সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারীর ক্ষমতায়নে উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল: স্পিকার

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার (১০ আগস্ট) ইউএন ওমেন সদর দপ্তরে ইউএন ওমেনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক অনিতা ভাটিয়া ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে স্পিকার এ কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ইউএনওমেন এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি এর কার্যক্রমের সঙ্গে নানানভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরনে নিবেদিত ইউএনওমেন এর কার্যক্রমের প্রতি তাই তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।

অনিতা ভাটিয়া ইউএনওমেন সদর দপ্তরে স্পিকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নারীর সার্বিক উন্নয়নে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর বিশেষ আগ্রহ ও মনোযোগ সম্পর্কে ইউএনওমেন সম্যক অবগত আছে।

স্পিকার বলেন, পার্লামেন্ট রাষ্ট্রের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। রাষ্ট্র পরিচালনা এবং উন্নয়ন ও জনস্বার্থ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন সংসদের প্রধান কাজ। কিন্তু সমকালীন বিশ্বে আইন প্রণয়নের বাইরেও পার্লামেন্টের ভূমিকা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণ, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতাসহ সকল প্রকার সহিংসতা নির্মূল, দারিদ্র্য বিমোচনসহ গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আন্তরকিভাবে কাজ করে যাচ্ছ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ইউএন ওমেনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সার্বিকভাবে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের গৃহীত নানান পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাধ্যমে ইউএন ওমেন বাংলাদেশে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করনে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।

সেই লক্ষ্যে সংসদ সদস্যগণের সমন্বয়ে নারী উন্নয়ন বিষয়ক সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপ গঠন করতে ইউএন ওমেন কারিগরি সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন ইস্যূতে সংসদ সদস্যগণের সম্পৃক্ততা জোরালো করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-বিএপিপিডি গঠনের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, বিএপিপিডি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নারী, শিশু ও যুব সমাজের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে শুধুমাত্র আইন প্রণয়ণেই সীমাবদ্ধ না থেকে জাতীয় সংসদের স্পীকারের নেতৃত্বে বিএপিপিডির আওতায় ‘বাল্যবিবাহ ও জেন্ডার ভিক্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ; ‘মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন, নিরাপদ প্রসব নিশ্চিতকরণ ও পরিবার পরিকল্পনা; এবং ‘জনসংখ্যার বহুমাত্রিকতা ও যুব উন্নয়ন-এ তিনটি ইস্যুতে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করাসহ মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।

স্পিকার বলেন, এ ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সংসদ সদস্যগণ যার যার নির্বাচনী এলাকাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাথে সংযোগ স্থাপন করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এ ক্ষেত্রে ইউএনএফপিএ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।

বিএপিপিডি’র আদলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন জোরালো করাসহ জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সংসদীয় গ্রুপ গঠন করার বিষয়ে স্পিকার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে ইউএন ওমেন কর্তৃক কারিগরী সহযোগিতা প্রদানের সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান।

ইউএন ওমেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই গ্রুপ নারীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেন্ডার সমতা অর্জনের পথে যে বাধাগুলো আছে তা চিহ্নিত করবে এবং সেসব বাধা দূরীকরণে সচেতনতা জোরদার করবে।

সমকালীন বিশ্বে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত যে সমস্যাগুলোর উদ্ভব হচ্ছে, তা নারীকে কীভাবে ইফেক্ট করছে, তাও বিভিন্ন পর্যায়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

স্পিকার বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত সংকটে নারী বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে পারলে সাফল্য আসবে। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে স্পিকার বলেন, নদী কিংবা জলাশয়ের পানি নানান কাজে নারীরা ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে এই পানি সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে পানি দূষণ কমানো সম্ভব হবে।

ইউএনওমেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পারিবারিক মজুরিবিহীন শ্রমে নারীর অবদান আড়ালে থেকে যাচ্ছে। নারীর সেই কাজের অর্থনৈতিক মূল্য কিংবা জিডিপিতে সেই শ্রমের অবদান কতদূর, তা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। সেটা কিভাবে নির্ধারণ করা যায় তা নিয়ে ইউএনওমেন কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিটিকস- বিবিএস এর
সঙ্গে তারা কাজ করছে। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সদস্যগণের সহযোগিতা কামনা করেন।

স্পিকার বলেন, পারিবারিক কাজে নারীর এই অবদান সমগ্র বিশ্বেই আড়ালে থেকে যাচ্ছে। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর এই অবদানকে অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।

স্পিকার বলেন, করোনা অতিমারিতেও নারী বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নারীকে এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বিশ্বের সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে স্পিকার বলেন, করোনা অতিমারিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষায় সরকার সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে। এই উপকারভোগীদের একটি বড় অংশ নারী।

তা ছাড়া স্কুলে বালিকাদের স্টাইপেন্ড প্রদান করা হচ্ছে। উক্ত স্টাইপেন্ডের অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তারা যাতে এই কর্মসূচির পূর্ণ সুফল পেতে পারে সেই লক্ষ্যে তাদের মোবাইল সেটও কিনে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত এইসব পদক্ষেপের ফলে করোনা অতিমারির অভিঘাতও বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অতিক্রম করতে পেরেছে।

ইউএন ওমেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এইসব পদক্ষেপের প্রশংসা করে জানায় তিনি বিশ্বে নারী উন্নয়নের রোল মডেল। তারা বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের সামনে সব সময়ই বাংলাদেশের উদাহরণ উপস্থাপন করে থাকেন যাতে তারাও বাংলাদেশের পদাংক অনুসরণ করতে উৎসাহী হয়।

বৈঠকে ইউএন ওমেনের পক্ষ থেকে চিফ অব রিসার্চ অ্যান্ড ডাটা পাপা সেক, প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট-ইউরোপ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া আনুচকা দায়বাল, রিজিওনাল এডভাইজার ফর গভার্নেন্স, পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি মিস সাবিন ফ্রেইজার, ডিরেক্টর-স্ট্রেটেজিক পার্টনারশিপ ডেনিয়েল সেইমর আলোচনায় অংশ নেন।

বৈঠকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এমএ কামাল বিল্লাহ, জাতিসংঘে বাংলাদেশের ডেপুটি পিআর মো. মনোয়ার হোসেন ও কাউন্সিলর মোসা. শাহানারা মনিকা উপস্থিত ছিলেন।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

গ্যারি বেকারের বিয়ে তত্ত্ব

একা থাকার অভ্যাস বাড়ছে শিক্ষিত নারীদের, কমছে বিয়ের আগ্রহ

ছবি: সংগৃহীত

অসংখ্য শিক্ষিত নারীদের মধ্যে বাড়ছে একা থাকার অভ্যাস। হঠাৎ একা থাকা কিংবা বিয়ে করার হার কমছে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্যারি বেকারের বিয়ের তত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বেকার তার তত্ত্বে বিয়েকে একটি ‌‘বাজার’ হিসেবে দেখিয়েছিলেন যেখানে মানুষ নিজেদের লাভ-ক্ষতির হিসাব করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা দেখে বিয়ের মাধ্যমে তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা, সঙ্গ এবং সন্তান পালনের সুযোগ কতটা বৃদ্ধি পাবে। যদি ক্ষতির চেয়ে বিয়েতে লাভ বেশি হয় তবে তারা বিয়েতে আগ্রহী হয়।

একজন আদর্শ নারীর উদাহরণ হলো- তরুণ, শিক্ষিত এবং উপার্জনক্ষম। তবে পুরুষের তুলনায় তার উপার্জন বেশি হওয়া চলবে না। এই ধাঁচ ‘ডক্টর বউ’ নামে পরিচিত। তবে পাকিস্তানের স্বাধীন ও উচ্চশিক্ষিত নারীরা যারা হয়তো দেশের বাইরে থাকেন এবং পুরুষদের চেয়ে বেশি উপার্জনক্ষম, বেকারের তত্ত্বকে মানতে নারাজ। পুরোনো প্রথাগত ধারণা অনুযায়ী- নারীরা ঘরের কাজ সামলাবে আর পুরুষেরা বাইরের কাজে পারদর্শী হবে। কিন্তু যদি নারী নিজেই উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষ হন, তখন বিয়ের প্রথাগত অর্থনৈতিক লাভের ধারণা আর কাজ করে না।

এই পরিস্থিতিতে একজন স্বাধীন নারীর কাছে প্রশ্ন জাগে, বিয়ে কি আদৌ প্রয়োজনীয়? তার জন্য বিয়ে লাভজনক হতে পারে কেবল সঙ্গীর আকাঙ্ক্ষা। মানুষ সামাজিক প্রাণী এবং একাকীত্বের থেকে সঙ্গের প্রয়োজন অনেক সময় বেশি গুরুত্ব পায় তার কাছে। কিন্তু যদি শুধুই সঙ্গ পাওয়া বিয়ের মূল উদ্দেশ্য হয়, তাহলে সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায় অনেক ক্ষেত্রে। বেকারের তত্ত্ব প্রাসঙ্গিক এখানেই যে, নারীরা সাধারণত তাদের সমপর্যায়ের বা তাদের চেয়ে উচ্চতর স্তরের সঙ্গী খোঁজেন। যদি একজন নারী স্নাতক ডিগ্রিধারী হন তবে তার জন্য সমান শিক্ষিত বা কর্মজীবী সঙ্গী খোঁজাই যুক্তিযুক্ত হয়ে ওঠে।

বেকার এই প্রক্রিয়াকে ‘‘পজিটিভ অ্যাসারটেটিভ মেটিং’’ বলে অভিহিত করেছেন, যেখানে সমপর্যায়ের মানুষরা একে অপরের সঙ্গে বিয়ে করেন। পাকিস্তানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষিত নারীরা এখন সঙ্গী নির্বাচনে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মূল্যবোধকে বেশি গুরুত্ব দেন। অন্যদিকে, “প্রসপেক্ট থিওরি” অনুসারে, নারীরা বিয়ের সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং ক্ষতিগুলির ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। বিশেষ করে আর্থিকভাবে স্বাধীন নারীরা অনেক সময় সম্পর্কের ঝুঁকি এড়িয়ে চলেন, কারণ তাঁদের কাছে একাকীত্ব অনেক নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়।

বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ‘The Atlantic-এ ‘The People Who Quit Dating’ শিরোনামের একটি আলোচিত প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে অনেকেই সঙ্গীর সন্ধান ছেড়ে দিয়েছেন। তবে অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি কোনও 'ক্ষতি' নয়, বরং একটি “অনিশ্চয়তা”। সঠিক সময়ে সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে শেষ পর্যন্ত, মানুষের সিদ্ধান্ত একটাই- সেই সঙ্গীকে বেছে নেওয়া, যিনি জীবনে মূল্যবোধ যোগ করবেন, যাতে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় টিসিবি ও ভিজিএফ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তির দায়ের করা মামলায় রোববার পৃথক তিনটি স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, দর্শনা থানাধীন হুলিয়ামারি মিয়া পাড়া গ্রামের মৃত শরীফ উদ্দিনের ছেলে ও এজাহারে বর্ণিত ৪নং আসামি তসলিমুজ্জামান সাগর মেম্বার, গিরিসনগর বাজার পাড়ার আ. খালেক ত্রিপুরার ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৬ নং আসামি বিল্লাল হোসেন এবং গিরিসনগর মোল্লা পাড়ার মৃত সাহেব আলীর ছেলে এজাহারে বর্ণিত ৩৭ নং আসামি আছের উদ্দিন মান্দার মেম্বার।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে দর্শনা থানা পুলিশ ও ডিবির যৌথ অভিযানে শনিবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার সময় গিরিসনগর মাঠ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় গ্রেপ্তার তিন ঘাতকের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি রামদা ও ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী নাহিদা আক্তার মুক্তা তার স্বামীকে হত্যার দায়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।‌ মামলা নং ০৭, তারিখ ০৯/০৩/২০২৫।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ তিতুমীর জানান, চাঞ্চল্যকর রফিকুল হত্যা মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা গ্রেপ্তার হবে।

উল্লেখ্য, ভিজিএফ ও টিসিবি'র কার্ডের তালিকা করা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে স্থানীয় বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর শনিবার রাতেই তিতুদহ কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

Header Ad
Header Ad

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর  

ছবিঃ সংগৃহীত

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে অনুমোদন পেয়েছে পুলিশ।

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় আসামিদের রোববার দিনে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় গভীর রাতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেছে আদালত।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রোববার রাত ১২টার পর মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।

আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন-শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব হোসেন (১৮), বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া (৪২), অপ্রাপ্তবয়স্ক এক কিশোর (১৭) এবং তাদের মা জাবেদা বেগম (৪০)।

মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আবদুল মতিন শুনানি শেষে বোনের শ্বশুরের সাত দিন এবং স্বামী, শাশুড়ি ও আরেক আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার সকাল থেকে প্রায় দিনভর মাগুরা শহরে শিশু ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। বেলা ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখান থেকে সরে গিয়ে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভায়না মোড় মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে আসামিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকায় তাদের আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।

পরে রাত ১২টার পর শুরু হয় রিমান্ড শুনানি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেননি। আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন আসামিরা। রিমান্ড না দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। ফলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। শুনানি শেষে মামলার এক আসামির সাত দিন এবং অন্য তিন আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

ওসি আলাউদ্দিন বলেন, রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও রোববার দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। দিনভর আন্দোলনকারীরা আদালতের ফটক ঘিরে রেখেছিলেন। আসামিদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করছিলেন। এ কারণে রাতে শুনানি করেছে আদালত।

মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) এনে ভর্তি করা হয় এবং পরে শুক্রবার রাতে তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়।

শনিবার ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির অবস্থা ‘সঙ্কটাপন্ন’ জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরপর তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলেও সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে আনা হয়।

রোববার সকালে শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে সিএমএইচে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানে তিনি শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একা থাকার অভ্যাস বাড়ছে শিক্ষিত নারীদের, কমছে বিয়ের আগ্রহ
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ : গভীর রাতে শুনানি, ৪ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর  
অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য ৯ নির্দেশনা হাইকোর্টের  
বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, সড়ক অবরোধ  
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইউটিউব  
কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম গ্রেপ্তার
ধর্ষণ-নিপীড়ন: আজ সারা দেশে ছাত্রদলের মানববন্ধন  
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি  
সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার বাড়ী দখলের অভিযোগে সেই মিস্টি গ্রেফতার
রংপুরে মশাল মিছিল: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি
সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  
আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি
কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ
কাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইউরোপের নয়টি দেশের ভিসা প্রসেসিং
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাস শেষের আগেই বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি
পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন