বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কেবল একটি গানেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন আবদুল গাফফার চৌধুরী?

ঢাকায় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের মিছিলে যেদিন গুলি চলেছিল, তার দু'দিন পর দুই বন্ধু আবদুল গাফফার চৌধুরী আর শফিক রেহমান যোগ দিয়েছিলেন এক প্রতিবাদ মিছিলে।

দু'জনেই তখন ঢাকা কলেজের ছাত্র, শফিক রেহমান তখন পরের মাসে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মিছিলটি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে দিয়ে যাচ্ছে, পুলিশের হামলায় আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

"ও তখনই বেশ লম্বা-চওড়া, মোটা-সোটা ছিল। আমি ছুটে গিয়ে তাকে তুললাম, আমার কাঁধে ভর দিয়ে কিছুদূর হাঁটার পর একটা রিকশা পাওয়া গেল। সেই রিকশায় করে আমি তাকে নিয়ে গেলাম ৩৭ নম্বর বেচারাম দেউরিতে, সেই বাড়িতেই তখন আমরা থাকি। আমার বাবা তখন ঢাকা কলেজের হোস্টেলের সুপারিন্টেনডেন্ট", সেদিনের স্মৃতিচারণ করছিলেন সাংবাদিক এবং এক সময় ঢাকার সাড়া জাগানো পত্রিকা যায় যায় দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান।

পরের কয়েক মাস আবদুল গাফফার চৌধুরী ঐ বাড়িতেই কাটিয়েছেন। এখানে বসেই তিনি লিখেছিলেন সেই কবিতা: "আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...", যেটি পরবর্তীকালে আলতাফ মাহমুদের সুরে পরিণত হয় বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের প্রধান সঙ্গীতে।

খ্যাতিমান লেখক-সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার ১৯শে মে লন্ডনে ৮৭-বছর বয়সে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সাত দশকের বেশি সময় ধরে দুই হাতে লিখে গেছেন। তার এই লেখার বেশিরভাগই ছিল রাজনৈতিক ভাষ্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি যেটির জন্য সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন, তা হলো একেবারে তরুণ বয়সে লেখা একুশে ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে লেখা তার সেই কবিতা। ২০০৬ সালে বিবিসি বাংলার শ্রোতাদের বিচারে যে সর্বকালের সেরা বাংলা গান বলে যে ২০টি গানকে নির্বাচিত করেছিলেন, তার তিন নম্বরে ছিল এটি।

তবে এটিই আবদুল গাফফার চৌধুরীর একমাত্র পরিচয় হওয়া উচিৎ নয়, তাকে মনে রাখার বহুবিধ কারণ আছে, বলছেন কবি শামীম আজাদ।

"আমার কাছে যেটা উল্লেখযোগ্য মনে হয়, অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, দুর্নীতি, বাংলাদেশের সব ধরণের উত্থান-পতনকে বুকে ধরে যিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি আবদুল গাফফার চৌধুরী।"

আবদুল গাফফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে।

"উনারা ছিলেন বরিশালের বেশ নামকরা পরিবার। উনার বাবা ওয়াহেদ রেজা চৌধুরী ব্রিটিশ ভারতে অবিভক্ত বাংলার আইন সভার সদস্য ছিলেন। আমাদের সঙ্গে তাদের পারিবারিকভাবে জানা-শোনা ছিল। আমরা বরিশালের একই এলাকার মানুষ। উনাদের বাড়ি এবং আমাদের বাড়ি পাশাপাশি রাস্তায় ছিল," বলছিলেন লন্ডন আওয়ামী লীগের নেতা সুলতান শরিফ।

স্থানীয় মাদ্রাসায় এবং হাইস্কুলে পড়াশোনা শেষ করে আবদুল গাফফার চৌধুরী ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা কলেজে, পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

উনিশশো পঞ্চাশের দশকের ঢাকায় তার কর্মজীবন শুরু হয় দৈনিক ইনসাফে। এরপর একে একে কাজ করেছেন দৈনিক সংবাদ, মিল্লাত, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পূর্বদেশসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। তিনি মূলত নাম করেছিলেন রাজনৈতিক কলাম লেখক হিসেবে, যদিও তার লেখা কলামের যেমন ছিল বহু অনুরাগী পাঠক, আবার এসব কলামে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের অনেক প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য এবং বিবরণের জন্য তুমুল বিতর্কিতও ছিলেন তিনি।

উনিশশো একাত্তর সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ আর সবার মতো আবদুল গাফফার চৌধুরীর জীবনেও নানা ঘাত-প্রতিঘাত তৈরি করেছিল। যুদ্ধের পর তাঁর স্ত্রী যেভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেটাই তার জীবনের বাঁক ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

"শেষ কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়ার সময় তার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোন চিকিৎসা বাংলাদেশে করা যাচ্ছিল না। তখন বঙ্গবন্ধু তাকে বলেন, লন্ডনে নিয়ে যাও। এরপর ১৯৭৪ সালে তিনি স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন। কিন্তু এরপর ১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধু নিহত হন, তারপর আর তার দেশে ফিরে যাওয়া হয়নি," বলছিলেন সুলতান শরিফ।

উনিশশো সত্তরের মাঝামাঝি সেই সময় আবদুল গাফফার চৌধুরীকে যারা ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন, তাদের বর্ণনা অনুযায়ী, তখন লন্ডনে তাকে বেশ কষ্টকর জীবন কাটাতে হয়েছে।

"বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পর এর প্রতিবাদ করে উনি লন্ডনের এক কাগজে প্রথম লেখেন। এর ফলে তাকে সরকারের রোষে পড়তে হয়। সে সময় উনার খুব কষ্টের জীবন গেছে। দোকানে কাজ করেছেন, এখানে ওখানে শিক্ষকতা করেছেন," বলছিলেন সুলতান শরিফ।

লন্ডনের বাংলাদেশি লেখক এবং ছড়াকার দিলু নাসের আশির দশক থেকে ঘনিষ্ঠ ছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে। একসময় তারা লন্ডনে একই সংবাদপত্রে সহকর্মীও ছিলেন। অসুস্থ স্ত্রী, এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে তাকে যেরকম হিমসিম খেতে হয়েছে, সেটি দেখেছেন তিনি।

"আবদুল গাফফার চৌধুরীর মতো একজন সাংবাদিককে তখন গ্রোসারি শপে পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে," বলছিলেন তিনি।

প্রবাসে এরকম কষ্টের জীবনের পরেও কেন দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবেননি তিনি?

সুলতান শরিফ বলছেন, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি যেরকম প্রতিকূল হয়ে উঠেছিল, সেটা আর সম্ভব ছিল না।

"বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যখন দেশে খুব প্রতিকূল অবস্থা, তখন লন্ডনে থেকে তিনি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠনে বড় ভূমিকা রাখেন। তার এই ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।"

বাকী জীবনের জন্য যে তাকে প্রবাসেই স্থায়ী হতে হয়েছিল, সেটা নিয়ে তার মধ্যে সেরকম দুঃখবোধ দেখেননি দিলু নাসের।

"উনি যে কথাটা সবসময় বলতেন, আমি পৃথিবীর যে দেশেই থাকি না কেন, আমি তো বাংলা ভাষাতেই কাজ করে যাচ্ছি। লন্ডনে সবার সঙ্গেই ছিল উনার মধুর সম্পর্ক। এক সময় তিনি প্রতিদিনই পূর্ব লন্ডনে আসতেন আড্ডা দিতে। মানুষে সঙ্গ উনি খুব পছন্দ করতেন। মানুষ ছাড়া আসলে উনি থাকতে পারতেন না।"

জীবনের বাকী সময়টা যদিও আবদুল গাফফার চৌধুরী লন্ডনেই কাটিয়েছেন স্থায়ীভাবে, তার লেখালেখির প্রায় পুরোটাই ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। তার লেখা রাজনৈতিক কলাম একসময় বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। তবে দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের পাঠকদের সঙ্গে তার রাজনৈতিক কলামের নতুন করে পরিচয় ঘটিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ বয়সের বন্ধু শফিক রেহমান।

উনিশশো আশির দশকের শুরুর দিকে যখন বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসন চলছে, তখন শফিক রেহমান লন্ডনে বিবিসিতে খন্ডকালীন কাজ করেন, সেখানে সহকর্মী হিসেবে আবার কাছে পেলেন তরুণ বয়সের বন্ধু আবদুল গাফফার চৌধুরীকে।

"আমরা তখন ওসি, অর্থাৎ আউটসাইড কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করতাম। আমাদের আরেক বন্ধু ফেরদৌস আহমেদ কোরেশিও কাজ করতেন এরকম খন্ডকালীন কর্মী হিসেবে," বলছিলেন শফিক রেহমান। ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতাদের একজন।

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস তখন লন্ডনের স্ট্র্যান্ডে বুশ হাউজে। শফিক রেহমান একদিন বুশ হাউজের ক্যান্টিনে গিয়ে দেখেন আবদুল গাফফার চৌধুরী এবং ফেরদৌস আহমেদ কোরেশির মধ্যে তুমুল রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক চলছে।

"তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম। আমি দু'জনের ঝগড়া থামিয়ে বললাম, আমি দেশে ফিরে যাচ্ছি, তোমরা দুজন আমার কাগজে লিখবে," সেদিনের ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলছিলেন শফিক রেহমান।

"এই সময় আমি ঠিক করে ফেলেছিলাম যে আমি লন্ডনে আর থাকবো না, দেশে ফিরে যাব। তখন এরশাদের সেনা শাসনামল চলছে।"

উনিশশো চুরাশি সালে শফিক রেহমান দেশে ফিরে বের করলেন 'যায় যায় দিন' নামের সাপ্তাহিক। এটি সাথে সাথেই বাজার মাত করেছিল, তরুণ পাঠকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে দিয়েছিল। পত্রিকাটিতে পাশাপাশি ছাপা হতো একেবারেই ভিন্ন রাজনৈতিক মতের লেখকের কলাম। যায় যায় দিন পত্রিকার মাধ্যমেই আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে নতুন করে পরিচয় ঘটে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের পাঠকদের। জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার লেখা রাজনৈতিক কলাম।

"আমার যায় যায় দিন কাগজে এরা দু'জনেই কলাম লিখতেন, পাশাপাশি ছাপা হতো দুই ভিন্ন রাজনৈতিক মতের কলাম। ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি লিখতেন স্বগত সংলাপ, আর গাফফার চৌধুরী লিখতেন তার রাজনৈতিক কলাম। এর পাশাপাশি "লন্ডন নকশা" নামেও তার একটি কলাম যেত।"

"আজ তাদের দু'জনেই নেই, আমার মনটা আসলেই খুব খারাপ," বলছিলেন শফিক রেহমান।

আবদুল গাফফার চৌধুরী যখন বিবিসিতে খন্ডকালীন কাজ করতে আসতেন, তখন তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন বিবিসির আরেক সাবেক কর্মী দীপঙ্কর ঘোষ। দীর্ঘদিন আগে অবসরে যাওয়া দীপঙ্কর ঘোষ এখন থাকেন কলকাতায়।

"১৯৭৫ সালের দিকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন তিনি লন্ডনে আরও কয়েকটি জায়গায় কাজ করতেন। ওঁনার স্ত্রী তখন হুইল চেয়ারে বন্দী, বাসায় হুইল চেয়ারে বসেই তাকে কাজকর্ম করতে হতো। পরে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।"

উনিশশো তেতাল্লিশ সালে বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, তার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১৯৯৩ সালে বিবিসিতে কিছু ধারাবাহিক অনুষ্ঠান হয়। তখন দীপঙ্কর ঘোষের সঙ্গে কাজ করেছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

"তখন অমর্ত্য সেন, মৃণাল সেন, ঢাকার কিছু সাংবাদিক, আমলাকে নিয়ে আমরা সিরিজ অনুষ্ঠান করি। সেটিতে গাফফার ছিলেন অন্যতম কন্ট্রিবিউটর। কারণ এই দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে তিনি ভালো জানতেন। এই দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট যে তদন্ত করেছিল, তখন ব্রিটিশ সংবাদপত্রে এই দুর্ভিক্ষের খবর কতটা প্রকাশ করা হয়েছে, কতটা করা হয়নি, এটা নিয়ে উনি বেশ ভালো ওয়াকিবহাল ছিলেন। তার সেই কন্ট্রিবিউশন খুব বেশি করে মনে পড়ে।"

লন্ডনে এক সঙ্গে কাজ করার সুবাদে আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে দীপঙ্কর ঘোষের বেশ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। তাদের শেষ কথা হয় জানুয়ারি মাসে, সেদিন তিনি মাত্র হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

"সাংবাদিক হিসেবে তার জ্ঞানের গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। সাংবাদিকতার যে খুঁটিনাটি, কার কাছ থেকে কি তথ্য বের করে আনতে হবে, সেগুলো ছিল তার নখদর্পণে। গাফফার সেটা বেশ ভালো জানতেন। আর তিনি অনেক জানতেন, অনেক পড়াশোনাও করতেন।"

সাংবাদিকতার বাইরে প্রথম জীবনে আবদুল গাফফার চৌধুরী যেসব লেখালেখি করেছিলেন, তার মধ্যে একজন শক্তিমান লেখকের সম্ভাবনা দেখেছিলেন অনেকেই, কিন্তু পরবর্তী জীবনে তাঁকে সেরকম লেখালেখিতে খুব বেশি মনোনিবেশ করতে দেখা যায় নি।

তার লেখা বইয়ের মধ্যে আছে ভয়ংকরের হাতছানি, সম্রাটের ছবি, ডানপিটে শওকত, চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান, পলাশী থেকে ধানমন্ডি, শেষ রজনীর চাঁদ এবং কৃষ্ণপক্ষ।

"আমি বলবো গাফফার চৌধুরী ছিলেন একজন সাহিত্যিক, কিন্তু তিনি কখনোই সেভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন না। তার অপার সম্ভাবনা ছিল সাহিত্যে," বলছিলেন শফিক রেহমান।

"দেখুন, আজকে আবদুল গাফফার চৌধুরীকে সবাই চেনে আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো গানের লেখক আর কিছু বিতর্কিত রাজনৈতিক কলামের জন্য। কিন্তু সে তো আসলে একেবারেই ভিন্ন কিছু হতে পারতো। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণের মতো লেখকদের পঙক্তিতে জায়গা করে নিতে পারতো। আমার দুঃখ লাগে যে, এটা সে করলো না।"

/বিবিসি বাংলা থেকে/এএস

Header Ad

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

চলমান সংকট নিরসনে এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার পরিষদ নিয়ে অতিদ্রুত এই বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ন সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। এবং দেশে যেন কোনো রকম অবস্থার সৃষ্টি না হয় যাতে বিভাজন সৃষ্টি হবে। আমরা বলে এসেছি, এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোকে মোকাবিলার জন্য আমাদের বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা স্ট্যাবিলি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বলেছি।

নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য তৈরির বিষয়ে আমরা বলে এসেছি। নির্বাচনের জন্য যেটা প্রয়োজন, সংস্কার সম্পন্ন করে যত দ্রুত রোডম্যাপ দিতে বলে এসেছি। প্রধান উপদেষ্টা এবং যে সদস্যরা ছিলেন তারা মনযোগ নিয়ে শুলেছেন।

বিএনপি নেতাদের নামে সারা দেশে যে মামলাগুলো রয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান দলটির মহাসচিব।

Header Ad

ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো থামছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ’২৪-এর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজধানীর মিরপুরে নিহত ‘শহীদ’ পরিবারগুলোর সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এ কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোর কাছে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রিজভী। এ সময় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ঠিকই, কিন্তু তার যে টাকার উৎস- এটা এখনো তৃণমূলে অনেকের কাছে নানাভাবে রয়েছে। ওই টাকাগুলোই খরচ করে তারা এলাকার পর এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, চট্টগ্রামে গতকাল (মঙ্গলবার) একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি সংগঠনের অভ্যুদয় দেখছি খুব অল্প কিছুদিন ধরে। এই সংগঠনটি কীভাবে তৈরি করা হলো, কে কে এর নেতৃত্বে আছে? গতকাল (মঙ্গলবার) এই সংগঠনের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; এরা সবাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সেজে এই সংগঠনটির মধ্যে ঢুকে সারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের একজন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, এই কারণে ভারত থেকে তার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এগুলো কীসের আলামত?

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আমাদের প্রায় দুই হাজারের মতো সাধারণ মানুষকে, বাচ্চা ছেলেদের গুলি করা হয়েছে, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কই তখন তো ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর একটা স্টেটমেন্ট দেয়নি? শেখ হাসিনার এই ভয়ংকর নিপীড়নের জন্য, এই রক্তক্ষরণের জন্য একটা স্টেটমেন্ট তো দেননি? সরকার এবং সব মানুষ আজকে বুঝতে পারছে, কোনো একটা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের খেলা চলছে? কোনো কিছু একটা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটাতো সূর্যের আলোর মতো একেবারে পরিষ্কার। এই সংকটটা কৃত্রিমভাবে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ বিভাগীয় শহরগুলোতে নেমে পড়ছেন, দাবি জানাচ্ছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পাশাপাশি শান্তিতে-সহাবস্থানে দীর্ঘদিন বাস করছি। আজকে কেন পরিকল্পিতভাবে বলা হচ্ছে, এখানে হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরাট অংশ এর মধ্যে নেই। তারাও বুঝতে পারছে যে, কোন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। একজন আইনজীবীকে পর্যন্ত হত্যা করার মতো ধৃষ্টতা দেখানো হচ্ছে; এর জন্য ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর তো কোনো বিবৃতি দিল না। অস্থিতিশীলতা তৈরি করার কারণে চিন্ময় ব্রহ্মচারী নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ জন্য তো বিবৃতি দিল না। সে তো বাংলাদেশের নাগরিক; তার প্রতি যদি সরকার অন্যায় করে, তাহলে তাদের লোকজন এখান থেকে দাবি তুলতে পারেন। কেন বাহিরের একটি দেশ থেকে এই ধরনের প্রতিবাদ আসছে? এগুলো তো সব রহস্যজনক বিষয়। বাংলাদেশকে তারা মনে হয় স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা মনে করে- দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে, বাংলাদেশ সেভাবে চলবে। এটা ১৮ কোটি মানুষের দেশ, এই দেশ এভাবে চলতে পারে না। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকাররা এটা যেন ভুলে না যায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভারতের অনেক ছাত্র সংগঠন সমর্থন দিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে। কিন্তু ভারতের যে শাসকগোষ্ঠী, পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ভারত শাসন করছে। এই কারণেই তারা একচোখা নীতি অবলম্বন করে বাংলাদেশকে দেখছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের যে প্রক্রিয়া চলছে, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যে দেশ যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ-সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে- এটাকে মনে হয় অনেকেই সহ্য করতে পারছে না। এই ধরনের পরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা যাবে না। কারণ, দেশের মানুষ অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন ও সংগ্রামী। নিজের জীবন উৎসর্গ করে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে জানে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, শাহাদত হোসেন, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

Header Ad

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে আদালত কক্ষে ডিম ছুড়ে মেরেছেন একদল আইনজীবী। এক পর্যায়ে ওই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে নেমে যেতে বাধ্য হন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, দুপুরের পর ওই বেঞ্চে বিচারকাজ চলছিল। এসময় একদল আইনজীবী এজলাস কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা ডায়াসের সামনে গিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি একজন বিচারপতি হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। আপনি এখনও যদি ওই চিন্তাভাবনা পোষণ করেন তাহলে আপনার বিচারকাজ পরিচালনার অধিকার নাই।

এক পর্যায়ে আইনজীবীদের মধ্যে কেউ একজন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারেন। তবে ছুঁড়ে মারা ডিম বিচারপতির আসনের সামনে থাকা ডেস্কে লাগে। এছাড়া কিছু আইনজীবী হইচই করতে থাকেন। এ অবস্থায় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম এজলাস ছেড়ে নেমে খাস কামরায় চলে যান।

২০১৬ সালে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণে বলেন-

‘মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাকবাকুম করে ক্ষমতা নিয়ে নিলেন, তথা রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেন। একবারও ভাবলেন না, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্মচারী হয়ে কীভাবে তিনি রুলস ভঙ্গ করেন। ভাবলেন না তার শপথের কথা। ভাবলেন না, তিনি দেশকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে মৃত্যুকে বরণ করার শপথ নিয়েছিলেন। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রক্ষা করতে। ভাবলেন না, তিনি এবং তারা ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় চার নেতাকে রক্ষা করতে। জনগণ আশ্চর্য হয়ে দেখল মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের দোসর হয়ে তাদের রক্তাক্ত হাতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করল। যাকে এক কথায় বলা যায় বন্দুক ঠেকিয়ে জনগণের প্রতিষ্ঠান দখল।

আমরা জানি ডাকাতরা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে। ডাকাতদের যে নেতৃত্ব দেয় তাকে ডাকাত সর্দার বলে। ডাকাতি করার সময়ে ডাকাতরা বাড়িটি বা ঘরটি কিছু সময়ের জন্য অস্ত্রের মুখে দখল করে এবং মূল্যবান দ্রব্যাদি লুণ্ঠন করে। বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান গংরা দেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র এবং অবৈধ কলমের খোচায় নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে ভেঙে ডাকাতদের মতো অবৈধভাবে জোরপূর্বক জনগণের ক্ষমতা ডাকাতি করে দখল করেন। যে বিচার বিভাগ এবং এর বিচারকদের ওপর আইনগত দায়িত্ব ছিল সাংবিধানের সামান্যতম বিচ্যুতিকে রক্ষা করা, সংরক্ষণ করা এবং নিরাপত্তা প্রদান করা; সেই বিচার বিভাগ এবং এর তৎকালীন বিচারকরা সংবিধানকে এক কথায় হত্যা করলেন, জনগণের রায় ডাকাতি করে ‘জনগণের নির্বাচিত সংসদকে বাতিল করলেন। অপরদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান নিয়ম একজন সরকারী কর্মচারী হয়েও আর্মি রুলস ভঙ্গ করে জনগণের রায়ে নির্বাচিত জাতীয় সংসদকে হত্যা করে দেশের সংবিধানকে হত্যা করে অস্ত্রের মুখে অন্যায়ভাবে অসৎভাবে হত্যাকারীদের দোসর হয়ে জনগণকে চরম অবজ্ঞা করে ক্ষমতা দখল করেন।

একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী তথা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আল-শামস এবং জামায়াতে ইসলামীকে এদেশে পুনর্বাসন করেন। তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেন। তাদের নাগরিকত্ব দেন (যে নাগরিকত্বকে আমাদের তথাকথিত জামায়াতি এবং স্বাধীনতা বিরোধী মানসিকতার বিচারকরা বৈধ বলেন)। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সংসদ সদস্য করেন এবং তাদের মন্ত্রী বানিয়ে, তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে এবং দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের সঙ্গে বেইমানি করেন। এর পরেও কি বাংলাদেশের জনগণ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে পারে?

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারীদের শুধু দোসরই হননি, বরং তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য ইত্যাদি বানিয়ে। তিনি আরও জঘন্য যে কাজটি করেন তা হলো তিনি জনগণের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারীদের হত্যার বিচার বন্ধ করে দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করেন। অর্থাৎ তিনি জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকে এই দায়মুক্তি আইন দ্বারা সমর্থন দিয়ে প্রমাণ করেন তিনিও জাতির পিতা ও তার পরিবারের হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদেরই একজন।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ