‘শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে’
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই দেড় লাখের বেশি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত। করোনা মহামারিকালে এই শিশুশ্রম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশুশ্রমের অন্যতম প্রধান কারণ দারিদ্র্য ও বৈষম্য। তাই শিশুশ্রম নিরসনে দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে হবে। এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়াতে হবে।
রবিবার (১২ জুন) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সামনে ওই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি)।
‘শিশুশ্রম নিরসনে চাই সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা’ এই স্লোাগানকে সামনে রেখে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন এএসডি’র নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম, প্রকল্প কর্মকর্তা গুল-ই জান্নাত জেনী, সুপারভাইজার সৈয়দ শাহিনুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও এখনো শিশুরা কৃষি, কলকারখানা, গণপরিবহন, আবাসন, খাবারের দোকান, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইটভাটা এবং নির্মাণ খাতে কাজ করছে। দারিদ্র্য ও বৈষম্যের কারণে অনেকেই শ্রম দিতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই শিশুশ্রম বন্ধে হলে দারিদ্র্য ও বৈষম্য কমাতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রসার বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
মানববন্ধনে প্রীস্কুল, লার্নিং এন্ড রিক্রিয়েশন সেন্টার ও ড্রপ-ইন-সেন্টারের পথশিশু, গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু, কর্মজীবী শিশু, বস্তিবাসী শিশু ও শিশুদের অভিভাবকরা এবং এএসডি’র কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। তারা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। সেখানে অন্যতম দাবি ছিল ‘শিশু শিক্ষাকে হ্যাঁ বলুন, শিশুশ্রমকে না বলুন এবং শিশু নির্যাতন বন্ধ করুন’।
এসএম/এমএমএ/