শিবচর সমাবেশ ছিল জনসমুদ্র
শিবচর যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ ভোর রাত থেকেই জড়ো হয়েছিলেন শিবচরের কাঁঠালবাড়ির জনসভাস্থলে।
মানুষ এসেছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে। এসেছিলেন নানা বয়সি মানুষ। নারী-পুরুষ নির্বশেষে সবার উপস্থিতি ছিল একেবারে চোখে পড়ার মত।
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল পদ্মার পাড়। নানা রংয়ের ফেস্টুন, ব্যানার হাতে রং-বেরংয়ের পোশাক পরে জড়ো হয়েছিলেন। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রকৃত উৎসবের রং এ রাঙিয়েছিলেন পুরো জনসভা ময়দানকে। মানুষের এই উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙ্গা।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভাস্থলে পৌঁছার আগ পর্যন্ত কাঠফাটা রোদ আর তীব্র গরম উপেক্ষা করে মানুষের এই উপস্থিতি বলে দিচ্ছিল তাদের সব আবেগ, উচ্ছ্বাস, আনন্দ সবকিছুই স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে ঘিরে।
চোখে পড়ার মত ছিল পদ্মা সেতুর ছবি সম্বলিত টি-শার্ট। হাজার হাজার তরুণ-যুবক সেজেছিলেন বর্ণল সাজে। কারও হাতে ছিল বাঁশের বাঁশি । কেউবা নেচে-গেয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন জনসভা ময়দানকে।
সমাবেশে যোগ দেওয়া নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল পদ্মা সেতু আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী যখন সমাবেশস্থলে পৌঁছেন তখন দেখা যায় সমাবেশের আসল রূপ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, পদ্মা সেতু, নৌকা, নৌকা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শিবচরের সমাবেশস্থল। আর প্রধানমন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখেন তখন পিনপতন নিরবতা ছিল সেখানে। সবাই মনোযোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনছিলেন।
আজকের (শনিবার) এই দিনটি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য তো বটেই গোটা বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক ও স্মরণিয় একটি দিন। মানুষের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটেছে পদ্মা ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে।
এই সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দ্বার খুলল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ, শিল্পায়ন, উন্নয়নের।
এনএইচবি/আরএ/