সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার দিন আওয়ামী লীগ নেতারা মোস্তাকের সঙ্গে ছিল’

বঙ্গবন্ধুকে যেদিন সপরিবারে হত্যা করা হয় সেদনি কোন প্রতিবাদ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগের নেতারা মোস্তাকের সঙ্গে ছিল। আমরা ছাত্ররা একটা মিছিল করতে পারিনি কারণ আমাদের উপরে যারা ছিলেন তারা প্রতিবাদ করতে দেননি। কি দুর্ভাগা আমাদের।’

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দুপুরে জাতীয় সংসদের পার্লামেন্টস মেম্বরস ক্লাবে পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-বিপিজেএ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক চিফ হুইপ ও বর্তমান অনুমিত হিসাব কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, সড়ক পরিবন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান।

বিপিজেএ আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক নিখিল ভদ্রের সঞ্চালনা ও সদস্য সচিব কাজী আফিফুজ্জামানের (কাজী সোহাগ) পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপিজেএ নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য আব্দুস শহীদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব নেতা। বাংলাদেশ এই নামটিও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে বলতেন বাংলাকে স্বাধীন করতে হলে জয়বাংলা স্লোগান দিতে হবে। আমরা যখনই কোথাও মিছিল মিটিং হতো এই জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে উজ্জিবিত করতাম।

অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে কারা? নেপথ্যে কারা সেটি তো পঞ্চম সংশোধনী দেখলেই বোঝা যায়। জিয়াউর রহমান কেন সেদনি পঞ্চম সংশোধনী করলেন? নিজেকে বাঁচানোর জন্যই সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনি এনেছিলেন। এখন তার উত্তরসরিরা মাঝে মাঝে আন্দোলনের হুমকি দেয়। কিন্ত তাদের ডাকে মানুষ সাড়া দেয় না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় সংবাদ মাধ্যমের বেশি স্বাধীনতা ছিল। অথচ বলা হয় বাকশাল ছিল এই ছিল সেই ছিল। সাংবাদিকরা নিজেরা লিখতে না পেরে বঙ্গবন্ধুকে দোষ দিত। আসলে মানুষকে চোখে ধুলা দিয়ে দেশকে অন্যভাবে পরিচালিত করাই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে।

ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেদিন আওয়ামী লীগের নেতারা মোস্তাকের সাথেই ছিল। আমরা ছাত্ররা একটা মিছিল করতে পারিনি। কারণ, আমাদের উপরে যারা ছিলেন তারা প্রতিবাদ করতে দেননি। নেতারা সেদিন অন্য ভূমিকা পালন করেছিল, আওয়ামী লীগের নেতারা সবাই তো মোস্তাকের সঙ্গেই ছিল।

তিনি বলেন, যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে। আমি খুবই মর্মাহত যখন দেখি বঙ্গবন্ধুর মুড়াল বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় মামুনুল হকদের মতো লোক, তখন তার বিরুদ্ধে কোনো উচ্চারণ হয়নি বাংলাদেশে।

অথচ আওয়ামী লীগের বিশাল অর্গানাইজেশন আছে। লাখ লাখ লোককে সমাবেত করার ক্ষমতা আওয়ামী লীগের ছিল। কিন্তু আমাদের নেতৃত্ব সবাই এক মুখি হয়ে আছে। সবাই নেত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি কিছু বলবেন কি না। এই অবস্থা চলতে পারি। যদি দেশটাকে বাংলাদেশ রাখতে চান না। মানুষকে দেশ রাখতে চান না। কতিপয় দুর্বৃত্তের হাতে দেশ ছেড়ে দিতে পারি না। যারা ধর্ম নিয়ে কথা বলেন আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছি কোথায় ধর্মে শুধু ইসলামের কথা বলা আছে? ইসলাম ধর্মে মানুষের কথা বলা আছে।

শামসুল হক টুকু বলেন, এই মাসটি আমাদের কষ্টের মাস, বেদনার মাস। আবার ঘুরে দাড়ানোর মাস, অর্থাৎ সকল শোক ব্যথাকে উপেক্ষা করে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা নিরলস চেষ্টা করছেন। সেগুলোকে বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে ঘাতকদের সমুচিত জবাব দেওয়া।

হুইপ মাহবুব আরা গিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিন বঙ্গমাতার কি দোষ ছিল, ছোট রাসেলের কী দোষ ছিল। ওরা তাদেরকেও বাঁচতে দেয়নি। এ রকম একজন মহান নেতার জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা সৌভাগ্যবান যে তার সুযোগ্য কন্যাকে পেয়েছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি যারা পলাতক আছে তারা কী ভালো লাইভ লিড করছে? যতই বিদেশে থাকুক তা কিন্তু না।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, আওয়ামী লেীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল; এটা অস্বীকার করার উপায় নাই। এক সময় মানুষ চেয়েছিল ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতাকে বাদ দিতে কিন্তু তার যোগ্য কন্যা যেভাবে সারা দেশের মানুষকে নিয়ে সারা জাতিকে ইতিহাস সমৃদ্ধ করেছেন, সামনে এনেছেন আর কেউ বঙ্গবন্ধুকে পেছনে টানতে পারবে না। বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন সভা সেমিনারে বঙ্গবন্ধু প্রতিদিনিই নতুন করে জন্ম নিচ্ছেন। সারা পৃথিবীতে নতুন করে উজ্জিবিত হচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকে আর কেউ ভুলবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর আমাদের মাঝে ছিলেন। যার ত্যাগ তীতিক্ষা হাজার বছর ছাড়িয়ে গেছে। কত সংগ্রাম করেছেন। তার সেই ত্যাগ তীতিক্ষা হাজার হাজার বছর ছাড়িয়ে গেছে। সেজন্যই তাকে বলে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

গ্যারি বেকারের বিয়ে তত্ত্ব

একা থাকার অভ্যাস বাড়ছে শিক্ষিত নারীদের, কমছে বিয়ের আগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

অসংখ্য শিক্ষিত নারীদের মধ্যে বাড়ছে একা থাকার অভ্যাস। হঠাৎ একা থাকা কিংবা বিয়ে করার হার কমছে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্যারি বেকারের বিয়ের তত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বেকার তার তত্ত্বে বিয়েকে একটি ‌‘বাজার’ হিসেবে দেখিয়েছিলেন যেখানে মানুষ নিজেদের লাভ-ক্ষতির হিসাব করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা দেখে বিয়ের মাধ্যমে তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা, সঙ্গ এবং সন্তান পালনের সুযোগ কতটা বৃদ্ধি পাবে। যদি ক্ষতির চেয়ে বিয়েতে লাভ বেশি হয় তবে তারা বিয়েতে আগ্রহী হয়।

একজন আদর্শ নারীর উদাহরণ হলো- তরুণ, শিক্ষিত এবং উপার্জনক্ষম। তবে পুরুষের তুলনায় তার উপার্জন বেশি হওয়া চলবে না। এই ধাঁচ ‘ডক্টর বউ’ নামে পরিচিত। তবে পাকিস্তানের স্বাধীন ও উচ্চশিক্ষিত নারীরা যারা হয়তো দেশের বাইরে থাকেন এবং পুরুষদের চেয়ে বেশি উপার্জনক্ষম, বেকারের তত্ত্বকে মানতে নারাজ। পুরোনো প্রথাগত ধারণা অনুযায়ী- নারীরা ঘরের কাজ সামলাবে আর পুরুষেরা বাইরের কাজে পারদর্শী হবে। কিন্তু যদি নারী নিজেই উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষ হন, তখন বিয়ের প্রথাগত অর্থনৈতিক লাভের ধারণা আর কাজ করে না।

এই পরিস্থিতিতে একজন স্বাধীন নারীর কাছে প্রশ্ন জাগে, বিয়ে কি আদৌ প্রয়োজনীয়? তার জন্য বিয়ে লাভজনক হতে পারে কেবল সঙ্গীর আকাঙ্ক্ষা। মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং একাকীত্বের থেকে সঙ্গের প্রয়োজন অনেক সময় বেশি গুরুত্ব পায় তার কাছে। কিন্তু যদি শুধুই সঙ্গ পাওয়া বিয়ের মূল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায় অনেক ক্ষেত্রে। বেকারের তত্ত্ব প্রাসঙ্গিক এখানেই যে, নারীরা সাধারণত তাদের সমপর্যায়ের বা তাদের চেয়ে উচ্চতর স্তরের সঙ্গী খোঁজেন। যদি একজন নারী স্নাতক ডিগ্রিধারী হন তবে তার জন্য সমান শিক্ষিত বা কর্মজীবী সঙ্গী খোঁজাই যুক্তিযুক্ত হয়ে ওঠে।

বেকার এই প্রক্রিয়াকে ‘‘পজিটিভ অ্যাসারটেটিভ মেটিং’’ বলে অভিহিত করেছেন, যেখানে সমপর্যায়ের মানুষরা একে অপরের সঙ্গে বিয়ে করেন। পাকিস্তানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষিত নারীরা এখন সঙ্গী নির্বাচনে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মূল্যবোধকে বেশি গুরুত্ব দেন। অন্যদিকে, “প্রসপেক্ট থিওরি” অনুসারে, নারীরা বিয়ের সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং ক্ষতিগুলির ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে আর্থিকভাবে স্বাধীন নারীরা অনেক সময় সম্পর্কের ঝুঁকি এড়িয়ে চলেন, কারণ তাঁদের কাছে একাকীত্ব অনেক নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়।

বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ‘The Atlantic-এ ‘The People Who Quit Dating’ শিরোনামের একটি আলোচিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে অনেকেই সঙ্গীর সন্ধান ছেড়ে দিয়েছেন। তবে অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি কোনও 'ক্ষতি' নয়, বরং একটি “অনিশ্চয়তা”। সঠিক সময়ে সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে শেষ পর্যন্ত, মানুষের সিদ্ধান্ত একটাই- সেই সঙ্গীকে বেছে নেওয়া, যিনি জীবনে মূল্যবোধ যোগ করবেন, যাতে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় টিসিবি ও ভিজিএফ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তির দায়ের করা মামলায় রোববার পৃথক তিনটি স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, দর্শনা থানাধীন হুলিয়ামারি মিয়া পাড়া গ্রামের মৃত শরীফ উদ্দিনের ছেলে ও এজাহারে বর্ণিত ৪নং আসামি তসলিমুজ্জামান সাগর মেম্বার, গিরিসনগর বাজার পাড়ার আ. খালেক ত্রিপুরার ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৬ নং আসামি বিল্লাল হোসেন এবং গিরিসনগর মোল্লা পাড়ার মৃত সাহেব আলীর ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৩৭ নং আসামি আছের উদ্দিন মান্দার মেম্বার।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে দর্শনা থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার সময় গিরিসনগর মাঠ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় গ্রেপ্তার তিন ঘাতকের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি রামদা ও ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী নাহিদা আক্তার মুক্তা তার স্বামীকে হত্যার দায়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।‌ মামলা নং ০৭, তারিখ ০৯/০৩/২০২৫।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, চাঞ্চল্যকর রফিকুল হত্যা মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা গ্রেপ্তার হবে।

উল্লেখ্য, ভিজিএফ ও টিসিবি'র কার্ডের তালিকা করা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে স্থানীয় বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর শনিবার রাতেই তিতুদহ কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর  

ছবিঃ সংগৃহীত

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে অনুমোদন পেয়েছে পুলিশ।

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় আসামিদের রোববার দিনে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় গভীর রাতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেছে আদালত।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রোববার রাত ১২টার পর মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।

আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন-শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোর (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)।

মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবদুল মতিন শুনানি শেষে বোনের শ্বশুরের সাত দিন এবং স্বামী, শাশুড়ি ও আরেক আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার সকাল থেকে প্রায় দিনভর মাগুরা শহরে শিশু ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। বেলা ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখান থেকে সরে গিয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভায়না মোড় মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে আসামিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।

পরে রাত ১২টার পর শুরু হয় রিমান্ড শুনানি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। রিমান্ড না দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। ফলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে মামলার এক আসামির সাত দিন এবং অন্য তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

ওসি আলাউদ্দিন বলেন, রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও রোববার দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। দিনভর আন্দোলনকারীরা আদালতের ফটক ঘিরে রেখেছিলেন। আসামিদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করছিলেন। এ কারণে রাতে শুনানি করেছে আদালত।

মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) এনে ভর্তি করা হয় এবং পরে শুক্রবার রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।

শনিবার ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে আনা হয়।

রোববার সকালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একা থাকার অভ্যাস বাড়ছে শিক্ষিত নারীদের, কমছে বিয়ের আগ্রহ
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর  
অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য ৯ নির্দেশনা হাইকোর্টের  
বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ  
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইউটিউব  
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার
ধর্ষণ-নিপীড়ন: আজ সারা দেশে ছাত্রদলের মানববন্ধন  
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি  
সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার বাড়ী দখলের অভিযোগে সেই মিস্টি গ্রেফতার
রংপুরে মশাল মিছিল: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি
সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  
আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি
কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ
কাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইউরোপের নয়টি দেশের ভিসা প্রসেসিং
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাস শেষের আগেই বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি
পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন