'১৬ বছরে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে ২১৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট'
২০০৬ সালে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের মোট চাহিদা ছিলো দৈনিক ১ হাজার ৫০২ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান চাহিদা প্রায় ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সে হিসেবে বিগত ১৬ বছরে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ১৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট। একই সময়ে খনিজ তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরো জানান, ২০০৬-২০০৭ অর্থ-বছরে দেশে খনিজ তেলের চাহিদা ছিল প্রায় ৩৫.৭৩ লক্ষ মেট্রিক টন। বর্তমানে চাহিদা প্রায় ৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন। উক্ত চাহিদার বিপরীতে সরকারি/বিপিসি'র নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড (ইআরএল) এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন। এছাড়া, অন্যান্য উৎস (সরকারি/বেসরকারি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্ট) হতে বার্ষিক ৪-৪.৫ লক্ষ মেট্রিক টন জ্বালানি পণ্য পাওয়া যায়। এসময় তিনি আরো জানান, ২০২১-২০২২ অর্থ-বছরে দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রসমূহ হতে উৎপাদন দৈনিক ২ হাজার ৪৩২ মিলিয়ন ঘনফুট এবং এলএনজি আমদানির সক্ষমতা দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের সমতুল্য। তন্মধ্যে ২০২১-২০২২ অর্থ-বছরে দৈনিক ৮২৫ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, চলতি অর্থ-বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় নতুন একটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র। বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র ও এর পার্শ্ববর্তী ২৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে ২টি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ১৫ এবং ২২ প্রকল্পের আওতায় ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি এলাকায় দ্বিমাত্রিক সাইসমিক জরিপ কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়াও পার্বত্য এলাকায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিদেশী কোম্পানির সাথে যৌথভাবে তেল/গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে 'এক্সপ্রেশন অব ইনটারেষ্ট' আহ্বান করা হয়। বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানসমূহের দাখিলকৃত প্রস্তাবসমুহ মূল্যায়ন করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে 'রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল' দেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে।
এসএম/এএজেড