নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মাওয়া-জাজিরা
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছাবেন মাওয়ায়। সেখানে যোগ দেবেন পদ্মা সেতুর ফলক উম্মোচনের আগের সুধী সমাবেশে। তার উপস্থিতি, সুধী সমাবেশস্থল এবং পদ্মা সেতু ঘিরে মাওয়া প্রান্ত ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। ইতোমধ্যে পদ্মার মাওয়া প্রান্তে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সুধী সমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে মাওয়ায় সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, দেশি-বিদেশি অতিথিরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে পদ্মা সেতুর উভয়প্রান্তে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়ক, নৌপথ ও আকাশপথে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে সেতুর উভয় পাড়ে এবং মাদারীপুরের শিবচরে যেখানে দুপুরে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সেই সমাবেশস্থল ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেতু এলাকার দুই পাড়ের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নেওয়া হয়েছে এই নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পাঁচ হাজারও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সুধীজনদের নিরাপত্তা দিতে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট করে সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে।
শিবচরের সমাবেশস্থলে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ওয়াচটাওয়ার। নিরাপত্তার স্বার্থ শুক্রবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা থেকেই মাওয়া এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেতু এলাকার আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ। এসব দোকানপাট আজ শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। দায়িত্ব পালন করছেন পাঁচ হাজারের বেশি নিরাপত্তা সদস্য।
এনএইচবি/আরএ/