সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ৮ দিন ধরে নিখোঁজ ৩ দমকলকর্মী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১২ জন কর্মী নিখোঁজ হন। এর মধ্যে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার ও শনাক্ত হয়। শনিবার (১১ জুন) দিবাগত রাতে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দমকলকর্মী গাউসুল আজম মারা যান। এ নিয়ে সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮ জনে।
ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র বলছে, ঘটনার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ৩ কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজ তিনজনই মারা গেছেন। তবে এখনো তাদের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ ৩ দমকলকর্মী হলেন- মো. রবিউল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান ও শফিউল ইসলাম। রবিউলের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ফরিদুজ্জামানের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। তিনিও সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। শফিউলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, আমাদের এখনো তিন কর্মীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তারা নিখোঁজ রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা মারা গেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তাদের দেহ পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। পুরোপুরি হিউম্যান বডি পাওয়া যায়নি। তাদের ডিএনএ টেস্ট করা ছাড়া শনাক্ত সম্ভব নয়। ডিএনএ টেস্ট করে দেখতে হবে যে এদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের নিখোঁজ তিনজন আছে কিনা।
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের আহত দুইজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সিএমএইচ থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। আহতদের মধ্যে চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখনো ৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজ সকালে একজন মারা গেছেন।
কেএম/এসজি/