স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে পুলিশের আনন্দ র্যালি
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি করেছে। র্যালিটি শনিবার (২৫ জুন) সকাল ৯টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে শুরু হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা এতে অংশ নেন।
র্যালি শুরুর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার প্রশাসন মীর রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং একাগ্রতার কারণেই আজ পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। আজ পদ্মা সেতুর ঐতিহাসিক উদ্বোধন। সেই আনন্দের অংশীদার এবং গৌরবের অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ র্যালিতে অংশ নিচ্ছে।
রেজাউল করিম আরো বলেন, জাতির যে আনন্দ সে আনন্দের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হয়ে জাতির একটি অংশ হিসেবে এ আনন্দ র্যালিতে আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছি। আমরা গর্বিত অনুভব করছি। প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আমরা আনন্দিত, আমরা উদ্বেলিত, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আমরা আনন্দ উদ্যাপন করছি। জাতির সঙ্গে আমরাও আজ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি দেখব। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন এবং বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অনস্বীকার্য ভূমিকার প্রশংসা করে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট। ধীরে ধীরে গতিহীন হয়ে পড়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পটি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার করা হয়।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়। পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
কেএম/এএজেড