আজ বিশ্ব হাতি দিবস
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশেপাশের বনাঞ্চল ছিল হাতিসহ সব প্রাণীর বড় অভয়াশ্রম ও অবাধ বিচরণের ক্ষেত্র। কিন্তু মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় নষ্ট হয়েছে জীববৈচিত্র্য। বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে কমে যাচ্ছে হাতির সংখ্যা।
গত চার বছরে বেশ কিছু হাতি মারা গেছে খাদ্য সংকট ও বিচরণের ক্ষেত্র কমে যাওয়ায়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে কক্সবাজারের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি সংগ্রহের কারণে আরও প্রায় দুই একর বনাঞ্চল নষ্ট হয়েছে।
২০১৭ সালের বন বিভাগের জরিপ অনুযায়ী, কক্সবাজারে দক্ষিণাঞ্চলে বনে বিচরণকারী হাতি ছিল ৬৩টি। কিন্তু আবাস্থল ধ্বংস ও খাদ্য সংকটে মারা গেছে ১২টি হাতি।
আজ ১২ আগস্ট বিশ্ব হাতি দিবস। বিরল ও সবচেয়ে দীর্ঘকায় বিশালদেহী এই বন্যপ্রাণীটিকে রক্ষা করার দায় সবার উপর এসে পড়েছে। হাতি সংরক্ষণে চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ দেখা না গেলেও নানা অবহেলায় হাতির সংখ্যা কমে যাওয়া দৃশ্যমান হচ্ছে। বন্য হাতি রক্ষায় অভয়াশ্রম গড়ে তোলার পাশাপাশি খাবার সংকটের সমাধানের বিষয়ে জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
২০১১ সালে আফ্রিকার প্রতিনিয়ত শিকারি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সংঘর্ষের কারণে হাতি বিপন্ন হচ্ছিল। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন। এ সময় হাতি রক্ষায় এগিয়ে এলেন দুই কানাডিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা প্যাট্রিসিয়া সিমস ও মাইকেল ক্লার্ক এবং থাইল্যান্ডের এলিফ্যান্ট রিটারট্রাকশন ফাউন্ডেশন। তারা সবাই মিলে ঠিক করে যে প্রতি বছর ১২ আগস্ট দিনটিকে বিশ্ব হাতি দিবস হিসেবে পালন করা হবে।
এরপর ২০১২ সালে প্রথম বিশ্ব হাতি দিবস উদযাপিত হয়। যেখানে একটি ডকুমেনটারি তৈরি হয়েছিল, আর সেখানে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা এবং স্ট্রার ট্রেক কিংবদন্তী উইলিয়াম শ্যাটনার অভিনয় করেছিলেন। সেখানে তিনি ফিরে আসা অরণ্যের কথা বর্ণনা করেছিলেন। বন্যদের কাছে বন্দি এশিয়ান হাতিগুলোর পুনঃপ্রবর্তন সম্পর্কে ৩০ মিনিটের একটি আকর্ষণীয় চলচ্চিত্র উপস্থাপিত হয়েছিল।
এসএন