বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ | ২৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

হেলাল হাফিজ

প্রিয় ১০ কবিতা

নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়

এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।

মিছিলের সব হাত
                কণ্ঠ
                পা এক নয় ।
সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে,
কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার
কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার ।

শাশ্বত শান্তির যারা তারাও যুদ্ধে আসে
অবশ্য আসতে হয় মাঝে মধ্যে
অস্তিত্বের প্রগাঢ় আহ্বানে,
কেউ আবার যুদ্ধবাজ হয়ে যায়  মোহরের প্রিয় প্রলোভনে ।

কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয় ।
যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান
তাই হয়ে যান
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় ।

এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।

 

দুঃখের আরেক নাম

আমাকে স্পর্শ করো, নিবিড় স্পর্শ করো নারী।
অলৌকিক কিছু নয়,
নিতান্তই মানবিক যাদুর মালিক তুমি
তোমার স্পর্শেই শুধু আমার উদ্ধার।

আমাকে উদ্ধার করো পাপ থেকে,
পঙ্কিলতা থেকে, নিশ্চিত পতন থেকে।
নারী তুমি আমার ভিতরে হও প্রবাহিত দুর্বিনীত নদীর মতন,
মিলেমিশে একাকার হয়ে এসো বাঁচি
নিদারুণ দুঃসময়ে বড়ো বেশি অসহায় একা পড়ে আছি।

তুমুল ফালগুন যায়, ডাকে না কোকিল কোনো ডালে,
আকস্মিক দু'একটা কুহু কুহু আর্তনাদ
পৃথিবীকে উপহাস করে।
একদিন কোকিলেরো সুসময় ছিলো, আজ তারা
আমার মতোই বেশ দুঃসময়ে আছে
পাখিদের নীলাকাশ বিষাক্ত হয়ে গেছে সভ্যতার অশ্লীল বাতাসে।

এখন তুমিই বলো নারী
তোমার উদ্যান ছাড়া আমি আর কোথায় দাঁড়াবো ।
আমাকে দাঁড়াতে দাও বিশুদ্ধ পরিপূর্ণতায়,
ব্যাকুল শুশ্রূষা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করো
নারী তুমি শৈল্পিক তাবিজ,
এতোদিন নারী ও রমণীহীন ছিলাম বলেই ছিলো
দুঃখের আরেক নাম হেলাল হাফিজ।

 

উৎসর্গ

আমার কবিতা আমি দিয়ে যাবো
আপনাকে, তোমাকে ও তোকে।

কবিতা কি কেবল শব্দের মেলা, সংগীতের লীলা?
কবিতা কি ছেলেখেলা, অবহেলা, রঙিন বেলুন?
কবিতা কি নোটবই, টু-ইন-ওয়ান, অভিজাত মহিলা -সেলুন?

কবিতা তো অবিকল মানুষের মতো
চোখ-মুখ-মন আছে, সেও বিবেক শাসিত,
তারও আছে বিরহে পুষ্পিত কিছু লাল নীল ক্ষত।

কবিতা তো রূপান্তরিত শিলা, গবেষণাগারে নিয়ে
খুলে দেখো, তার সব অণু-পরমাণু জুড়ে
কেবলি জড়িয়ে আছে মানুষের মৌলিক কাহিনী।
মানুষের মতো সেও সভ্যতার চাষাবাদ করে,
সেও চায় শিল্প আর স্লোগানের শৈল্পিক মিলন,
তার তা ভূমিকা চায় যতোটুকু যার উৎপাদন।

কবিতা তো কেঁদে ওঠে মানুষের যে কোনো অ-সুখে,
নষ্ট সময় এলে উঠানে দাঁড়িয়ে বলে,–
পথিক এ পথে নয়
'ভালোবাসা এই পথে গেছে'।

আমার কবিতা আমি দিয়ে যাবো
আপনাকে, তোমাকে ও তোকে।

 

নাম ভূমিকায়

তাকানোর মতো করে তাকালেই চিনবে আমাকে।

আমি মানুষের ব্যকরণ
জীবনের পুষ্পিত বিজ্ঞান
আমি সভ্যতার শুভ্রতার মৌল উপাদান,
আমাকে চিনতেই হবে
তাকালেই চিনবে আমাকে।

আমাকে না চেনা মানে
মাটি আর মানুষের প্রেমের উপমা সেই
অনুপম যুদ্ধকে না চেনা।

আমাকে না চেনা মানে
সকালের শিশির না চেনা,
ঘাসফুল, রাজহাঁস, উদ্ভিত না চেনা।

গাভিন ক্ষেতের ঘ্রাণ, জলের কসম, কাক
পলিমাটি চেনা মানে আমাকেই চেনা।
আমাকে চেনো না?
আমি তোমাদের ডাক নাম, উজাড় যমুনা।

 

মানবানল

আগুন আর কতোটুকু পোড়ে?
সীমাবদ্ধ তার ক্ষয় সীমিত বিনাশ,
মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালি সন্ত্রাস।

আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে
কিছু থাকে,
হোক না তা শ্যামল রঙ ছাই,
মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না
কিচ্ছু থাকে না,
খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই।

 

 

ফেরিওয়ালা

কষ্ট নেবে কষ্ট 
হরেক রকম কষ্ট আছে,
কষ্ট নেবে কষ্ট !

লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট 
পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট, 
আলোর মাঝে কালোর কষ্ট
'মালটি-কালার' কষ্ট আছে 
কষ্ট নেবে কষ্ট । 

ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট 
দাড়ির কষ্ট 
চোখের বুকের নখের কষ্ট, 
একটি মানুষ খুব নীরবে নষ্ট হবার কষ্ট আছে 
কষ্ট নেবে কষ্ট । 

প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট নদী এবং নারীর কষ্ট 
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট
ভুল রমণী ভালোবাসার 
ভুল নেতাদের জনসভার
হাইড্রোজেনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে 
কষ্ট নেবে কষ্ট । 

দিনের কষ্ট রাতের কষ্ট 
পথের এবং পায়ের কষ্ট 
অসাধারণ করুণ চারু কষ্ট ফেরীঅলার কষ্ট 
কষ্ট নেবে কষ্ট । 

আর কে দেবে আমি ছাড়া 
আসল শোভন কষ্ট, 
কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন 
আমার মত ক’জনের আর 
সব হয়েছে নষ্ট, 
আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট ।

 

যাতায়াত

কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো। 
কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
রাত কাটে তো ভোর দেখি না
কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানেনা।

নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম
পেছন থেকে কেউ বলেনি করুণ পথিক
দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও,
কেই বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো
যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো ।

জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুন তাপস এই নে চারু শীতল কলস।

লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।

ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে যেমন করে বিপদ পেরোয়
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই
দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।

কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি।

 

প্রস্থান

এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷

এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা
খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷
ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত
ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷
কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে
কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে
পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷

আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷
গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?
আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,
নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে
পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়?

এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,
এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে!

 

সুন্দরের গান

হলো না, হলো না।
শৈশব হলো না, কৈশোর হলো না
না দিয়ে যৌবন শুরু, কার যেন
বিনা দোষে শুরুটা হলো না।

হলো না, হলো না।
দিবস হলো না, রজনীও না
সংসার হলো না, সন্ন্যাস হলো না, কার যেন
এসব হলো না, ওসব আরও না।

হলো না, হলো না।
সন্দুর হলো না, অসুন্দরও না
জীবন হলো না, জীবনেরও না, কার যেন
কিছুই হলো না, কিচ্ছু হলো না।

হলো না। না হোক,
আমি কী এমন লোক!
আমার হলো না তাতে কি হয়েছে?
তোমাদের হোক।

 

রাখালের বাঁশি

কে আছেন?
দয়া করে আকাশকে একটু বলেন—
সে সামান্য উপরে উঠুক,
আমি দাঁড়াতে পারছি না ।

Header Ad
Header Ad

দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বুধবার (৯ এপ্রিল) দশম বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোর মধ্যে যেগুলো সমস্যাজর্জরিত, সেগুলোকে মার্জার বা একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

গভর্নর জানান, "ইসলামী ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং অনেক ব্যাংকই ঝামেলার মধ্যে রয়েছে। তবে এগুলোর একীভূত করার প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।" তিনি আরও বলেন, "বৈশ্বিক স্তরের ইসলামী ব্যাংকিং মডেল অনুসরণ করতে আমরা কাজ করছি এবং এই জন্য যথাযথ রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।"

গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় এবং এর আওতায় ১০টি দুর্বল ব্যাংককে মার্জার করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষমতার পরিবর্তন এবং সরকারের পরিবর্তনের পর এই প্রক্রিয়া কিছুটা থমকে যায়। গভর্নর জানিয়েছেন, এবার এই উদ্যোগ পুনরায় চলমান রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, "যেসব ব্যাংকের বোর্ড কার্যকরভাবে কাজ করছে না, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই ব্যাংকের বোর্ডে হস্তক্ষেপ করবে।"

এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে ব্যাংকিং কোম্পানি আইন সংশোধন এবং ব্যাংক পরিচালনায় শাসনপদ্ধতিতে উন্নতি আনার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, "ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে এবং তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে করা হবে।"

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে কিছু ব্যাংকের কার্যক্রম পরিবর্তন করতে সফল হয়েছে এবং ব্যাংকিং খাতের উন্নতির জন্য আরও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া, ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) লেনদেন বৃদ্ধির প্রসঙ্গেও গভর্নর আশাবাদী, এবং ভবিষ্যতে এই সেক্টর থেকে আরও উন্নতির প্রত্যাশা করেছেন।

তিনি জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংকে আরও শক্তিশালী করা হবে এবং নারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সুযোগ দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি

গুলশানে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় অবৈধ দোকান এবং স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে গুলশান-২ এর ৪৬ ও ৯০ নম্বর রোডে অভিযান চালানো হয়, যেখানে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে।

এই অভিযানে অন্তত ২৫টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল বিভিন্ন খাবারের টং দোকান এবং হকারদের সামগ্রীর দোকান। উচ্ছেদ কার্যক্রমের ফলে এলাকাবাসী ও চলাচলকারী সাধারণ মানুষের জন্য পথ চলা সহজ ও স্বাভাবিক হয়েছে।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম বলেন, “রাস্তা এবং ফুটপাতে অবৈধ দোকান এবং স্থাপনা গড়ে ওঠায় স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল এবং যানজট বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে নাগরিকদের চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আমাদের অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।”

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন ১০ এপ্রিল থেকে সব ধরনের মার্কিন পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এ ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে, ২ এপ্রিল ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছিলেন, যার মধ্যে চীনের জন্য ৩৪ শতাংশ শুল্ক অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীনও এর পরদিন মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।

৭ এপ্রিল, সোমবার, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীনের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, চীন যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে। তবে, চীন ওই হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায় ৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর করেছে। বর্তমানে, চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ১০৪ শতাংশ।

এদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির সঙ্গে কথা বলার সময় জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপে বেইজিং কোনো ধরনের বিচলিত নয় এবং শুল্ক বৃদ্ধি করলে চীন পাল্টা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

এছাড়া, ২ এপ্রিলের পর ট্রাম্প আরও ১২টি দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর রয়েছে। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ভিয়েতনামের ওপর, যা ৪৬ শতাংশ। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্কের পরিমাণ ৩৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সূত্র: আরটি, আলজাজিরা, বিবিসি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দুর্বল শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করা হবে: গভর্নর
গুলশানের এক কিলোমিটার রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করল ডিএনসিসি
যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশের জবাবে ৮৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করল চীন
মুজিববর্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়, শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
১৫ কোটি বাজেটের ‘বরবাদ’-এ শাকিবের পারিশ্রমিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা
‘অতি গোপনীয় অভিযোগ’ নিয়ে দুদকে হাসনাত-সারজিস
ডিসেম্বরের আগে সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া হবে: সালাহ উদ্দিন
ঈদযাত্রায় সড়কে ৩১৫ দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উদ্ধার করা সওজের জমি দখলে নিল সমন্বয়করা!
নবাব শেখের ভাইরাল সেই ‘চলমান-খাট’ নিয়ে গেছে পুলিশ
টাঙ্গাইলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী
মাঠে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আম্পায়ার গাজী সোহেল
বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা
বিনিয়োগ সম্মেলনে ইয়ংওয়ান প্রধানকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিল বাংলাদেশ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে বিসিএসসহ সরকারি চাকরি, দুদকের তদন্তে মিলেছে প্রমাণ
এসএসসি পরীক্ষায় মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
‘মাইক্রোসফটের সবার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত’, প্রতিবাদ করে বরখাস্ত দুই কর্মী
বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
হত্যা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার গ্রেপ্তার
সংস্কার সুপারিশে ত্রিমুখী অবস্থানে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির