বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আওয়ামী লীগ থেকে সহযোগিতা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে যে সহায়তা আমাদের প্রাপ্য সেটা আমাদের দিতে হবে। যদি সেটা না দেন বা দেওয়া না হয় তাহলে আপনারা যদি আশাও করেন সুন্দর ইলেকশন হবে, সুন্দর ইলেকশন হয়তো হবে না। আমরা সরকারের কাছ থেকে হেল্প নেব। আওয়ামী লীগ থেকে হেল্প নেব না, প্রশ্নই আসে না।’

মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রি পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), সাম্যবাদী দলসহ বেশ কয়েকটি দল সভায় যোগদান করে।

ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা ইভিএম এর অন্ধ গ্রাহক ছিলাম না। এখেনো নই। আগে কয়েকটা সংলাপ হয়েছে, সংলাপের আলোচনাগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। লিপিবদ্ধ করে আলোচনা পর্যালোচনা করব ক্রস এবং কন্সগুলো দেখব, আমাদের সামর্থক কতটুকু সেগুলো আমরা দেখব। এরপর ইভিএমের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা এবার ইভিএম ব্যবহার করব কি না বা সম্পন্নটা ইভিএম ব্যবহার করব কি না বা অর্ধেকটা ইভিএম ব্যবহার করব কি না।

তা ছাড়া এ ব্যাাপারে আরও বক্তব্য শুনতে পারব। আশা করি ঈদের পর পরই হয়তো আগস্ট থেকে রাজনৈতিক সংলাপটা শুরু করব। যেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেখানেও প্রসঙ্গক্রমে ইভিএম আসতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের ইভিএম নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেন। আমরা শতভাগ নিরপেক্ষা থাকার চেষ্টা করব, থাকব। আমরা কোন বাজে মতলব নিয়ে এখানে আসিনি বা আমাদের এ ধরনের কোনো আশ্বাসও কেউ দেননি। কিংবা কোনো রাজনৈতিক চাপ আমাদের উপর নেই।’


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, মন্ত্রী বলেছেন সে সময় সরকার থাকবে। সরকার থাকবে কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে না। সরকার আর আওয়ামী লীগ এক না। আমরা সরকারের কাছ থেকে হেল্প নেব, আওয়ামী লীগ থেকে হেল্প নেব না, প্রশ্নই আসে না। আমার বিশ্বাস সরকার এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজনটা আছে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা উচ্চারণ করতে শুনেছি তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা সেই সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। সেই অধিকার আমরা আদায় করে নেবো। সেই সহায়তা যেটা আমার প্রাপ্য সেটা আমাদের দিতে হবে। যদি সেটা না দেন বা দেওয়া না হয় তাহলে আপনারা যদি আশাও করেন সুন্দর ইলেকশন হবে সুন্দর ইলেকশন হয়তো হবে না।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের মধ্যে ঐক্য চাচ্ছি। নির্বাচনের মাঠে সবাই থাকবেন। বিভিন্ন পার্টির উপস্থিতি কিন্তু এক ধরনের ভারসাম্য সৃষ্টি করে নির্বাচনের মাঠে। আমরা ৫ জন কমিশনার কখনই পর্যাপ্ত নয়।

সব দল চাইলে চারদিনে ভোটের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, নির্বাচনে ফোর্স নিয়োগে ব্যাপার আছে, আমরা এক দিনে ইলেকশন করব? বা আপনাদের সবাই যদি চায় ৪ দিন নির্বাচন করার। কারণ আমরা একটা সংকট দেখি কেন্দ্রে কিন্তু পর্যাপ্ত ফোর্স দিতে পারছি না। সেই ফোর্স লাগত না যদি সব পার্টিগুলো নির্বাচনের কেন্দ্রে এসে দাড়াতেন, তাহলে ওরাই ফোর্স হয়ে যেত। আপনারা সরকারে থেকে সরকারি সাহায্য সহযোহিতা দেবেন। আমরা যে সহায়তা চাইব সেটা সাদরে প্রদান করবেন। শুধু আমাদের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না, নির্বাচন কমিশন একাকী পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করতে পারবে না। যদি না অংশীজনরা তাদের দিক থেকে সহায়তার হাত সম্প্রসারণ না করেন।

এসএম/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, এখন গড়ার পালা: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। আমরা স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছি। এখন সামনের দিনে দেশ গড়ার পালা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, শুধু ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হলেই হবে না প্রফেশনাল খেলোয়াড়, প্রফেশনাল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও তৈরি করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এর ওপর জোর দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন নতুনকুড়ি নামে অনুষ্ঠান হতো, সেখানে নতুন প্রজন্মকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে দক্ষ করে তুলতে কাজ করা হতো। আবারও আমরা সুযোগ পেলে সেই কর্মসূচি চালু করবো।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সমাজে ধারণা হলো, পড়ালেখা করে ভালো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করতে হবে, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিমত হলো, প্রফেশনাল খেলোয়ার, সাংস্কৃতিক কর্মীও দেশ, সমাজ ও পরিবারের জন্য কাজ করবে। এতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য যারা অভিজ্ঞ তাদেরকে নিয়োগ করা হবে। বিএনপি সরকার গঠনে সক্ষম হলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়ার, আর্কিটেক, বক্তা তৈরিতে কাজ করবে।

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

Header Ad
Header Ad

রেলের নতুন মহাপরিচালক হলেন আফজাল হোসেন

রেলের নতুন মহাপরিচালক আফজাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রেলওয়ের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পেলেন মো. আফজাল হোসেন। তিনি সরদার সাহাদাত আলীর স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব উজ্জ্বল কুমার ঘোষের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে নতুন ডিজি নিয়োগের তথ্য জানানো হয়। এ আদেশ আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মো. আফজাল হোসেন মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলভবন, ঢাকা এর দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রজ্ঞাপন। ছবি: সংগৃহীত

সৎ, কর্মনিষ্ঠ ও সদালাপী হিসাবে পরিচিত আফজাল হোসেন এর আগে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো), রেলভবন, ঢাকা (চ.দা.) এবং নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে প্রকল্প পরিচালক, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পদে দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ৬টি ব্যাংককে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, আগামী রবিবার থেকে এসব ব্যাংকগুলোতে টাকা পেতে শুরু করবে গ্রাহকরা। তবে প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না তুলতে গ্রাহকদের অনুরোধ করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, আমরা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহযোগিতা দিচ্ছি। আমানতকারীদের সুরক্ষার জন্যেই এটি দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানান, ব্যাংক খাতে অস্থিরতা দূর করতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, গ্রাহকদের আমানত নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, এ নিয়ে মাথা ব্যথা বাংলাদেশ ব্যাংকের।

এ সময় আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খারাপ হচ্ছে না বরং আগে থেকেই খারাপ ছিল। এখন সে অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা একদিকে তারল্য দেবো, অন্যদিকে পুরানো টাকা আস্তে আস্তে বাজার থেকে সরিয়ে নেবো। এতে দেশের মূল্যস্ফীতি কমে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি বলেছিলেন, নতুন করে আর টাকা ছাপিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, এখন গড়ার পালা: তারেক রহমান
রেলের নতুন মহাপরিচালক হলেন আফজাল হোসেন
২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বিচারককে ডিম ছুড়ে মারা আইনজীবীদের সনদ বাতিল হবে: খোকন
নাম থেকে ‘বচ্চন’ উপাধি ফেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া, তবে কি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ
ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩ হাজার ৪৮৭
রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের