে করে মানুষ আইনের প্রতি আস্থা হারাবে।

কেএম/আরএ/

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন