রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১০

দ্য ফার্স্ট ম্যান

বাবা, তার মৃত্যু

যুদ্ধ, বোমা বিস্ফোরণ

একটানা পাঁচটা সিঁড়ি বেয়ে, নিশ্চিত গতিতে একটাও ভুল পদক্ষেপ না ফেলে, তার শরীর যেন সিঁড়িগুলোর সঠিক উচ্চতা এখনও ঠিক ঠিক মনে রেখেছে, তেমনিভাবে দৌড়ে উঠে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে দরজার সামনেই জ্যাক মাকে জড়িয়ে ধরল। যখন সে ট্যাক্সি থেকে নামল তখন রাস্তাটা ইতোমধ্যে জেগে উঠেছে; জায়গায় জায়গায় সকাল ঝলমল করে উঠছে। কুয়াশার ভেতরে পল্লবিত তাপ চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। অনেক দিন আগে যেখানে তাকে দেখা গেছে সেখানেই মাকে দেখতে পেল জ্যাক নাপিতের দোকানের মাথার উপরে দুই রুমের মাঝখানে সরু ব্যালকনিতে।

এই নাপিত লোকটা অবশ্য জাঁ এবং যোসেফের বাবা নন; তিনি যক্ষায় মারা গেছেন। তার স্ত্রী বলতেন তার কাজের কারণেই যক্ষা হয়েছিল, মানে তার নিঃশ্বাসের সঙ্গে সব সময় শরীরের মধ্যে চুল প্রবেশ করত। টিনের চালার উপরে আগের মতোই আছে ডুমুরের ফল, ছোট ছোট কাগজের টুকরো, সিগারেটের গোড়ালি ইত্যাদি। মা ওখানে দাঁড়িয়েছিলেন। চুল এখনও অনেক; তবে বেশ কয়েক বছর আগেই পেকে গেছে। বয়স বাহাত্তর বছর হয়ে গেলেও শরীর টানটান; হালকা পাতলা শরীরের কারণে তাকে আসলে বয়সের চেয়ে দশ বছরের মতো ছোট দেখায়। শরীরের শক্তি মনে হয় আগের মতোই আছে; তাদের পরিবারের সবারই শরীর-স্বাস্থ্য এরকমই। তাদের সবারই শরীর হালকা পাতলা, নির্লিপ্ত চালচলনের কারণে ক্লান্তিহীন অবয়ব। তাদের কারও উপরে বার্ধক্য ভর করতে পারেনি। পঞ্চাশ বছর বয়সেও তার আধাবোবা মামা এমিলকে অল্পবয়সী যুবকের মতো মনে হয়। নানি মারা যাওয়ার সময়েও তার মাথা একটু নুইয়ে পড়েনি। আর তার মা, যার কাছে জ্যাক এই তো ছুটে এসেছে, কোনো কিছুই তার নীরব সহ্য ক্ষমতাকে ক্ষয় করতে পারেনি। জ্যাক ছোটবেলায় সর্বান্তকরণে মায়ের অল্পবয়সী সুদর্শনা চেহারাটা ভক্তিতে উচ্চে তুলেছে; তার সেই চেহারাটা দশকের পর দশক ধরে কায়িক শ্রমের বোঝা পার করেছে। তবু যেন সেই অল্পবয়সীই রয়ে গেছেন তিনি।

জ্যাক চৌকাঠের কাছে পৌঁছলে মা দরজা খুলে দিয়ে নিজেকে ছেলের বাহুতে এলিয়ে দিলেন। আগে যেমন প্রতিবারই পুনর্মিলনের সময় দুতিনবার চুমু খেতেন ছেলেকে এবারও নিজের শরীরের সঙ্গে সর্বশক্তি দিয়ে চেপে ধরে চুমু খেলেন। আর জ্যাক মাকে নিজের বাহুর মধ্যে ধারণ করে মায়ের পাঁজরের হাড়গুলোর অস্তিত্ব টের পেল। মায়ের কাঁধের বের হয়ে আসা অস্থিগুলো যেন একটুখানি কেঁপে গেল। তখন মায়ের ত্বকের কোমল সুগন্ধ জ্যাকের নাকে আসে আর মনে পড়ে যায় মায়ের স্বরযন্ত্রের নিচে এবং ঘাড়ের তন্তুর মাঝের দাগের কথা। আগে ওখানে চুমু দেওয়ার সাহস হতো না।

তবে মাঝে মাঝে মা তাকে কোলে বসিয়ে দিলে ধুমের ভান করে ওখানে নাক ডুবিয়ে থাকতে ভালো লাগত; ছেলেবেলায় মায়ের ঘাড়ের ওখানে নাক ডুবিয়ে যে কোমলতার পরশ পেত ওই জীবনে আর কোথাও তেমন পেত না। মা এবার জ্যাককে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আবার ছেড়ে দিলেন যেন ছেলের প্রতি তার ভালোবাসা কতখানি আছে কিংবা কতখানি প্রকাশ করেছেন তা মেপে দেখছেন এবং বুঝতে পারছেন, আরও খানিকটা বাদ আছে প্রকাশ করা। সেটুকু প্রকাশ করতেই তিনি আবেগভরা কণ্ঠে বলে উঠলেন, বাবা, কত দূরে ছিলি এতদিন! তারপর ঘুরে গিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে রাস্তামুখি খাবার ঘরটাতে গিয়ে বসলেন। মনে হলো, তিনি আর ছেলের কথা ভাবছেন না কিংবা তিনি আর বর্তমানের মুহূর্তে নেই: ছেলের দিকে এমনভাবে থেকে থেকে তাকাচ্ছেন যেন ছেলে তার সামনে নেই; ছেলে রাস্তায় আছে আর এই শূন্য, সরু, আবদ্ধ জায়গাতে তার একাকী অবস্থানকে ছেলের অনুপস্থিতি অস্থির করে দিচ্ছে।

জ্যাক তার পাশে বসে পড়ার পর মনে হলো, তিনি যেন আজও কোনো এক দুশ্চিতার মধ্যেই আছেন, থেকে থেকে রাস্তার দিকে তাকাচ্ছেন তার সুন্দর বিষণ্ন চাহনির প্রকাশ দিয়ে। যতক্ষণ চোখ জোড়া রাস্তার দিকে ততক্ষণ চোখের উপর অস্থিরতা ভর করে আছে; রাস্তা থেকে ছেলের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে চোখ দুটো যেন শান্ত হয়ে যাচ্ছে।

রাস্তাটা আরও হৈচৈপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে: লাল রঙের বিশাল ট্রলিবাসগুলো ক্রমেই সংখ্যায় বেশি হচ্ছে এবং জোরে শব্দ করতে করতে চলা শুরু করছে। জ্যাক মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে: সাদা কলারঅলা ধূসর রঙের ছোট একটা ব্লাউজ পরে আছেন তিনি; আগেও জানালার পাশের যে অস্বস্তিকর একটা চেয়ারে বসতেন সেটার উপরেই বসে আছেন; বয়সের কারণে পিঠটা একটুখানি প্রশস্ত হয়ে গেছে, তবু চেয়ারের গায়ে হেলান দেননি; হাতে একটা রুমাল; রুমালটা তার শক্ত হয়ে যাওয়া আঙুলে পেঁচিয়ে গোলাকার বল বানাচ্ছেন, আবার পরনের কাপড়ের ফাঁকায় রেখে দিচ্ছেন। মাথাটা কিছুটা জানালার দিকে ফেরানো। ত্রিশ বছর আগে যেমন ছিলেন তেমনই আছেন তিনি। মুখের উপরে বার্ধক্যের ভাঁজগুলো থাকলেও মুখটা অলৌকিকভাবে আগের মতোই রয়ে গেছে। মসৃণ এবং মার্জিত ভ্রু জোড়া যেন কপালের উপরে বসিয়ে দেয়ো হয়েছে। ছোট নাকটা সোজা, খাড়া। দুশ্চিন্তার ছাপ সত্ত্বেও মাড়ির পাশ থেকে ঠোঁটের সঙ্গে যেন তার মুখটা সুস্পষ্টভাবে অংকন করে রাখা হয়েছে। ঘাড়ের পাশটা দ্রুতই দুর্বল হয়েছে মনে হলেও আকৃতি আগের মতোই আছে; অবশ্য তন্তুগুলো গ্রন্থিল হয়ে গেছে; আর থুতনি কিছুটা দুর্বল হয়েছে।

জ্যাক জিজ্ঞেস করল, নাপিতের ওখানে গিয়েছিলে?

দুষ্টুমিতে ধরা পড়া বাচ্চা মেয়ের মতো করে হাসলেন মা, হ্যাঁ, তুই আসছিলি বলে। স্পষ্ট করে দেখা না গেলেও মায়ের আচরণে একটা অপ্রকাশী ভাব থাকে: যা বলছেন তার মধ্যে কেমন একটা প্যাঁচ। আবার অন্যদিকে তার পোশাক আশাকের ব্যাপারে একদম সোজাসাপটা: অরুচিকর কোনো পোশাক তাকে পড়তে দেখেনি জ্যাক। এখনও ধূসর আর কালো রঙের পোশাক পরেছেন; তার মধ্যে রয়েছে রুচিপূর্ণ নির্বাচনের ছাপ। এরকমটাই তাদের বংশের লোকদের ধারা: সব সময়ই হতভাগ্য অবস্থা, একেবারেই গরিব, কিংবা কারো অবস্থা একটু স্বচ্ছল–যা-ই হোক না কেন, তাদের পোশাকের বাছবিচার বেশ স্পষ্ট। তাদের সবাই, বিশেষ করে পুরুষেরা, ভূমধ্যগাগরীয় অন্য সবার মতোই সাদা শার্ট আর স্ত্রী করা ট্রাউজার পরার উপরে জোর দিয়ে আসছে।

নিজেদের পোশাক-আশাক সংখ্যায় কম হলেও নিয়মিত ভালো করে ধুয়ে স্ত্রী করার বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে নারীদের কাজের পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক, তা সে নারী মা, স্ত্রী যে-ই হোক না কেন। জ্যাকের মায়ের কথা বলতে গেলে, তিনি মনে করতেন, অন্য লোকদের ঘরদোর পরিষ্কার করা এবং জামা কাপড় ধোয়াই যথ্ষ্টে নয়, বাড়ির লোকদের জামাকাপড়ও পরিষ্কার করা দরকার। জ্যাকের যতদূর মনে পড়ে, তাদের দুভাইয়ের মাত্র একটা করে ট্রাউজার ছিল। তবু সেগুলো ধুয়ে নিয়মিত স্ত্রী করে দিতেন মা। পরবর্তীতে জ্যাক বাইরের জীবনে প্রবেশ করে দেখেছে সেখানে নারীরা কেউ এই কাজ করে না।

মা বললেন, এই লোকটা ইতালীয়; কাজকর্ম ভালোই করে।

হ্যাঁ, বলল জ্যাক। সে বলতে যাচ্ছিল, মা তুমি কত সুন্দর। কিন্তু বলতে পারল না। মা সম্পর্কে তার ধারণা সব সময় এরকমই ছিল। তবে কখনওই বলা হয়নি। অবশ্য এর পেছনে এমন কোনো কারণ নেই যে, মা তার এই প্রশংসার কথা অবজ্ঞাভরে উড়িয়ে দেবেন, কিংবা এরকম প্রশংসায় মা খুশি হবেন–তাও মনে হয়নি। বরং মনে হয়েছে, তার এবং মায়ের মাঝে যে অদৃশ্য দেয়াল আছে সেটায় ফাটল তৈরি হতে পারে; দেয়ালের আড়ালেই মাকে সে সারা জীবন আশ্রয় নিতে দেখে এসেছে। তখন মাকে মনে হয়েছে কত বিনয়ী, নম্র, সৌজন্যপূর্ণ, এমনকি অপ্রতিরোধী তবে কোনো ব্যক্তি কিংবা কোনো বিষয় তাকে জয় করতে পারেনি। কিছুটা বধির হওয়ার কারণে তিনি সবার থেকে বিচ্ছিন্ন, নিজেকে প্রকাশ করতে অপারগ। সুন্দর হলেও কার্যত অপ্রবেশ্য; আর মায়ের এই অবস্থাটা সবচেয়ে বেশি মনে বেজেছে মা যখন অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি হাসিখুশি ছিলেন এবং জ্যাক মায়ের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পেতে উৎসুক ছিল তখন। হ্যাঁ, সারা জীবন জ্যাক মায়ের এরকম আচরণই দেখে এসেছে: সমীহজাগানিয়া-ভীতিকর এবং নমনীয়, তবু দূরের।

ত্রিশ বছর আগেও মায়ের এই চাহনিই দেখেছে জ্যাক; তখন তার নানি চাবুক দিয়ে জ্যাককে আঘাত করেছেন। আর মা কিছু বলতে পারেননি। মা নিজে কোনো দিন তাদের গায়ে হাত তোলেননি, এমনকি কোনো দিন বকুনিও দেননি; সন্দেহ নেই, ছেলের গায়ের আঘাতে তিনিও জর্জরিত হয়েছেন। তবু তিনি কিছু করতে পারেননি। কারণ তিনি ছিলেন ক্লান্ত; কারণ বলার মতোকোনো কথা তার মুখ দিয়ে বের হয়নি। কারণ তার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাও ছিল; তিনি হস্তক্ষেপ করতে পারেননি।

প্রত্যেকটা দীর্ঘ দিন, প্রত্যেকটা দীর্ঘ বছর তিনি তার সন্তানদের উপর বর্ষিত সেই আঘাত সহ্য করেছেন যেভাবে অন্য লোকদের কাজ করার জন্য তাকে কঠিন পরিশ্রমের ভেতর দিয়ে সময় পার করতে হয়েছে: তাদের কাপড় ধোয়া, হাঁটুর উপর ভর করে মেঝে পরিষ্কার করা–সবই করতে হয়েছে। পুরুষ-শূন্য জীবন যাপন করতে হয়েছে অন্য লোকদের আবর্জনা পরিষ্কার করে। একটা একটা করে দিন পার হয়ে বছর গড়িয়ে গেছে তার জীবনে। জীবনে কোনো আশা না থাকায় তার মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়নি। অজ্ঞ থেকে ধৈর্য ধারণ করতে পেরেছেন। নিজের এবং তার সন্তানদের জীবন কষ্ট ভোগের কাছে ছেড়ে দিয়েছেন। জ্যাক মাকে কখনও কারো বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে শোনেনি। বড় জোর বলেছেন তিনি ক্লান্ত, কিংবা সারা দিন অনেক কাপড়-চোপড় ধুয়ে পিঠ ব্যথা করছে। মাকে কারো নামে কোনো খারাপ কথা বলতেও শোনেনি জ্যাক। কখনও হয়তো উল্লেখ করেছেন অমুক বোন কিংবা অমুক খালা-চাচি কেমন রূঢ় আচরণ করেছেন। অন্যদিকে, মাকে কোনো দিন প্রাণ খুলে হাসতেও দেখেনি সে। ইদানিং মায়ের হাসিখুশি ভাবটা একটু বেড়েছে; কারণ তাকে আর অন্য লোকদের কাজ করতে হয় না। তার সব প্রয়োজন তার সন্তানেরা মিটিয়ে থাকে। বাড়িটাও আগের মতোই আছে; এখানে মায়ের নিয়ম মতো চলা। এই পাড়ায় সব কিছু তার কাছে সহজলভ্য; অন্য কোনো আরামের জায়গায় গেলে সবকিছু কঠিন হয়ে যেত বলে মনে হয় তার। এই রুমটাও সেই একই রকম আছে; শুধু আসবাবগুলো তারা বদলে দিয়েছে। এখন আরেকটু মার্জিত রূপ পেয়েছে রুমটা; হত অবস্থাটা কিছুটা দূর হয়েছে; তবু আসবাবপত্রগুলো কেমন ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়। সবগুলো আসবাই এখনও দেয়ালঘেঁষা।

তুই আগের মতোই সবকিছু হাতড়ে বেড়াস কেমন, মা বললেন।

হ্যাঁ, দেরাজ না খুললে যেন তার চলেই না; প্রবল আকাঙ্ক্ষা নিয়ে খুলতে গেলেও আসলে দেরাজের ভেতরে অতি নগণ্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না। দেরাজের নিরাভরণ চেহারাটাও তাকে আকর্ষণ করে। দেরাজের ড্রয়ারগুলো খুলে দেখতে পায় দুতিন রকমের ওষুধ–বাড়ির মানুষদের জন্য দরকারে কোনো রকমে চালিয়ে নেয়ওার মতো ওষুধ। সেখানে দুতিন রকমের পুরনো খবরের কাগজ, কয়েক টুকরো সুতা, পড়ে থাকা কয়েকটা বোতামভরা কয়েকটা কার্ডবোর্ড বাক্স আর সবার পরিচিতিমূলক পুরনো একটা ছবির সঙ্গে মিশে আছে। এখানে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর চেহারাও মলিন; কারণ অপ্রয়োজনীয় জিনিস তাদের কখনোই ছিল না।

জ্যাকের ভালো করেই জানা আছে, তার নিজের বর্তমানের বাড়ির মতো জায়গায় যেখানে সবকিছুর প্রাচুর্য আছে তার মাকে সেখানে নিয়ে গেলেও মা শুধু অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোই ব্যবহার করবেন। সে জানে, পাশের ঘরটায় মা থাকেন; সেখানে রয়েছে একটা ছোট আলমারি, একটা সরু বিছানা, কাঠের একটা ড্রেসিং টেবিল আর নিচে খড় দেওয়া একটা চেয়ার। ঘরটার একটা জানালায় হাতে বোনা নকশাঅলা একটা পর্দা ঝুলছে। তা ছাড়া আর তেমন কিছু সেখানে পাওয়া যাবে না। বড় জোর ড্রেসিং টেবিলটার উপরে মোড়ানো একটা রুমাল থাকতে পারে। মা আগে সেরকমই রাখতেন।

(চলবে)

এসএ/

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৯

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৮

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৭

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৬

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৫

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৪

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ৩

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ২

দ্য ফার্স্ট ম্যান: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণ ও এক তরুণী প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উত্তরা পূর্ব থানার ৮ নম্বর সেক্টরের শেষ প্রান্তের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তরুণ-তরুণী রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলেন এবং সেলফি তুলছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী ও টঙ্গীগামী দুটি ট্রেন একযোগে রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এ সময় টঙ্গীগামী ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তরুণী মারা যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণটিকে প্রথমে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, উত্তরা থেকে আহত অবস্থায় এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের আমিনবাজার এলাকায় জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। রাত ৮টার পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ না থাকায় এইসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিদ্যুৎনির্ভর সব ধরনের কাজকর্মও ব্যাহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে দেশে বড় ধরনের একটি গ্রিড বিপর্যয় ঘটেছিল। সেবার ভারত থেকে আসা বিদ্যুৎ সরবরাহ কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ায় সারাদেশ প্রায় ৩০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল।

Header Ad
Header Ad

আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আবারও ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মে মাসে দুই দফায় টানা তিনদিন করে মোট ছয়দিনের ছুটির সুযোগ আসছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী ১ মে (বৃহস্পতিবার) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে। এরপর ২ ও ৩ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মচারীরা টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া, আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি রয়েছে। এর আগে ৯ ও ১০ মে যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আবারও টানা তিনদিন ছুটি মিলবে।

এর আগে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা নয়দিন ছুটি কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটির সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও একটি অতিরিক্ত ছুটি যুক্ত করেছিল।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। তবে অর্জিত ছুটি বা পূর্বনির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিনদিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার নিয়মও চালু আছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি
আওয়ামী লীগ ভারতের গোলামী করা দল : নুরুল হক নুর
ইরানের রাজাই বন্দরে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, আহত ৫১৬ জন
প্রায় দুই ঘণ্টা পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক
গোবিন্দগঞ্জে মৃত আওয়ামী লীগ নেতার নামে জামাতের মামলা
গুজরাটে ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতারের দাবি পুলিশের
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই বাসীর গলার কাঁটা ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ অবশেষে সংস্কার
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ
গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ ট্রাকের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
আদমদীঘিতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা তোহা গ্রেপ্তার
নাটকীয়তা শেষে রাতে ফাইনালে মুখোমুখি রিয়াল-বার্সা
মাদকাসক্ত ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলেন বাবা
গরমে লোডশেডিং নিয়ে সুখবর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত: সৌরভ গাঙ্গুলি
র‍্যাফেল ড্রতে ৯ কোটি টাকা জিতলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি
৬২ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম ও পিপিএম পদক