বন্যার্তদের পাশে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দুর্গত সিলেট অঞ্চলের তিন হাজার পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার মানবিক কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।
রবিবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ৫০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সুনামগঞ্জের দুর্গম হাওরাঞ্চল তাহিরপুরের বন্যাদুর্গত আরও ৫০০ পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সিলেটের বিয়ানীবাজার ও বুধবার কানাইঘাটের দুর্গত মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হবে।
এর আগে রবিবার প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, রংধনু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর প্রকাশক কাউসার আহমেদ অপু, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক এলাকায় বন্যাদুর্গত ৫০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেন।
এ সময় রংধনু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আহমেদ অপু জানান, সিলেট অঞ্চলের মোট তিন হাজার বন্যাদুর্গত পরিবার রংধনু গ্রুপের খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে। গ্রুপের এমন মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সোমবার স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাহিরপুরে প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি দুর্গত মানুষের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির, সহকারী কমিশনার মাহবুব আলম মাহবুব, আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর তারেক মাহমুদ সজীব, প্রতিদিনের বাংলাদেশের ফিচার সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আবেদ প্রমুখ।
প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি জানান, এই পর্যায়ে রংধনু গ্রুপের সহায়তায় তিন হাজার ও আল খায়ের ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আরও আড়াই হাজারসহ মোট সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবারের হাতে খাদ্য সহায়তা তুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রংধনু গ্রুপ ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে বিতরণ করা ত্রাণসামগ্রীর প্রতি ব্যাগের মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, এক কেজি করে চিড়া, মুড়ি ও গুড়, দুই লিটার পানি, এক প্যাকেট বিস্কুট, গ্যাসলাইটার ও মোমবাতি।
এদিকে সিলেট অঞ্চলে এবারের ভয়াবহ বন্যায় অসহায় পরিবারগুলো যখন খাদ্যসামগ্রীর সংকটে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, ঠিক সে সময় রংধনু গ্রুপের এই খাদ্য সহায়তা তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনও এ কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে চলেছে।
এনএইচবি/এমএমএ/