বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বিশ্বব্যাংক

পদ্মা সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই হয় দেশীয় অর্থায়নে। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা নদীতেও একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ১৯৯৯ সালের মে মাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা (প্রি-ফিজিবিলিটি স্টাডি) শুরু হয়। বলা যায়, এটাই দালিলিকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সূত্রপাত। কিন্তু ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর সেতুর উদ্যোগ থেকে থাকে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ সহায়তা দিতে এগিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে সংস্থাটি। জাপান সরকারের দাতা সংস্থা জাইকা ৪০ কোটি, এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক ৬৪ কোটি এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলারের সহায়তা দেবে বলেও চুক্তি স্বাক্ষর করে। তাদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চুক্তি করে ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল। ক্যানাডার এসএনসি লাভালিন কোম্পানি পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পায়।

অনেকটা আকস্মিকভাবে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির যড়যন্ত্রের অভিযোগ করে। অভিযোগে বলা হয়, তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা এবং পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এসএনসি-লাভালিনের কাছে ১০ শতাংশ অর্থ কমিশন চেয়েছিলেন। প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ছিল চার কোটি ৭০ লাখ ডলার।

পদ্মা সেতু নিয়ে প্রথম শঙ্কা তৈরি হয় ২০১১ ও ২০১২ সালে। এসময় বিশ্বব্যাংক প্রকল্পের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন কানাডার একটি কোম্পানি এসএনসি-লাভালিন এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকসহ একাধিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা চুক্তি স্থগিত করে।

বিশ্বব্যাংক দাবি করে, ‘সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা, কানাডার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের মধ্যে যোগসাজশে বিভিন্ন সূত্র থেকে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। এসব তথ্য-প্রমাণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে এসব তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়।’

চুক্তির প্রায় ছয় মাসের ব্যবধানে বিশ্বব্যাংক চুক্তি স্থগিত করে দেয়। কারণ বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ গিয়েছিল ই-মেইলযোগে। তবে বিশ্বব্যাংকের এসব অভিযোগ প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তাতে কান দেয়নি বিশ্বব্যাংক।

সমালোচনার মুখে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পদ থেকে সরানো হয় যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতুসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা এবং সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌসকে। এদের মধ্যে মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা, কাজী ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার এবং সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিল। মোশাররাফ, কাজী ফেরদৌস এবং এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মামলা করে দুদক। প্রধান আসামি করা হয় সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞাকে। অন্য আসামিরা হলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশে কানাডীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোস্তফা, এসএনসি-লাভালিনের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস।

ওই ঘটনায় তদন্তে নেমেছিল দুদকও। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জবানবন্দি নেওয়া এবং যাচাই-বাছাই করে তদন্ত শেষ করে দুদক। ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দুদক মামলার সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুমোদন করে। তদন্ত শেষে দুদক জানায়, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গুজব ও অনুমানের পক্ষে কোনো তথ্য-উপাত্ত ছিল না: কানাডার অন্টারিও সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক ইয়ান নর্ডহেইমার তার রায়ে বলেন, ২০১১ সালে আরসিএমপি ফোনে আড়ি পাতার জন্য আদালতের অনুমোদন পেতে যে তিনটি আবেদন করেছিল তা নিয়েই তার প্রবল আপত্তি ছিল। আরসিএমপির আবেদনে অনুমান, গুজব ও রটনার বাইরে কিছুই ছিল না। তদন্ত করার মতো এবং গুজব ও অনুমানের পক্ষে কোনো তথ্য-উপাত্তও ছিল না।

বিচারক ইয়ান নর্ডহেইমার বলেন, আড়ি পাতার জন্য আবেদনের অনেক তথ্য এসেছিল বিশ্বাসযোগ্য নয় বা অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ইমেইলের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, তথ্যদাতারা কিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ করলেও পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেনি। তাদের সঙ্গে পুলিশের কথা বলা উচিত ছিল। আরসিএমপি দাবি করেছিল, কিছু ব্যক্তি ঘুষের বিষয়ে পরিকল্পনা করার জন্য দুবাই গিয়ে একটি বৈঠকে অংশ নিয়ে থাকতে পারেন। বিচারক এ বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। কারণ আড়ি পাতার অনুমতির জন্য আবেদনে ওই তিন ব্যক্তির ভ্রমণ ইতিহাস উল্লেখ করা হয়েছিল। তারা তিনজনই ২০১১ সালের মার্চ মাসে কানাডার বাইরে গিয়েছিলেন বলে সেখানে তথ্য রয়েছে।

বিচারক বলেন, ওই ব্যক্তিরা কোথায় গিয়েছিলেন সে ব্যাপারে আরসিএমপির আবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। কেভিন ওয়ালেস দুবাইয়ে কখনো যাননি—এ বিষয়টি জানা সত্ত্বেও আরসিএমপি তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় আবেদনে এটি উল্লেখ করেনি এবং প্রথম আবেদন সংশোধনও করেনি।

কানাডার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, আরসিএমপি শুরুতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। তবে মোহাম্মদ ইসমাইল ও আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। অন্য তিনজন এসএনসি-লাভালিনের জ্বালানি ও অবকাঠামো শাখার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ এবং বাংলাদেশি-কানাডিয়ান ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী ভুঁইয়া রায়ে খালাস পেলেন।

শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালের জুনে ওই ঋণচুক্তি বাতিল করে। পরে প্রকল্প থেকে একে একে সরে দাঁড়িয়েছিল এডিবি, জাইকা, আইডিবি। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের এমন বিস্ময়কর ঘোষণার আগের দিন গোটা দুনিয়াকে হতবাক করে দিয়ে পদ্মা সেতুর মত বৃহৎ প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেডএইচ/এসজি/

Header Ad

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ছবি: সংগৃহীত

নয় দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন এ পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

এ সময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি। দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।

পূর্বের ন্যায় ১০০% পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।

চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (বামে) এবং চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য একান্তই তার নিজস্ব, যার কোনো দায়ভার ইসকন নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্যে বা অবস্থানের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কি উদ্যোগ নিলো বা কি বললো তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায়ও ইসকন দায়ী নয়। শিশুর সঙ্গে খারাপ কাজসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অনেক আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর বিবৃতি দেয় ইসকন। যেখানে ভারতকে আলোচনা করতে বলা বাংলাদেশের সঙ্গে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তুললে সেখানে হট্টগোল করে ইসকনের সমর্থকরা। ভাঙচুর চালানো হয় মসজিদে। এ সময় একজন আইনজীবীকে তুলে নিয়ে কুপিয়েও হত্যা করে ইসকন সদস্যরা। যদি এসব বিষয় এখন অস্বীকার করছেন তারা।

Header Ad

ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ

সোহেল তাজ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।’

সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘কত বড় নির্লজ্জ বেহায়া হলে দেশটাকে এক মুহূর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দিবে না। প্রথমে ডিজিটাল জুডিশিয়াল কু’র চেষ্টা, তারপর একের পর এক অপচেষ্টা আনসার বাহিনী দিয়ে, ব্যাটারি রিকশা, নূর হোসেন দিবসে “ট্রাম্প” কার্ড, ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শাহবাগে মানুষের জমায়েত করার চেষ্টা বিভিন্ন কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা আর এবার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা।’

স্ট্যাটাসটিতে তিনি মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ ও ‘অন্তরালে হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী’ বই দুটো সবাইকে পড়তে অনুরোধ করেন।

এ ছাড়া তিনি লেখেন, ‘নীতি আদর্শবিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই—আমি আপাদেরকে চিনি। নষ্ট পচা নীতি/আদর্শবিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলব অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম