আওয়ামী লীগ থেকে সহযোগিতা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের কাছে যে সহায়তা আমাদের প্রাপ্য সেটা আমাদের দিতে হবে। যদি সেটা না দেন বা দেওয়া না হয় তাহলে আপনারা যদি আশাও করেন সুন্দর ইলেকশন হবে, সুন্দর ইলেকশন হয়তো হবে না। আমরা সরকারের কাছ থেকে হেল্প নেব। আওয়ামী লীগ থেকে হেল্প নেব না, প্রশ্নই আসে না।’
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিইসি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রি পার্টি, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), সাম্যবাদী দলসহ বেশ কয়েকটি দল সভায় যোগদান করে।
ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা ইভিএম এর অন্ধ গ্রাহক ছিলাম না। এখেনো নই। আগে কয়েকটা সংলাপ হয়েছে, সংলাপের আলোচনাগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। লিপিবদ্ধ করে আলোচনা পর্যালোচনা করব ক্রস এবং কন্সগুলো দেখব, আমাদের সামর্থক কতটুকু সেগুলো আমরা দেখব। এরপর ইভিএমের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা এবার ইভিএম ব্যবহার করব কি না বা সম্পন্নটা ইভিএম ব্যবহার করব কি না বা অর্ধেকটা ইভিএম ব্যবহার করব কি না।
তা ছাড়া এ ব্যাাপারে আরও বক্তব্য শুনতে পারব। আশা করি ঈদের পর পরই হয়তো আগস্ট থেকে রাজনৈতিক সংলাপটা শুরু করব। যেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেখানেও প্রসঙ্গক্রমে ইভিএম আসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের ইভিএম নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে দেন। আমরা শতভাগ নিরপেক্ষা থাকার চেষ্টা করব, থাকব। আমরা কোন বাজে মতলব নিয়ে এখানে আসিনি বা আমাদের এ ধরনের কোনো আশ্বাসও কেউ দেননি। কিংবা কোনো রাজনৈতিক চাপ আমাদের উপর নেই।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, মন্ত্রী বলেছেন সে সময় সরকার থাকবে। সরকার থাকবে কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে না। সরকার আর আওয়ামী লীগ এক না। আমরা সরকারের কাছ থেকে হেল্প নেব, আওয়ামী লীগ থেকে হেল্প নেব না, প্রশ্নই আসে না। আমার বিশ্বাস সরকার এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজনটা আছে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা উচ্চারণ করতে শুনেছি তিনি এ ব্যাপারে স্পষ্ট সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সহায়তা দেওয়া হবে। আমরা সেই সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। সেই অধিকার আমরা আদায় করে নেবো। সেই সহায়তা যেটা আমার প্রাপ্য সেটা আমাদের দিতে হবে। যদি সেটা না দেন বা দেওয়া না হয় তাহলে আপনারা যদি আশাও করেন সুন্দর ইলেকশন হবে সুন্দর ইলেকশন হয়তো হবে না।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের মধ্যে ঐক্য চাচ্ছি। নির্বাচনের মাঠে সবাই থাকবেন। বিভিন্ন পার্টির উপস্থিতি কিন্তু এক ধরনের ভারসাম্য সৃষ্টি করে নির্বাচনের মাঠে। আমরা ৫ জন কমিশনার কখনই পর্যাপ্ত নয়।
সব দল চাইলে চারদিনে ভোটের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, নির্বাচনে ফোর্স নিয়োগে ব্যাপার আছে, আমরা এক দিনে ইলেকশন করব? বা আপনাদের সবাই যদি চায় ৪ দিন নির্বাচন করার। কারণ আমরা একটা সংকট দেখি কেন্দ্রে কিন্তু পর্যাপ্ত ফোর্স দিতে পারছি না। সেই ফোর্স লাগত না যদি সব পার্টিগুলো নির্বাচনের কেন্দ্রে এসে দাড়াতেন, তাহলে ওরাই ফোর্স হয়ে যেত। আপনারা সরকারে থেকে সরকারি সাহায্য সহযোহিতা দেবেন। আমরা যে সহায়তা চাইব সেটা সাদরে প্রদান করবেন। শুধু আমাদের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না, নির্বাচন কমিশন একাকী পরিপূর্ণ সফলতা অর্জন করতে পারবে না। যদি না অংশীজনরা তাদের দিক থেকে সহায়তার হাত সম্প্রসারণ না করেন।
এসএম/এমএমএ/