শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৫

অঘ্রানের অন্ধকারে

নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রুপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রুপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বালিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।

বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।

ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

সাতদিন পর শাবিন তার অনুভূতি লিখল, এই স্থানে আসা আমার সাত দিন হলো। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগলেও এখন অনেকটা সয়ে গেছে তাই বিভিন্ন ক্লাস, সেশনের পাশাপাশি আনন্দের সাথেই দিন কেটে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো কথা আমি নেশামুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। এটা এক বড়ো ব্যাপার। জীবন কতটা নিয়মের মাঝে, সময়ের সাথে সৎ ও সুন্দরভাবে চলতে পারে তা এই সেন্টারে না এলে জানতে ও বুঝতে পারতাম না। এখানে অনেক বিষয়ই পরিপূর্ণভাবে ভালো লাগে না, তবুও নিয়ম অনুযায়ী তা মানতে হয়। আর আমি এখানে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার সকাল দশটায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম। দুই সপ্তাহ পর শাবিন রাতে তার অনুভূতি লেখা খাতায় লিখল, আজ আমার প্রথম ‘দেখা’ ছিল। মা এসেছিলেন দেখা করতে। মায়ের শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আমি আগে খেয়াল করিনি। চোখের নিচে গাঢ় কালি। মাথার চুলগুলো সব পেকে গেছে। চোখে কেমন দিশেহারা ঘোলাটে ভাব। তুরি আসেনি। মায়ের ফোনে তুরির সঙ্গে কথা বললাম। মনটা ভালো। মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। পনেরো দিন পর মায়ের মুখ দেখলাম। আবার মনটা খারাপ। তুরির কথা শুনতে পাইনি। তুরি ফোন ধরে কাঁদছিল। খুব কাঁদছিল। সে কথা বলতে পারেনি। তুরি কেন কাঁদছিল?

আজ মায়ের সঙ্গে চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়া হলো না। আমার থাকার মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তারপর যাওয়া যাবে বাড়িতে। বুঝতে পারছি না, দুই সপ্তাহ থাকব নাকি আগামী সপ্তাহে বাড়ি চলে যাব?
একাদশতম দিনে শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার একাদশতম দিন। গত ১০টা দিন খুব দ্রুত পার হয়ে গেল। আর তেরো দিন পর আমি বাসায় ফিরে যেতে পারব। আমি নিজে খানিকটা অসুস্থ। এ ছাড়া প্রেশার ও ড্রাগস ফ্রি ওষুধের প্রভাবে আমি ক্লান্ত প্রাণ এক। তুরির কথা মনে পড়ে খুব- বারবার, বারবার। যদিও আমি এখানে আনন্দে আছি তবুও আমার মানসিক অবস্থা খারাপ। এখানে ক্লাস বা অন্যান্য কাজ সবই নিয়মমাফিক ও ভালো তবু আমার চিন্তা-ভাবনা নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে। সুস্থ থাকা, আত্মবিশ্বাসী হওয়া ও উঁচু মানসিকতার প্রয়োজন এখন আমার। এছাড়াও নিজ সততার ওপর স্থির দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন জরুরি আমার জন্য।

শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আমি এখানে আছি কারণ অবশেষে আমি আমার নিজের কাছেই আশ্রয়হীন। যতক্ষণ না আমি মুখোমুখি হই অন্যের অন্তরে ও চোখে। আমি পালাচ্ছি। যতক্ষণ না আমি তাদের ভোগাই, আমার গুপ্তকথা সহভাগিতা করার জন্য। তাদের কাছ থেকে আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। পরিচিত হতে ভীত থাকলে কখনো নিজেকে বা অন্য কাউকে চিনতে পারব না। আমি হব একা। আমার এই সাধারণ ভূমি ব্যতিত কোথায় আমি এমন আয়না পাব! এখানে একসাথে নিজের কাছে স্পষ্টভাবে আবির্ভাবিত হতে পারব! আমার স্বপ্নের দানবের মতো নয়, নয় ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বরং একজন ব্যক্তি হিসেবে একটি সমগ্রের অংশ হয়ে যেখানে আমার অংশের একটি কারণ আছে। এই ভ‚মিতে আমি আমার শেকড় ছড়াতে পারব এবং বেড়ে উঠব। আর একা নয় মৃতের মতো বরং জীবন্ত আমার নিজের কাছে এবং অন্যের কাছে।

এ পর্যন্ত লিখে লম্বা শ্বাসে বুকের ভেতর বাতাস টেনে নিলাম। ভালো লাগছে। প্রশান্তি বোধ করছি।

নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রুপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রুপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বালিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।

বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।

ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

সাতদিন পর শাবিন তার অনুভূতি লিখল, এই স্থানে আসা আমার সাত দিন হলো। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগলেও এখন অনেকটা সয়ে গেছে তাই বিভিন্ন ক্লাস, সেশনের পাশাপাশি আনন্দের সাথেই দিন কেটে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো কথা আমি নেশামুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। এটা এক বড়ো ব্যাপার। জীবন কতটা নিয়মের মাঝে, সময়ের সাথে সৎ ও সুন্দরভাবে চলতে পারে তা এই সেন্টারে না এলে জানতে ও বুঝতে পারতাম না। এখানে অনেক বিষয়ই পরিপূর্ণভাবে ভালো লাগে না, তবুও নিয়ম অনুযায়ী তা মানতে হয়। আর আমি এখানে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার সকাল দশটায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম। দুই সপ্তাহ পর শাবিন রাতে তার অনুভূতি লেখা খাতায় লিখল, আজ আমার প্রথম ‘দেখা’ ছিল। মা এসেছিলেন দেখা করতে। মায়ের শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আমি আগে খেয়াল করিনি। চোখের নিচে গাঢ় কালি। মাথার চুলগুলো সব পেকে গেছে। চোখে কেমন দিশেহারা ঘোলাটে ভাব। তুরি আসেনি। মায়ের ফোনে তুরির সঙ্গে কথা বললাম। মনটা ভালো। মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। পনেরো দিন পর মায়ের মুখ দেখলাম। আবার মনটা খারাপ। তুরির কথা শুনতে পাইনি। তুরি ফোন ধরে কাঁদছিল। খুব কাঁদছিল। সে কথা বলতে পারেনি। তুরি কেন কাঁদছিল?
আজ মায়ের সঙ্গে চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়া হলো না। আমার থাকার মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তারপর যাওয়া যাবে বাড়িতে। বুঝতে পারছি না, দুই সপ্তাহ থাকব নাকি আগামী সপ্তাহে বাড়ি চলে যাব?
একাদশতম দিনে শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার একাদশতম দিন। গত ১০টা দিন খুব দ্রæত পার হয়ে গেল। আর তেরো দিন পর আমি বাসায় ফিরে যেতে পারব। আমি নিজে খানিকটা অসুস্থ। এ ছাড়া প্রেশার ও ড্রাগস ফ্রি ওষুধের প্রভাবে আমি ক্লান্ত প্রাণ এক। তুরির কথা মনে পড়ে খুব- বারবার, বারবার। যদিও আমি এখানে আনন্দে আছি তবুও আমার মানসিক অবস্থা খারাপ। এখানে ক্লাস বা অন্যান্য কাজ সবই নিয়মমাফিক ও ভালো তবু আমার চিন্তা-ভাবনা নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে। সুস্থ থাকা, আত্মবিশ্বসী হওয়া ও উঁচু মানসিকতার প্রয়োজন এখন আমার। এছাড়াও নিজ সততার ওপর স্থির দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন জরুরি আমার জন্য।

শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আমি এখানে আছি কারণ অবশেষে আমি আমার নিজের কাছেই আশ্রয়হীন। যতক্ষণ না আমি মুখোমুখি হই অন্যের অন্তরে ও চোখে। আমি পালাচ্ছি। যতক্ষণ না আমি তাদের ভোগাই, আমার গুপ্তকথা সহভাগিতা করার জন্য। তাদের কাছ থেকে আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। পরিচিত হতে ভীত থাকলে আমি কখনো নিজেকে বা অন্য কাউকে চিনতে পারব না। আমি হব একা। আমার এই সাধারণ ভ‚মি ব্যতিত কোথায় আমি এমন আয়না পাব! এখানে একসাথে নিজের কাছে স্পষ্টভাবে আবির্ভাবিত হতে পারব! আমার স্বপ্নের দানবের মতো নয়, নয় ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বরং একজন ব্যক্তি হিসেবে একটি সমগ্রের অংশ হয়ে যেখানে আমার অংশের একটি কারণ আছে। এই ভ‚মিতে আমি আমার শেকড় ছড়াতে পারব এবং বেড়ে উঠব। আর একা নয় মৃতের মতো বরং জীবন্ত আমার নিজের কাছে এবং অন্যের কাছে।

এ পর্যন্ত লিখে লম্বা শ্বাসে বুকের ভেতর বাতাস টেনে নিলাম। ভালো লাগছে। প্রশান্তি বোধ করছি।

(চলবে)

 

 

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম সামা টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর- সৌহার্দ্যের অংশ হিসেবে ১০০ বাংলাদেশিকে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একটি সূত্র সামা নিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন। স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক এক্সচেঞ্জ বা সমঝোতা স্মারক নতুন করে সই হবে না। যেগুলো আছে, সেগুলোও স্থগিত থাকবে।’ ২০১৫ সালে নেওয়া ঢাবির তৎকালীন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রশাসনের এমন নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি তুলে নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে এসব সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছিল।

এর ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে মতবিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ ২০১৫ সালের আগের সেই স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরেছে ঢাবি ও পাকিস্তান।

২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় পাকিস্তানের সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক ছিন্নের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৫ পাকিস্তানির বিচার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। আর পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে সিন্ডিকেট সভা থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করায় এবং যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিল করতে সিন্ডিকেট সার্ক ও জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ করে।

Header Ad

বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত থেকে ৮৯৫ বোতল ভারতের তৈরি ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এসময় কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে সীমান্তের পুটখালী গ্রামের পশ্চিমপাড়া থেকে ফেনসিডিলের চালানটি উদ্ধার করা হয়।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুটখালী সীমান্তের পশ্চিমপাড়া নামক স্থান দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত হতে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলের চালান বাংলাদেশ সীমান্তে এনে মজুদ করছে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা সেখানে অভিযান চালালে ফেনসিডিল ব্যবসায়ীরা তাদের সাথে থাকা কয়েকটি বস্তা ফেলে ইছামতি নদী পার হয়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যায়। পরে টহল দলের বিজিবি সদস্যরা বস্তাগুলি ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করে ৮৯৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, দেশের সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারকারীসহ যে কোনো প্রকার চোরাচালান বন্ধে বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত থাকবে।মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।

Header Ad

পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ

পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

কমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন জানান, জুরান এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশা চালকরা বেলা ১১টা থেকে রেললাইন দখল করে অবরোধ শুরু করেছেন। ফলে ১১টা থেকে আমরা ওই লাইনে কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারছে না। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ও ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবুজ সংকেত না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল করবে না বলেও জানান আনোয়ার হোসেন।

ঢাকা থেকে ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাগামী অনেক যাত্রী এখন কমলাপুর শহরতলি স্টেশনে অপেক্ষা করছেন বলে জানা গেছে৷

শ্যামপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুন নাহার বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা জুরাইন এলাকায় রেললাইন দখল করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়