বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আমার পিতার স্বপ্ন ছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পিতার স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, বাংলাদেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করা।

শনিবার (২৫ জুন) মাদারীপুর শিবচর কাঠালবাড়ী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। আমার লক্ষ্য ছিল প্রত্যেক ঘরে আলো জ্বলবে। আজকে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পাচ্ছে মানুষ। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। সকলের হাতে মোবাইল ফোন এখন। সবাই যেন অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়েছে বলেই আমরা নির্বাচিত হয়েছি। খালেদা জিয়ার সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ২০০৯ সালে এর কাজ শুরু করি। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আসুন, দেখে যান পদ্মা সেতুর নির্মাণ হয়েছে কি না? বলা হয়েছিল নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করা সম্ভব না। কিন্তু আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। জনগণ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ চলে যাবার পর তিনি চলে গেলেন আমেরিকায়। সেখানে গিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। এরপর বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিল।

তিনি বলেন, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে যে সেতু, সেটা কেন আমরা করতে পারব না?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তি বাংলার জনগণ। বাবা-মা-ভাই সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ফিরে এসেছিলাম এই বাংলাদেশে। এই শরীয়তপুরে যখন এসেছিলাম তখন কি ছিল? নৌকায় করে এক-একটা এলাকায় গিয়েছি। কাদা-পানি মারিয়ে মিটিং করেছি। আজ সেই এলাকা বদলে গেছে। গোপালগঞ্জে যেতে ঢাকা থেকে আগে ২২ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন কতো সহজ হয়েছে।

পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করার পর যখন আমি উদ্যোগ নিলাম, তখন আপনাদের সাহস এবং শক্তিতেই কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আর আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। এই খরস্রোতা পদ্মা সেতু পার হতে গিয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না, বাবা-মাকে হারাতে হবে না, ভাই-বোনকে হতে হবে না। আজ নির্বিঘ্নে আপনারা চলতে পারবেন সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

যারা বাধা দিয়েছিলেন তাদের উপযুক্ত জবাব আমরা দিতে পেরেছি এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করে। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। বাঙালিকে কেউ দাবায়া রাখতে পারেনি।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে সবাইকে টিকা দিয়েছি। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলাসহ বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু এলাকায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। এখানে ফসল উৎপাদন হবে, মাছ চাষ হবে। যা তা দেশ-বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। অন্তত ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। বন্যার সঙ্গে আমাদের বসবাস। সিলেটে আমরা পর্যাপ্ত ত্রাণ পাঠিয়েছি। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাযর শক্তি বাংলাদেশ রাখে, বাংলাদেশের জনগণ রাখে। বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সব মানুষকে আমরা ঘর তৈরি করে দেব, এখন আমরা দিচ্ছি। পদ্মার এপার এবং ওপার, দুই পারের জনগণকে ঘর বাড়ি তৈরি করে দিয়েছি। প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে সে ব্যবস্থা করতে পারব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে জাতির পিতার স্বপ্ন পুরণই আমাদের অঙ্গীকার।

তিনি উপস্থিত জনগণের উদ্দেশে বলেন, কেউ সারারাত জেগে আছেন, কেউ ভোর থেকে অপেক্ষা করছেন। তাদের সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়ে গেছেন জীবন দিয়েছেন আমার বাবা-মা ভাই-বোন। আমি এবং আমার ছোট বোন বেঁচে আছি। এই পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে আমাদের অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার ছেলেমেয়ে জয়-পুতুল, বোন রেহানাসহ অনেকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়েছে। কিন্তু আমরা পিছু হটি নাই। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল এই সেতু নির্মাণ করব এবং দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করব এবং আমরা সেটা করতে পেরেছি। সেই সাহস দিয়েছেন আপনারা।

তিনি বলেন, আপনারা যার যার জায়গায় বৃক্ষরোপণ করবেন। এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সারা পৃথিবীতে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। আপনারা খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগ দেবেন। আপনারা দেশকে গড়ে তুলবেন। কারণ এই দেশ আপনাদের, আমাদের। আজ বাংলাদেশে খাদ্য, বাসস্থান, বিদ্যুৎ সবক্ষেত্রে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

আপনাদের কাছে এটাই আমার ওয়াদা। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ। আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম।

সব শেষে কবিতার ছন্দে তিনি বলেন, ‘নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি দেবার কিছু নেই আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই।’

এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না

মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, দেশের সামগ্রিকভাবে একটি পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই আমরা সংস্কার চেয়ে আসছি। ড. ইউনূস সরকারকে অন্তত কেউ তুলতে পারছে না। যে বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, এখন তারা বলছে এ দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে না। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়।’

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কে. আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: যেভাবে বাংলাদেশ আগাচ্ছে এবং নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি যখন ভঙ্গুর অবস্থা। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সহায়তা দিতে সাহস পাচ্ছে না তখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা চলে আসছে।’

তিনি বলেন, কেউ বলছে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন, কেউ বলছে আগে নির্বাচন। সংস্কার শেষ করে ভোট এ কথার ভিত্তি নেই। ভোট হবে সংস্কারও হবে। ভোটও একটি সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে তাদের (সরকারকে) মিনিমাম কিছু সংস্কার করতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার জরুরি রলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অনেকে ধরেই নিয়েছে এ সরকারের সময় সব কিছু করা যাবে। সব দাবি নিয়ে আসছে। তারা তো সবকিছু করতে পারবে না। সক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে। দেশ একটা স্বৈরাচারের অধীনে ছিল, সেখান থেকে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন চলছে। আওয়ামী লীগের আবার ফিরে আসা সম্ভাবনা খুবই কম। তারা যা করেছে, তিনি ( সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিজেই বলেছিলেন তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি কোনো কিছুরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। সুতরাং জুলাই অভ্যুত্থানকে বিপ্লব বলা যায় না। এখন অনেকে বলছে, এখানে কিছু ভুল ছিল। কেউ বলছে একটা বিপ্লবী সরকার গঠনের উচিত ছিল। এতে সন্দেহ নেই যে, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা কঠিন লড়াই করেছে, সেখানে বিপ্লবী চেতনা ছিল বলেই সম্ভব হয়েছিল।’

Header Ad
Header Ad

সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ

হাতে সংবিধানের একটি সংস্করণ নিয়ে শপথ নেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্য প্রায় ১০০ বছরের। সেই পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে অবশেষে পার্লামেন্টে প্রবেশ করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্ট লোকসভার এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কেরালার ওয়ানাড় আসনের উপনির্বাচনে জয়ের সুবাদে জীবনে প্রথমবারের মতো আইনপ্রণেতা হলেন তিনি।

এদিন ভাই রাহুল গান্ধীর মতো হাতে সংবিধানের একটি সংস্করণ নিয়ে শপথ নিতে দেখা যায় ৫২ বছর বয়সি প্রিয়াঙ্কাকে। প্রিয়াঙ্কার শপথের মধ্যদিয়ে গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য সংসদের সদস্য হলেন।

স্পিকার ওম বিড়লা এবং অন্যান্য সাংসদদের উপস্থিতিতে লোকসভায় শপথবাক্য পাঠ করেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি, এই বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে লোকসভার গ্যালারিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ভডরা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাহুল প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ভাই গান্ধি দুটি আসনে লড়াই করে দুটিতেই জয় পান। তার একটি ওয়েনাড়। অপরটি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলি। তবে ওয়েনাড় আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। এরপর এখানে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়।

ওয়েনাড় উপনির্বাচনে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সিপিআইয়ের সত্যান মোকেরি ও বিজেপির নভ্যা হরিদাস প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী।

রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক ঘটেছিল অনেক আগেই। বহু নির্বাচনী প্রচারে তাকে দেখা গেছে। তবে আগে কখনও নির্বাচনে লড়েননি তিনি। গত ১৩ নভেম্বর একাধিক রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভার পাশাপাশি লোকসভার ওয়েনাড় আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ১০ দিন পর শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। দুপুরের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়, বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা।

ডেকান হেরাল্ডের এক প্রতিবেদন মতে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়েনাড় উপনির্বাচনে ৪ লাখ ১০ হাজার ৯৩১ ভোটের ব্যবধানে বিশাল জয় অর্জন করেছেন। গত সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি ৯ শতাংশ কম হওয়া সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কার ভোটের হার ৬৫ শতাংশ।

Header Ad
Header Ad

ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে লক্ষ লক্ষ্য করে ১৮৮টি মিসাইল ও ড্রোন আক্রমণ চালায় রুশ বাহিনী, এতে দেশটির প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় ইউক্রেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় রুশ বাহিনী বলে জানায় ইউক্রেন।

ইউক্রেন জানিয়েছে, নতুন এ হামলায় রাশিয়া ১৮৮টি মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করেছে। এরমধ্যে তারা ৭৬টি কালিবার ক্রুজ মিসাইল, তিনটি কেএইচ-৫৯/কেএইচ-৬৯ মিসাইল এবং ৩৫টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্য করে যেসব মিসাইল ছোড়া হয়েছে তার সবগুলোই ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি।

ইউক্রেনীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলো ঠিক করতে প্রকৌশলীরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। হামলায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলো এখন তারা সেটি নিরূপণের চেষ্টা করছেন।

কিয়েভের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হামলার বিকট শব্দ শুনে সকালে তাদের ঘুম ভাঙে। কিয়েভ থেকে বিবিসির সাংবাদিক জাহান্না বেজপিয়াতচুক জানিয়েছেন, তিনিও মিসাইলের শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। হামলার পর কিয়েভে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে যেহেতু সেখানকার প্রায় সব বাড়িতে এখন জেনারেটর আছে। তাই তারা আপাতত রান্নাবান্না ও নিজেদের উষ্ণ রাখার কাজটি করতে পারবেন।

ইউক্রেন জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ বছর তাদের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে রাশিয়া ১১ বার হামলা চালিয়েছে।

যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। তাদের ধারণা বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে ইউক্রেন শক্ত অবস্থান থেকে সরে আসবে এবং রাশিয়াকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে ভয় পাবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ
ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩ হাজার ৪৮৭
রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা