জলবায়ু তহবিল প্রকল্পগুলোর প্রস্তাবনা তৈরির কর্মশালা হচ্ছে
জার্মান সরকারের উন্নয়ন সহযোগী ‘জিআইজেড’র সহযোগিতায় ‘ট্রেনিং-অব ট্রেইনার্স অন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট প্রোপোজাল ডেভেলপমেন্ট ফর আক্সেসিং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফান্ড’ শীর্ষক ছয় দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
০৪ জুন, ২০২২, ঢাকায় শুরু হয়ে আগামীকাল ১০ জুন শেষ হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূণ কর্মশালাটি। তাদের সবার উদ্দেশ্য, মানসম্পন্ন জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পগুলোর প্রস্তাবনাগুলো ভালোভাবে তৈরি ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলগুলো প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমাদের সক্ষমতাগুলো বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।
উদ্বোধন করেছেন প্রধান অতিথি ইআরডি’র ইউএন উইং’র চিফ ও সরকারের যুগ্ম সচিব কবির আহামদ। তিনি বলেছেন, ‘শুধু প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুতই যথেষ্ট নয়; একটি প্রকল্প প্রস্তাবে কী, কী অন্তর্ভুক্ত করা দরকার, আমরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, হতে পারি, কীভাবে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, সেসব শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের উদ্যোগে আমাদের বেসরকারি খাত-এনজিও ও জলবায়ু খাত নিয়ে যারা কাজ করছেন-সরকারকে সব অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইআরডির উপসচিব এস. এম. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য, প্রকল্পটির প্রস্তাবনাগুলো তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া। জলবায়ু পরিবতনের সমস্যাগুলোকে জাতীয় অগ্রাধিকারে সংযুক্ত করতে হবে, যাতে দাতারা বুঝতে পারেন প্রস্তাবনাগুলোতে উল্লিখিত দাবিগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
জার্মান সরকারের ‘এসডিজি ২০৩০’ উসহায়তায় ইমপ্রুভ কো-অর্ডিনেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স (আইসিআইসিএফ) প্রকল্পের অধীনে ব্র্যাক সিডিএমে টিওটি কর্মশালাটি হচ্ছে। জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড) ও আইসিআইসিএফ অর্থায়ন করছে।
কর্মশালায় সরকারের নানা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, পিকেএসএফ, এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। ইকো লিমিটেড, ইউকে ও সিথ্রিইআর, ব্র্যাক প্রমুখ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষকরা পরিচালনা করছেন।
জলবায়ু সঙ্কটের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ ধ্বংসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সঙ্কটের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে আমরা অন্যতম। আসন্ন সংকটগুলোও মোকাবিলা, জটিল পরিস্থিতিগুলোর উন্নয়নে আমাদের আরো জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা। জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পগুলোর প্রস্তাবনা জমাদান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বাহ্যিক সম্পদ অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের হার অপর্যাপ্ত বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে স্থানীয়, আন্তর্জাতিক উৎসগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য মানসম্পন্ন জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তহবিল প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা দরকার।
কর্মশালায় গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) পরিচালনায় ন্যাশনাল ডেজিগনেটেড অথরিটি (এনডিএ)’র ভূমিকার পাশাপাশি গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ), গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ), নানা এনজিওর সমন্বিত কার্যক্রম, তাদের সবার পারস্পরিক উন্নতি, উন্মুক্ত আলোচনাসহ অ্যাডাপ্টেশন ফান্ড (এএফ) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে।
কর্মশালায় জিআইজেডের আইসিআইসিএফ প্রকল্পের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার ড. ফেরদৌস আরা হোসেন বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে আমাদের অবস্থান সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পগুলোর প্রস্তাবনাগুলো তৈরি করতে বেসরকারি ও সরকারি প্রতিনিধিদের সক্ষমতা জোরদার করতে প্রশিক্ষণ কমশালাটি আয়োজন করা হয়েছে।’
ওএস।