বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার খুলছে আজ

এক কথায় রূপকথার গল্পকেও হার মনিয়েছে। সকল অসম্ভবকে মাটিচাপা দিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যানে সগৌররে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’। অপেক্ষা করছে তার উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের।

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। প্রত্যাশীত সেই শুভক্ষণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পুরো জাতি। সবার দৃষ্টি এখন প্রমত্তা পদ্মা তীরে। দেশের সক্ষমতার প্রতীক, অহংকার, গর্বের প্রতীক, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো ‘পদ্মা সেতু’র দ্বার খুলছে। সবকিছু ঠিকটাক থাকলে সকাল ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ফলক উম্মোচন ও মোনাজাত করে দ্বার খুলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই শুভক্ষণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ পৌঁছাবে এক অন্য উচ্চতায়।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে কেন্দ্র পুরো বাংলাদেশ এখন এক সুতোয় আবদ্ধ। পদ্মার দুই তীরে উৎসবের আমেজ। মাওয়াপ্রান্তে হবে সুধী সমাবেশ। আর শরীয়তপুরের জাজিরাপ্রান্তে ফলক উম্মোচন ও মোনাজাত করে প্রধানমন্ত্রী মাদারীরপুরের শিবচরে যোগ দিবেন স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশে। যেখানে ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

দেশি-বিদেশী নানান ষড়যন্ত্র আর বাধা-বিপত্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, কথিত দুর্নীতির অভিযোগকে অসাড় প্রমাণ করে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এক অসম্ভবকে সম্ভব করে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু। আমাজনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় খরশ্রোতা প্রমত্তা পদ্মায় সেতু নির্মাণ ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগিদের এই প্রকল্প থেকে হটাৎ করে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি। যা বাংলাদেশের স্বপ্নের প্রকল্পকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে হাত দেন পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে। তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া, পরামর্শক নিয়োগে দরপত্র আহ্বান, মূল সেতুর প্রাকযোগ্য দরপত্র আহ্বান করার কাজ শেষ করেন। সেতুর অর্থায়ন সংস্থা বিশ্বব্যাংক, জাপানের জাইকা, ইসলামী উন্নয়ন সংস্থা এবং এডিবির সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেন। স্বল্পসময়ে ভূমি অধিগ্রহণ কাজেও বড় অগ্রগতি হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ যাবতীয় কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসেন। এমনকী প্রাকযোগ্য দরদাতা নির্বাচন প্রক্রিয়াও শেষ করেন। মাত্র দু’বছরে পদ্মা সেতুর প্রস্তুতির কাজ শেষ করা হয়। টার্গট ছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সেতুর কাজ শেষ করা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করে সরকার। কিন্তু নির্মাণকাজের তদারক করতে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির কথিত অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ২০১২ সালে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগিরাও সরে যায়। দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।

ঋণ দাতাদের চাপে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে পদত্যাগ করতে হয়। দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যেতে হয় সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াকে। প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলামকে সরিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠে। মামলা হয় কানাডার আদালতে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা তদন্তে আসেন বাংলাদেশে। যদিও শেষ পর্ন্ত দুর্নীতির কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। কানাডার আদালত সবাইকে খালাস দেয়।

কিন্তু এই সময়ে দেশের রাজনীতিতে অনেক জল ঘোলা হয় পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি নিয়ে। বিশিষ্টজনরাও সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন। পদ্মা সেতু হবেনা, এটা প্রায় সবাই বলতে থাকেন। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী চেষ্টা করেন বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

এতোসব অনিশ্চয়তা আর নানান চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল, সাহস আর আত্মপ্রত্যয় সেই অনিশ্চয়তাকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে সাহস দেখায় সরকার। শুরু হয় সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া।

সেতুর পিলার তৈরির জন্য ২০১৫ সালে ১ মার্চ প্রথম পরীক্ষামূলক পাইলিং শুরু হয়। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তারপর আর থেমে থাকতে হয়নি। একে একে নির্মাণ হতে থাকে একেকটি পিলার। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান।

এভাবেই ধীরে ধীরে এগোতে থাকে সেতুর কাজ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর ৪২টি পিলারের সবকটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মার এপার-ওপার একিভূত হয়। শতভাগ দৃশ্যমান হয় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতুর নকশা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি এইকম। আর পদ্মা সেতুর মূল নকশাবিদ ছিলেন বৃটিশ নাগরিক রবিন শ্যাম। সেতুর নির্মাণকাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে চায়না মেজর ব্রীজ কোম্পানি লিমিটেড। প্রায় সাত বছরের পরিশ্রম শেষে পদ্মা সেতুর মূল কাজ শেষ হয় চলতি জুনে। গত বৃহস্পতিবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু কতৃপক্ষকে সেতুটি বুঝিয়ে দেয়। আজ সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর। যার প্রতীক্ষায় পুরো দেশ।

দোতলা এই সেতুর নিচ তলায় চলবে ট্রেন। তবে মূল সেতু অর্থাৎ সড়ক সেতুকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করায় রেল অংশের কাজ শ্লথ হয়। যার ফলে সেতুর উপর রেললাইনের কাজ শুরু হবে আর কিছু দিনের মধ্যে। আশা করা হচ্ছে ২০২৩ সালের জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।

এনএইচবি/

Header Ad

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ছবি: সংগৃহীত

নয় দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন এ পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।

এ সময় দাবি বাস্তবায়নে গড়িমসি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে একজন যুগ্মসচিবের অপসারনের দাবিও জানান তিনি। দাবি আদায়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “দাবি আদায়ে আমরা মাঠে আছি। গড়িমসি না করে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরি হতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সকল আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জৈষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধাদি প্রদানের নির্দেশনা প্রদান। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায় বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের পূর্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা। ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।

পূর্বের ন্যায় ১০০% পেনশন গ্রাচুইটি প্রথা চালু করা, সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু করা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক আয়সীমা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত রাখা, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয় ভাতা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ন্যায় রেশনিং প্রথা চালু করা।

চাকরির বয়সসীমা ৫৯ বছরের ০৩ বছর বর্ধিত করে ৬২ বছর নির্ধারণ করা, সচিবালয় কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ও যৌক্তিক পদনাম প্রদান এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরমভাবে বঞ্চিত বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য প্রাপ্যতানুযায়ী সংখ্যানুপাতে পদ সংরক্ষণের আদেশ জারি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, মো. শাহীন, বেলাল হোসেন, সুমন, সিনিয়র নেতা মাহে আলম তৌহিদুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নুরুজ্জামান, জনপ্রশাসনের প্রতিনিধি আরিফ হোসেন ও নজরুল ইসলামসহ প্রমুখ।

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (বামে) এবং চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)-এর সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য একান্তই তার নিজস্ব, যার কোনো দায়ভার ইসকন নেবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঘিরে ভারতের মন্তব্যে বা অবস্থানের সঙ্গেও ইসকনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো দেশের কোনো ব্যক্তি চিন্ময়কে নিয়ে কি উদ্যোগ নিলো বা কি বললো তার জন্য ইসকন দায়ী নয়।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম আইনজীবী হত্যায় ইসকনকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচার চলছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায়ও ইসকন দায়ী নয়। শিশুর সঙ্গে খারাপ কাজসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে অনেক আগেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২৫ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর বিবৃতি দেয় ইসকন। যেখানে ভারতকে আলোচনা করতে বলা বাংলাদেশের সঙ্গে। পরদিন তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তুললে সেখানে হট্টগোল করে ইসকনের সমর্থকরা। ভাঙচুর চালানো হয় মসজিদে। এ সময় একজন আইনজীবীকে তুলে নিয়ে কুপিয়েও হত্যা করে ইসকন সদস্যরা। যদি এসব বিষয় এখন অস্বীকার করছেন তারা।

Header Ad

ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ

সোহেল তাজ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।’

সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘কত বড় নির্লজ্জ বেহায়া হলে দেশটাকে এক মুহূর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দিবে না। প্রথমে ডিজিটাল জুডিশিয়াল কু’র চেষ্টা, তারপর একের পর এক অপচেষ্টা আনসার বাহিনী দিয়ে, ব্যাটারি রিকশা, নূর হোসেন দিবসে “ট্রাম্প” কার্ড, ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শাহবাগে মানুষের জমায়েত করার চেষ্টা বিভিন্ন কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা আর এবার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা।’

স্ট্যাটাসটিতে তিনি মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ ও ‘অন্তরালে হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী’ বই দুটো সবাইকে পড়তে অনুরোধ করেন।

এ ছাড়া তিনি লেখেন, ‘নীতি আদর্শবিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই—আমি আপাদেরকে চিনি। নষ্ট পচা নীতি/আদর্শবিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলব অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
রাজধানীতে হাসনাতকে আবারও ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা
থমকে গেছে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান, তদন্তে এস আলমের প্রভাব
ভারতে পালানোর সময় চট্টগ্রামের পুরোহিত আশীষ আটক
নাটকীয় হারে গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুরের
বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিভক্তি এড়িয়ে ঐকমত্যে কাজ করার আহ্বান মাহাথিরের
ট্রাম্পের ক্যাবিনেট সদস্যদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করবে সরকার
গাজায় একদিনে আরও ৩৩ জন নিহত
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করল মিয়ানমার নৌবাহিনী
সম্পত্তির জন্য বাবাকে তালাবদ্ধ করে রাখলো মেয়েরা
হাসনাত ও সারজিসকে হত্যাচেষ্টাকারী ড্রাইভার ও হেলপার আটক
বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম