শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

ওরা যশোর-সাতক্ষীরা রোড পার হওয়ার সময় পাকসেনাদের গাড়ি দেখতে পায়। ওরা তাড়াতাড়ি গরুর গাড়ি থেকে ওরা যে কয়জন ছিল সবাই বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। রাস্তার পাশের গর্তে নেমে পানির মধ্যে লুকিয়ে থাকে। ধানক্ষেতে গিয়ে নিজেকে আড়াল করে শুয়ে পড়ে। এরপরে পাক সেনাদের গাড়ি চলে গেলে আমরা হেঁটে সীমান্ত পার হই। আল্লাহর রহমত যে ওরা আমাদের দেখেনি। সেজন্য গুলি ছোঁড়েনি। এখন যতদিন লাগে দেশের স্বাধীনতার জন্য অপেক্ষা করব। আর শরণার্থী হয়ে বেঁচে থাকব।

–হ্যাঁ, এমন কথা আমাদের সবার জন্য একই রকম।

–ঠিকই বলেছেন। আপনি কোথায় আছেন?

–আমি এই যশোর রোডেই তাঁবু পেয়েছি।

–তাহলে আপনি তাঁবুতে চলে যান। আমরা ওদেরকে নিয়ে বনগাঁ যাব। আমি অসিত, অধর ও দীপক ও অজয়।

–ঠিক আছে পরিচিত হয়ে খুব খুশি হলাম। তারপর দেখলাম ওরা একটা ট্রাকে উঠে চলে গেল।

–ভালোই সময় কাটিয়ে এসেছেন আব্বা। আপনার খিদে পেয়েছে।

–অসিত ওদেরকে দুধ-পাউরুটি খাইয়েছে। একই সঙ্গে আমাকেও দিয়েছে। সেজন্য তেমন খিদে পায়নি।

–ঠিক আছে, আমরা তাঁবুতে যাই। আপনার জন্য ভাত রাখা হয়েছে। আপনি খাবেন।

–চলো যাই। মেয়েটার দিকে তাকালে বুক ভেঙে যায়। কষ্টে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা।

–এসব কথা থাক আব্বা। আমারওতো একই কষ্ট হয়।

–হ্যাঁ, হবেই। তা জানি। চলো এই গাছের নিচে একটু বসে থাকি। তারপর তাঁবুতে যাব। চারদিক থেকে ছুটে আসে মৃদু বাতাস। সামনে দিয়ে বয়ে যায় ছোট নদী বাতাসে তরঙ্গ তুলে। হঠাৎ রবিউল দূরে তাকিয়ে বলে, মারুফ দেখো নদীর ধারে একটি মেয়ে পড়ে আছে।

–তাইতো, তাইতো –বলতে বলতে মারুফ উঠে দাঁড়ায়। পরে বলে, আব্বা চলেন দেখি মেয়েটার কি হয়েছে।

–হ্যাঁ, চলো।

তারা দ্রুতপায়ে হেঁটে মেয়েটির কাছে এসে দাঁড়ায়। দেখতে পায় মেয়েটি নড়াচনা করে না। তাহলে কি ও অসুস্থ? নাকি মরে গেছে?

মারুফ পাশে বসে কপালে হাত রাখে। একদম ঠান্ডা হয়ে আছে শরীর।

–আব্বা মনে হয় মেয়েটি মরে গেছে।

–বলো কি? ওর সঙ্গে কেউ নেই? বাপ-মা-আত্মীয়স্বজন?

–নিশ্চয়ই আছে। মেয়েটিতো একা সীমান্ত পাড়ি দেবে না।

–চলো, আমরা সরে যাই। ওকে খুঁজতে কেউ এখানে এলে আমাদেরকে দেখে সন্দেহ করবে। কিভাবে মেয়েটি মারা গেল। কে জানে?

রবিউল ও মারুফ আবার সেই গাছতলায় গিয়ে বসে। তখন দেখতে পায় পূর্ণিমা এদিক-ওদিক তাকাতে তাকাতে হাঁটছে। একসময় মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ছুটে যায়। কাছে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে ওর ওপর গড়িয়ে পড়ে। চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। চারদিক থেকে নানা লোক এগিয়ে আসে। রবিউল আর মারুফও যায়। সবাই দাঁড়িয়ে থাকে। পূর্ণিমা চিৎকার করে বলে, আমার মেয়েটাকে কে মেরে ফেলল?

কারো মুখে কোনো কথা নেই।

–আপনি ওকে আপনার সঙ্গে রাখেননি কেন?

–রেখেছিলামতো। কেউ একজন ডাকলে ও তার পিছে পিছে যায়। লোকটি বলে, কিছুক্ষণ পরে ওকে আমি দিয়ে যাব।

–ওই লোকের সঙ্গে ওকে যেতে দিলেন কেন?

–ওতো আমাদের সঙ্গেই গ্রাম থেকে এসেছে।

–মেয়ের বাবা কোথায়?

–পথে মরে গেছে। অসুখ ছিল। হাঁটতে পারছিলনা। পূর্ণিমা আবার চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। কাঁদতে কাঁদতে মেয়ের মাথা কোলে উঠিয়ে নেয়।

–আপনার মেয়ে কি একটাই?

–দুটো ছেলে আছে। মেয়ে একটাই।

–ওরা রাস্তার ধারে বাবাকে মাটির নিচে শুইয়ে দেয়ার জন্য রয়ে গেছে। শেষ করে আসবে। এখানে দাহ করা যাবে না। নাহলে তো বনের জন্তুরা খেয়ে শেষ করবে।

–আপনি কি করছেন?

–আমি রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছি।

–মেয়েকে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন?

–কেমন করে করব? আমি জানিনা।

–আমরা এখানে একটা গর্ত খুঁড়ে দেব?

–না, দরকার নাই। আমি নদীতে নেমে মেয়েকে ডুবিয়ে দেব। ও নদীর তলে গিয়ে শুয়ে থাকবে। ওকে তো দাহ করা যাবেনা।

–নদীতে আপনার নামতে হবেনা। ওকে নদীতে ভাসিয়ে দিলেই হবে। ডুবে যাবে।

–হায় ভগবান, স্বামী গেল মাটির নিচে। মেয়ে যাবে জলের নিচে। যুদ্ধ, যুদ্ধ। যুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা। দিলাম স্বামীকে, দিলাম মেয়েকে। কারো জন্য শ্মশান নাই।

মারুফ পাশে বসে বলে, আমার ছেলেটিকেও মাটি চাপা দিয়েছি। ওটাকে কবর দেয়া বলেনা। এই সময়ে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবারই একই অবস্থা হবে। বিশেষ করে আমাদের মতো শরণার্থীদের।

–তুমি মেয়েটার পা ধর। আমি মাথা ধরি। চলো নদীতে নামাই। আমার মেয়ের নাম মালতী।

মারুফ ওর পা বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে। পূর্ণিমা মাথা জড়িয়ে ধরে নদীতে নেমে যায়। মারুফ ছেড়ে দিলে পূর্ণিমা ওকে জড়িয়ে ধরে। দুজনে ভেসে চলে যায়। একটু পরে আর কাউকে দেখা যায়না। তলিয়ে গেছে নদীতে।
রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা দুহাত উপরে তুলে বলে, জয় বাংলা। শরণার্থী শিবির মুখরিত হয় জয় বাংলা ধ্বনিতে।

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত