কর দিয়ে পাচার টাকা ফেরত আনা যাবে না: সিপিডি
নির্দিষ্ট কর দিয়ে বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার ব্যবস্থা প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে রাখা হলেও তা কার্যকর হবে না। এভাবে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আসবে না।
শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে 'জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩: সিপিডির পর্যালোচনা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই ব্যবস্থা সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করবে। তারা চিন্তা করবে সৎ পথে টাকা আয় করে লাভ কী হলো?
এই ব্যবস্থা টাকা পাচারকে উৎসাহিত করবে মন্তব্য করে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, টাকা যারা পাচার করে তারা দেশে টাকা আনে না। এমনকি বৈধপথে যারা টাকা বিদেশে পাঠায় তারাও দেশে টাকা ফেরত আনে না।
তিনি বলেন, কাজেই আমরা মনে করি এই ব্যবস্থায় টাকা তো দেশে আসবেই না বরং অনেকে নতুন করে টাকা পাচারে উৎসাহিত হবে। এতে কর ন্যায্যতা থাকবে না এবং অনৈতিকতাকে উৎসাহিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।
এর আগে নতুন বিধানের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল জানান, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী বিদেশে অবস্থিত যে কোনো সম্পদের উপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করবে না।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে এর উপর ১৫ শতাংশ, বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে আনা না হলে ১০ শতাংশ ও বাংলাদেশে পাঠানো (রেমিটকৃত) নগদ অর্থের ওপর ৭ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করছি। এই সুবিধা ২০২২ সালের ১ জুলাই হতে ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আরইউ/এসআইএইচ