বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব: ১৫

অঘ্রানের অন্ধকারে

নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রুপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রুপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বালিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।

বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।

ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

সাতদিন পর শাবিন তার অনুভূতি লিখল, এই স্থানে আসা আমার সাত দিন হলো। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগলেও এখন অনেকটা সয়ে গেছে তাই বিভিন্ন ক্লাস, সেশনের পাশাপাশি আনন্দের সাথেই দিন কেটে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো কথা আমি নেশামুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। এটা এক বড়ো ব্যাপার। জীবন কতটা নিয়মের মাঝে, সময়ের সাথে সৎ ও সুন্দরভাবে চলতে পারে তা এই সেন্টারে না এলে জানতে ও বুঝতে পারতাম না। এখানে অনেক বিষয়ই পরিপূর্ণভাবে ভালো লাগে না, তবুও নিয়ম অনুযায়ী তা মানতে হয়। আর আমি এখানে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার সকাল দশটায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম। দুই সপ্তাহ পর শাবিন রাতে তার অনুভূতি লেখা খাতায় লিখল, আজ আমার প্রথম ‘দেখা’ ছিল। মা এসেছিলেন দেখা করতে। মায়ের শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আমি আগে খেয়াল করিনি। চোখের নিচে গাঢ় কালি। মাথার চুলগুলো সব পেকে গেছে। চোখে কেমন দিশেহারা ঘোলাটে ভাব। তুরি আসেনি। মায়ের ফোনে তুরির সঙ্গে কথা বললাম। মনটা ভালো। মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। পনেরো দিন পর মায়ের মুখ দেখলাম। আবার মনটা খারাপ। তুরির কথা শুনতে পাইনি। তুরি ফোন ধরে কাঁদছিল। খুব কাঁদছিল। সে কথা বলতে পারেনি। তুরি কেন কাঁদছিল?

আজ মায়ের সঙ্গে চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়া হলো না। আমার থাকার মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তারপর যাওয়া যাবে বাড়িতে। বুঝতে পারছি না, দুই সপ্তাহ থাকব নাকি আগামী সপ্তাহে বাড়ি চলে যাব?
একাদশতম দিনে শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার একাদশতম দিন। গত ১০টা দিন খুব দ্রুত পার হয়ে গেল। আর তেরো দিন পর আমি বাসায় ফিরে যেতে পারব। আমি নিজে খানিকটা অসুস্থ। এ ছাড়া প্রেশার ও ড্রাগস ফ্রি ওষুধের প্রভাবে আমি ক্লান্ত প্রাণ এক। তুরির কথা মনে পড়ে খুব- বারবার, বারবার। যদিও আমি এখানে আনন্দে আছি তবুও আমার মানসিক অবস্থা খারাপ। এখানে ক্লাস বা অন্যান্য কাজ সবই নিয়মমাফিক ও ভালো তবু আমার চিন্তা-ভাবনা নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে। সুস্থ থাকা, আত্মবিশ্বাসী হওয়া ও উঁচু মানসিকতার প্রয়োজন এখন আমার। এছাড়াও নিজ সততার ওপর স্থির দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন জরুরি আমার জন্য।

শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আমি এখানে আছি কারণ অবশেষে আমি আমার নিজের কাছেই আশ্রয়হীন। যতক্ষণ না আমি মুখোমুখি হই অন্যের অন্তরে ও চোখে। আমি পালাচ্ছি। যতক্ষণ না আমি তাদের ভোগাই, আমার গুপ্তকথা সহভাগিতা করার জন্য। তাদের কাছ থেকে আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। পরিচিত হতে ভীত থাকলে কখনো নিজেকে বা অন্য কাউকে চিনতে পারব না। আমি হব একা। আমার এই সাধারণ ভূমি ব্যতিত কোথায় আমি এমন আয়না পাব! এখানে একসাথে নিজের কাছে স্পষ্টভাবে আবির্ভাবিত হতে পারব! আমার স্বপ্নের দানবের মতো নয়, নয় ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বরং একজন ব্যক্তি হিসেবে একটি সমগ্রের অংশ হয়ে যেখানে আমার অংশের একটি কারণ আছে। এই ভ‚মিতে আমি আমার শেকড় ছড়াতে পারব এবং বেড়ে উঠব। আর একা নয় মৃতের মতো বরং জীবন্ত আমার নিজের কাছে এবং অন্যের কাছে।

এ পর্যন্ত লিখে লম্বা শ্বাসে বুকের ভেতর বাতাস টেনে নিলাম। ভালো লাগছে। প্রশান্তি বোধ করছি।

নিয়ম মেনে চলতে হয়। সবাইকে ‘ভাই’ আর ‘আপনি’ বলে কথা বলতে হয়। রাতের শিফটে গ্রুপ ভাগ করে পাহারার ব্যবস্থা থাকে। অনেকগুলো গ্রুপ আছে। কিচেন গ্রুপ, তরিতরকারি রেডি করা গ্রুপ, টয়লেট পরিষ্কার করা গ্রুপ। গ্রুপের কাজ প্রতি সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিচেন গ্রুপকে ভোরবেলা উঠে চুলা জ্বালিয়ে রুটি বানাতে হয়। ঘুরেফিরে সবাই সব কাজ করে।

বেলা এগারোটায় চা-মুড়ি। বারোটায় মাদক গ্রহণের কুফল নিয়ে ক্লাস। ভাত রান্নার চাল বেছে পরিষ্কার করা লাগে। সেই চালে ভাত রান্না হয়। খাওয়ার সময় প্রার্থনা করা লাগে। খাবারের প্রার্থনা। হে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা, এই সুন্দর সকালে/দুপুরে/রাতে যে খাবার তুমি আমাদের দিয়েছ তার জন্য তোমাকে জানাই ধন্যবাদ...।

ভাত খেয়ে বিশ্রাম। ঘর পরিষ্কার করা, ব্যায়াম সেরে বিকাল তিনটায় গোসল। গোসলের সময় দুই মিনিট। বিকেলে গান-বাজনা করা যায়। রাতে টিভি দেখে প্রার্থনার পর ঘুম। সপ্তাহে একদিন ফুটবল খেলতে দেয়।

সাতদিন পর শাবিন তার অনুভূতি লিখল, এই স্থানে আসা আমার সাত দিন হলো। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগলেও এখন অনেকটা সয়ে গেছে তাই বিভিন্ন ক্লাস, সেশনের পাশাপাশি আনন্দের সাথেই দিন কেটে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড়ো কথা আমি নেশামুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছি। এটা এক বড়ো ব্যাপার। জীবন কতটা নিয়মের মাঝে, সময়ের সাথে সৎ ও সুন্দরভাবে চলতে পারে তা এই সেন্টারে না এলে জানতে ও বুঝতে পারতাম না। এখানে অনেক বিষয়ই পরিপূর্ণভাবে ভালো লাগে না, তবুও নিয়ম অনুযায়ী তা মানতে হয়। আর আমি এখানে নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার সকাল দশটায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার নিয়ম। দুই সপ্তাহ পর শাবিন রাতে তার অনুভূতি লেখা খাতায় লিখল, আজ আমার প্রথম ‘দেখা’ ছিল। মা এসেছিলেন দেখা করতে। মায়ের শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আমি আগে খেয়াল করিনি। চোখের নিচে গাঢ় কালি। মাথার চুলগুলো সব পেকে গেছে। চোখে কেমন দিশেহারা ঘোলাটে ভাব। তুরি আসেনি। মায়ের ফোনে তুরির সঙ্গে কথা বললাম। মনটা ভালো। মায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। পনেরো দিন পর মায়ের মুখ দেখলাম। আবার মনটা খারাপ। তুরির কথা শুনতে পাইনি। তুরি ফোন ধরে কাঁদছিল। খুব কাঁদছিল। সে কথা বলতে পারেনি। তুরি কেন কাঁদছিল?
আজ মায়ের সঙ্গে চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়া হলো না। আমার থাকার মেয়াদ শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ বাকি আছে। তারপর যাওয়া যাবে বাড়িতে। বুঝতে পারছি না, দুই সপ্তাহ থাকব নাকি আগামী সপ্তাহে বাড়ি চলে যাব?
একাদশতম দিনে শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আজ সেন্টারে আমার একাদশতম দিন। গত ১০টা দিন খুব দ্রæত পার হয়ে গেল। আর তেরো দিন পর আমি বাসায় ফিরে যেতে পারব। আমি নিজে খানিকটা অসুস্থ। এ ছাড়া প্রেশার ও ড্রাগস ফ্রি ওষুধের প্রভাবে আমি ক্লান্ত প্রাণ এক। তুরির কথা মনে পড়ে খুব- বারবার, বারবার। যদিও আমি এখানে আনন্দে আছি তবুও আমার মানসিক অবস্থা খারাপ। এখানে ক্লাস বা অন্যান্য কাজ সবই নিয়মমাফিক ও ভালো তবু আমার চিন্তা-ভাবনা নিম্নমুখী হয়ে যাচ্ছে। সুস্থ থাকা, আত্মবিশ্বসী হওয়া ও উঁচু মানসিকতার প্রয়োজন এখন আমার। এছাড়াও নিজ সততার ওপর স্থির দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন জরুরি আমার জন্য।

শাবিন তার খাতায় লিখেছে, আমি এখানে আছি কারণ অবশেষে আমি আমার নিজের কাছেই আশ্রয়হীন। যতক্ষণ না আমি মুখোমুখি হই অন্যের অন্তরে ও চোখে। আমি পালাচ্ছি। যতক্ষণ না আমি তাদের ভোগাই, আমার গুপ্তকথা সহভাগিতা করার জন্য। তাদের কাছ থেকে আমার কোনো নিরাপত্তা নেই। পরিচিত হতে ভীত থাকলে আমি কখনো নিজেকে বা অন্য কাউকে চিনতে পারব না। আমি হব একা। আমার এই সাধারণ ভ‚মি ব্যতিত কোথায় আমি এমন আয়না পাব! এখানে একসাথে নিজের কাছে স্পষ্টভাবে আবির্ভাবিত হতে পারব! আমার স্বপ্নের দানবের মতো নয়, নয় ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় বরং একজন ব্যক্তি হিসেবে একটি সমগ্রের অংশ হয়ে যেখানে আমার অংশের একটি কারণ আছে। এই ভ‚মিতে আমি আমার শেকড় ছড়াতে পারব এবং বেড়ে উঠব। আর একা নয় মৃতের মতো বরং জীবন্ত আমার নিজের কাছে এবং অন্যের কাছে।

এ পর্যন্ত লিখে লম্বা শ্বাসে বুকের ভেতর বাতাস টেনে নিলাম। ভালো লাগছে। প্রশান্তি বোধ করছি।

(চলবে)

 

 

পর্ব ১৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১১: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১০: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৯: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৮ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৭ : অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৬: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৫: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৪: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ৩: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ২: অঘ্রানের অন্ধকারে

পর্ব ১: অঘ্রানের অন্ধকারে

Header Ad
Header Ad

এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পুরো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশনের সুস্পষ্ট অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এনআইডি ইসিতেই থাকা উচিত এবং সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, “এনআইডি নির্বাচন কমিশনে রাখার ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা চাই, এনআইডি ইসিতেই থাকুক। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেব। তবে, কমিশন কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। সরকারই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”

সরকারের কাছে কমিশনের অবস্থান লিখিতভাবে জানানো হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, সবদিক বিবেচনা করেই সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও জানান, সরকার এখনো এনআইডি সেবা কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে এবং এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি, “এনআইডি যদি ইসি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সেবা সহজ করতে ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগসহ বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত নিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে, বিগত সরকার এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য আইন করেছিল। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওই আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফিরিয়ে দেয়। এখন আবারও সরকার এনআইডি আলাদা কমিশনের অধীনে রাখার পরিকল্পনা করছে।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনআইডি আলাদা কমিশনে নেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১২ মার্চের মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নিলে ১৩ মার্চ থেকে সারা দেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন।

দুপুরে সিইসির দফতরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বের হয়ে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবির বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানান।

Header Ad
Header Ad

কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ

কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নৈশপ্রহরীদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে সেহরির খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত নৈশপ্রহরীদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি করেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে কুবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদুল ইসলাম শাওন বলেন, 'পবিত্র রমজান আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ভ্রাতৃত্ববোধের মাস। এই মাসে আমাদের উচিত একে অপরের পাশে দাঁড়ানো, বিশেষ করে যারা নিঃসন্দেহে আমাদের সুরক্ষার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের নির্দেশনায় আজ আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণের সুযোগ পেয়েছি। তারা সারারাত আমাদের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করেন, তাই তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এটি একটি ছোট প্রয়াস মাত্র। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই উদ্যোগ কবুল করুক এবং আমাদের সবাইকে রমজানের শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করার তৌফিক দান করুক।'

Header Ad
Header Ad

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. তৌফিক হাসান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তার জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, গতকাল বুধবার শাহবাগ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করেছেন মোস্তফা আসিফ– এমন অভিযোগ করে ভুক্তভোগী ঘটনার বিবরণ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। হেনস্তার শিকার ওই শিক্ষার্থী প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৫ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে তিনি ও তার বন্ধু পায়ে হেঁটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে রাজু ভাস্কর্যের সামনে পৌঁছালে মোস্তফা আসিফ বাদীর সামনে এসে তিনি পর্দা করেননি কেন বলে প্রশ্ন করেন। তার ওড়না ঠিক নেই কেন বলাসহ আরও কুরুচিপূণ কথা বলে তাকে যৌনপীড়ন করেন। ওই ছাত্রী তখন প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে আসামি দৌড়ে পালিয়ে যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি
কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ
পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন
পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে: আইজিপি
২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় জামিন পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
লন্ডনে জয়শঙ্করের ওপর হামলার চেষ্টা, ছেঁড়া হলো ভারতের পতাকা!
ভাষানটেকে বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাষ্ট্র নাকি ব্যবসায়ী কার শক্তি বেশি দেখতে চান চট্টগ্রামের ডিসি
আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: ড. ইউনূস
জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ভারতের পরবর্তী টার্গেট পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর
মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ৫৬ বাংলাদেশি জেলে
রোজাদারের জন্য যেসব কাজ মাকরুহ
রাজধানীর ভাষানটেকে বস্তিতে আগুন
সাবেক এমপি এম এ মালেক গ্রেপ্তার  
৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান-মামুন  
বসুন্ধরা এলাকায় হামলা নিয়ে যা বললেন সারজিস আলম  
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ধস্তাধস্তি, দুই জন আহত  
ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা মুশফিকের
অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র