সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা পাবেন মন্ত্রীর সমমর্যাদা
ছবি : সংগৃহীত
সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও উপনেতার পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার সংক্রান্ত সামরিক আমলের আইন বাতিল করে নতুন আইন 'বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১' পাস করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এর আগে গত ৩ সেপ্টম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী। পরে বিলটি ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সামরিক শাসন আমলে ১৯৭৯ সালের এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশটি বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, বিরোধী দলীয় নেতা সরকারের একজন মন্ত্রীর জন্য ধার্য বেতন, ভাতা, অন্যান্য বিশেষাধিকার পাবেন। আর বিরোধী দলীয় উপনেতা একজন প্রতিমন্ত্রীর সমান বেতন, ভাতা, ও অন্যান্য বিশেষাধিকার পাবেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষে সংসদ গঠনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া রাজনৈতিক দল সংসদে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে জাতীয় পার্টি(জাপা)।
তবে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর দলের কোনো বৈঠক ছাড়াই ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে ঘোষণা দেন বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ঘোষণায় বলা হয়, দলের পদাধিকার বলে তিনি(এরশাদ) হবেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এবং তার ভাই জি এম কাদের হবেন বিরোধীদলীয় উপনেতা।
এরপর ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা ও জি এম কাদেরকে বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন স্পিকার। পরে ওই বছরের ২২ মার্চ স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে জি এম কাদেরের পরিবর্তে রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় উপনেতা করার অনুরোধ জানান এরশাদ। পরদিন ২৩ মার্চ রওশনকে বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন স্পিকার।
তবে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই একাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ মারা গেলে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা এবং ভাই জিএম কাদের বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে নির্বাচিত হন।
এসএম/এসএইচ/এমএমএ