সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে: তাজুল

গ্রাম-গঞ্জের কোন মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকটি মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনোই চাননা। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা।

বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত 'নিত্যপণ্য ও জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি: জনজীবনে চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক উল্লেখ করে এ সংকট মোকাবেলায় দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐকবদ্ধ্য থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই এখন টালমাটাল অবস্থা। অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছু নিয়েই মানুষ আতঙ্কিত। এখন আবার তাইওয়ান-চীন ‍উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সেটির প্রভাব কিন্তু সারাবিশ্বে পড়বে। পৃথিবীতে কি হতে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ বাণী করা কঠিন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপী ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রয়োজনের বড় অংশ গ্যাসসহ ফুয়েলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। ফুয়েল উৎপাদনে প্রথম হচ্ছে ভেনিজুয়েলা, এরপর সৌদি আরব এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে এসব দেশ তেল সরবরাহ করতে না পারায় সারাবিশ্বেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশেও এর বাহিরে নয়।

মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনোই চাননা। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, গ্রাম-গঞ্জের কোন মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকটি মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে। গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে ভুর্তকি দেওয়া যায় না। ভুর্তকি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সরকার কাকে ভুর্তকি দিবে? ধনীকে না গরীবকে? সবখানে ভর্তুকি দিলে অন্য খাতগুলো শৃঙ্খলা হারাবে। ভর্তুকি কোথায় দিতে হবে সরকার সেটি অ্যানালাইসিস করে তারপর দেয়।

মো. তাজুল ইসলাম জানান, অনেক উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমাদের দেশের অবস্থা এতো খারাপ হলে তারা তো আমাদের সহযোগিতা করতো না। একটি গ্রুপ বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলংকা হবে। কেন হবে? শ্রীলঙ্কা কি করেছে আর আমরা কি করছি? ভয়ের কোন কারণ নেই। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।

তিনি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য করোনা মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছিলো। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে পূর্ব থেকেই করোনার টিকা ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানতেন টিকার ক্রাইসিস দেখা দিবে। বাংলাদেশ পৃথীবির মধ্যে করোনা মোকাবেলায় পঞ্চম স্থান অর্জনে করেছে, এশিয়াতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ৯০ শতাংশ মানুষ একাত্ম থাকলেও আমরা যে কোনো সংকট মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করবোই। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক তাই সবাইকে ঐকবদ্ধ্য হয়ে কাজ করতে হবে।

নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি হিসাবে গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসএম/এএস

Header Ad
Header Ad

যারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, যারা সংঘবদ্ধভাবে মব পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি করছে, যারা ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সোমবার (১০ মার্চ) ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও, ধানমন্ডি, শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এ সময় বিভিন্ন অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কার্যক্রম রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় শতাধিক তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এসব চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা সংঘবদ্ধভাবে মব পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যারা চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি করছে, যারা ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান জানান, থানাগুলো পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থানার অভ্যর্থনা কক্ষ, হাজতখানাসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন। ডিউটি অফিসারসহ কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরও তৎপর, সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।

পথিমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত কয়েকটি চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন এবং দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। একইসঙ্গে তিনি যৌথ বাহিনীর কয়েকটি টহল দলের কার্যক্রমও মনিটরিং করেন।

Header Ad
Header Ad

গ্যারি বেকারের বিয়ে তত্ত্ব

একা থাকার অভ্যাস বাড়ছে শিক্ষিত নারীদের, কমছে বিয়ের আগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

অসংখ্য শিক্ষিত নারীদের মধ্যে বাড়ছে একা থাকার অভ্যাস। হঠাৎ একা থাকা কিংবা বিয়ে করার হার কমছে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্যারি বেকারের বিয়ের তত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বেকার তার তত্ত্বে বিয়েকে একটি ‌‘বাজার’ হিসেবে দেখিয়েছিলেন যেখানে মানুষ নিজেদের লাভ-ক্ষতির হিসাব করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা দেখে বিয়ের মাধ্যমে তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা, সঙ্গ এবং সন্তান পালনের সুযোগ কতটা বৃদ্ধি পাবে। যদি ক্ষতির চেয়ে বিয়েতে লাভ বেশি হয় তবে তারা বিয়েতে আগ্রহী হয়।

একজন আদর্শ নারীর উদাহরণ হলো- তরুণ, শিক্ষিত এবং উপার্জনক্ষম। তবে পুরুষের তুলনায় তার উপার্জন বেশি হওয়া চলবে না। এই ধাঁচ ‘ডক্টর বউ’ নামে পরিচিত। তবে পাকিস্তানের স্বাধীন ও উচ্চশিক্ষিত নারীরা যারা হয়তো দেশের বাইরে থাকেন এবং পুরুষদের চেয়ে বেশি উপার্জনক্ষম, বেকারের তত্ত্বকে মানতে নারাজ। পুরোনো প্রথাগত ধারণা অনুযায়ী- নারীরা ঘরের কাজ সামলাবে আর পুরুষেরা বাইরের কাজে পারদর্শী হবে। কিন্তু যদি নারী নিজেই উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষ হন, তখন বিয়ের প্রথাগত অর্থনৈতিক লাভের ধারণা আর কাজ করে না।

এই পরিস্থিতিতে একজন স্বাধীন নারীর কাছে প্রশ্ন জাগে, বিয়ে কি আদৌ প্রয়োজনীয়? তার জন্য বিয়ে লাভজনক হতে পারে কেবল সঙ্গীর আকাঙ্ক্ষা। মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং একাকীত্বের থেকে সঙ্গের প্রয়োজন অনেক সময় বেশি গুরুত্ব পায় তার কাছে। কিন্তু যদি শুধুই সঙ্গ পাওয়া বিয়ের মূল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায় অনেক ক্ষেত্রে। বেকারের তত্ত্ব প্রাসঙ্গিক এখানেই যে, নারীরা সাধারণত তাদের সমপর্যায়ের বা তাদের চেয়ে উচ্চতর স্তরের সঙ্গী খোঁজেন। যদি একজন নারী স্নাতক ডিগ্রিধারী হন তবে তার জন্য সমান শিক্ষিত বা কর্মজীবী সঙ্গী খোঁজাই যুক্তিযুক্ত হয়ে ওঠে।

বেকার এই প্রক্রিয়াকে ‘‘পজিটিভ অ্যাসারটেটিভ মেটিং’’ বলে অভিহিত করেছেন, যেখানে সমপর্যায়ের মানুষরা একে অপরের সঙ্গে বিয়ে করেন। পাকিস্তানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষিত নারীরা এখন সঙ্গী নির্বাচনে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মূল্যবোধকে বেশি গুরুত্ব দেন। অন্যদিকে, “প্রসপেক্ট থিওরি” অনুসারে, নারীরা বিয়ের সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং ক্ষতিগুলির ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে আর্থিকভাবে স্বাধীন নারীরা অনেক সময় সম্পর্কের ঝুঁকি এড়িয়ে চলেন, কারণ তাঁদের কাছে একাকীত্ব অনেক নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়।

বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ‘The Atlantic-এ ‘The People Who Quit Dating’ শিরোনামের একটি আলোচিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে অনেকেই সঙ্গীর সন্ধান ছেড়ে দিয়েছেন। তবে অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি কোনও 'ক্ষতি' নয়, বরং একটি “অনিশ্চয়তা”। সঠিক সময়ে সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে শেষ পর্যন্ত, মানুষের সিদ্ধান্ত একটাই- সেই সঙ্গীকে বেছে নেওয়া, যিনি জীবনে মূল্যবোধ যোগ করবেন, যাতে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় টিসিবি ও ভিজিএফ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তির দায়ের করা মামলায় রোববার পৃথক তিনটি স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, দর্শনা থানাধীন হুলিয়ামারি মিয়া পাড়া গ্রামের মৃত শরীফ উদ্দিনের ছেলে ও এজাহারে বর্ণিত ৪নং আসামি তসলিমুজ্জামান সাগর মেম্বার, গিরিসনগর বাজার পাড়ার আ. খালেক ত্রিপুরার ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৬ নং আসামি বিল্লাল হোসেন এবং গিরিসনগর মোল্লা পাড়ার মৃত সাহেব আলীর ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৩৭ নং আসামি আছের উদ্দিন মান্দার মেম্বার।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে দর্শনা থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার সময় গিরিসনগর মাঠ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় গ্রেপ্তার তিন ঘাতকের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি রামদা ও ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী নাহিদা আক্তার মুক্তা তার স্বামীকে হত্যার দায়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।‌ মামলা নং ০৭, তারিখ ০৯/০৩/২০২৫।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, চাঞ্চল্যকর রফিকুল হত্যা মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা গ্রেপ্তার হবে।

উল্লেখ্য, ভিজিএফ ও টিসিবি'র কার্ডের তালিকা করা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে স্থানীয় বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর শনিবার রাতেই তিতুদহ কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
একা থাকার অভ্যাস বাড়ছে শিক্ষিত নারীদের, কমছে বিয়ের আগ্রহ
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর  
অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য ৯ নির্দেশনা হাইকোর্টের  
বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ  
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইউটিউব  
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার
ধর্ষণ-নিপীড়ন: আজ সারা দেশে ছাত্রদলের মানববন্ধন  
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি  
সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার বাড়ী দখলের অভিযোগে সেই মিস্টি গ্রেফতার
রংপুরে মশাল মিছিল: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি
সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  
আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি
কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ
কাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইউরোপের নয়টি দেশের ভিসা প্রসেসিং
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাস শেষের আগেই বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি