রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১২

বিষাদ বসুধা

অফিসের গেটের সামনে মোহিনীকে বহনকারী পাজেরো জিপটি এসে থামে। ড্রাইভার গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পেছনের দরজা খোলার জন্য এগিয়ে যায়। দরজা খুলে কুর্ণিশের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে সে। এই কাজটি মোহিনীর পছন্দ নয়। অনেকবার ড্রাইভারকে তিনি বলেছেন। ওমন কুর্ণিশের ভঙ্গিতে তুমি দাঁড়াবে না। আমার ভালো লাগে না। তারপরও সে এই কাজটি করে। আসলে এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে সে চাকরি করত— সেখানে এ রকম নির্দেশনাই ছিল। সেখানে সে টানা দশ বছর চাকরি করেছে। অজ্ঞাত কারণে তার চাকরি চলে যায়। মাস খানেক আগে সে মোহিনীর ড্রাইভার হিসেবে যোগ দিয়েছে। দশ বছরের অভ্যাস হঠাৎ করে বদলাবে কি করে?

মোহিনী হাতে ব্যাগ নিয়ে গাড়ি থেকে নামল। দুএক কদম সামনে এগোতেই মোহিনী কিছুটা হোচট খেলেন। তিনি গেটের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেনও। চারদিকে তাকিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করলেন। হঠাৎ তার বুকটা কেমন যেন কাঁপন দিয়ে উঠল। আগে কখনো এমনটি হয়নি। এমন থমথমে পরিবেশও কখনো দেখেননি। হাজারো প্রশ্ন তার মাথায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। পরিবেশটা এমন মনে হচ্ছে কেন? কি হয়েছে? কোনো অঘটন কি ঘটেছে?

মোহিনী মনে মনে ভাবেন, নিশ্চয়ই কিছু ঘটেছে। তা না হলে এমন লাগবে কেন? এমন হবেই বা কেন? আমার নিজের অফিস। অথচ নিজের কাছেই অচেনা মনে হয়। কি ঘটতে পারে? এমনটি ভাবতে ভাবতেই মোহিনীর সিঁড়ির উপর পা রাখলেন। এরমধ্যেই মোহিনীর একান্ত সহকারি শাহনাজ বেগম হুড়মুড় করে তার সামনে দাঁড়াল। কাচুমাচু করে বলল, সরি ম্যাম, একটু দেরি হয়ে গেল!
শাহনাজ, অফিসে কি হয়েছে বলো তো?
জি ম্যাম বলছি। আপনি অফিসে বসার পর বলি!
আচ্ছা ঠিক আছে। অফিসের কি অবস্থা? সবাই এসেছে তো?
জি ম্যাম।
অফিসের কারো কোনো সমস্যা হয়েছে?
জি ম্যাম।

কার সমস্যা? কি সমস্যা? তুমি এমন রাগঢাক কেন করছ? তাড়াতাড়ি বলো।
বলছি ম্যাম। আপনি বসুন।

মোহিনী হাতের ব্যাগ পাশে রেখে নিজের চেয়ারে বসলেন। শাহনাজ বেগম এই সময়টুকুর জন্যই অপেক্ষা করছিল। মোহিনী চেয়ারে বসার পরই বলল, ম্যাম একটা দুঃসংবাদ আছে।
সেটাই তো আমি জানতে চাচ্ছি। দুঃসংবাদটা কি?

শফিকুর রহমান সাহেব করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার লাশ পরিবারের কাছে দেয়নি। সরকারিভাবে দাফন করা হয়েছে।
তাই নাকি! ওহ! বুঝতে পারছি। ছোঁয়াচে রোগ। অন্যদের মধ্যে যাতে না ছড়াতে পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা। আচ্ছা, তার বাসায় কে কে আছে?
তার স্ত্রী আর দুই ছেলে মেয়ে।
তার স্ত্রীকে ফোনে ধরো। আমি কথা বলব।
জি ম্যাম।

শাহনাজ বেগম মোহিনীর কক্ষ থেকেই ফোন করে শফিকুর রহমানের বাসায়। শফিকুর রহমানের স্ত্রী সুলেখা ফোন ধরেন। শাহনাজ বেগম ফোনে বলে, আমি শফিক সাহেবের অফিস থেকে বলছি। ম্যাম কথা বলবেন। তারপর সে ফোনের রিসিভারটা মোহিনীর হাতে এগিয়ে দেয়। মোহিনী ফোন ধরতেই টেলিফোনের ওপাশ থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসে। মোহিনী ফোনের রিসিভার কানে ধরে থাকেন। মোহিনী কারো কান্না সহ্য করতে পারেন না। কান্নার শব্দ তাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। তার চোখে পানি আসে। তিনিও কাঁদেন। এক পর্যায়ে সুলেখা বললেন, আমরা বুঝতেই পারলাম না, কিভাবে কী হয়ে গেল! হঠাৎ করেই শফিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোমায় চলে যায়। সেখান থেকে আর ফিরল না। আমরা তাকে এক নজর দেখতেও পারলাম না! এখন আমাদের কি হবে? আজ বিকালে আমাদের তিনজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাবে। আমরাও আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করবে।
মোহিনী বেদনাহত কণ্ঠে বললেন, আপনি কোনো চিন্তা করবেন না ভাবি। আমরা আছি আপনার পাশে। আমরা থাকবো সব সময়। আমাদের প্রতিষ্ঠানেই আপনি চাকরি করবেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুলেখা শফিক বললেন, ধন্যবাদ আপা। শুনছি আপনি মানুষকে অনেক উপকার করেন। সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন। সেই জন্যই কিছুটা ভরসা পাচ্ছি। অন্তত ছেলে মেয়ে নিয়ে পথে বসতে হবে না।

না না। কি বলেন? এ ধরনের নেতিবাচক চিন্তা মনেও আনবেন না। যে কোনো প্রয়োজনে আমাকে ফোন দেবেন। কোনো রকম দ্বিধা রাখবেন না। শফিক সাহেব অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অনেক দিয়েছেন। আমরা থাকতে তার পরিবার বিপদে হাবুডুবু খাবে তা হতে পারে না। আপনাদেরকে কোন হাসাপাতালে নেবে, কুর্মিটোলায় নাকি মুগদাতে?
সম্ভবত কুর্মিটোলায়। আমি জানাবো। আপনার মোবাইল নম্বরটা যদি দেন…।

মোহিনী মোবাইল নম্বর দিয়ে সুলেখা শফিকের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। তারপর শাহনাজ বেগমকে উদ্দেশ করে বললেন, তুমি ওনার সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখ। যখন যা দরকার হয় তা দিও। তাকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো রকম কার্পণ্য করবে না। তুমি বরং এখনই তার বাসায় কাউকে দিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দাও। বুঝতে পারছ?
জি ম্যাম।
দেরি কোরো না। উনি হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার হাতে যেন টাকাটা পৌঁছে।
জি জি।
আর শোন, প্রশাসনের জিএমকে আমার কক্ষে পাঠাও।
জি ম্যাম।

শাহনাজ বেগম বের হয়ে নিজের কক্ষে যায়। ইন্টারকমে প্রশাসনের জিএম আবুল কালামকে ফোন মোহিনীর কক্ষে যাওয়ার জন্য বলে। আবুল কালাম সঙ্গে সঙ্গে মোহিনীর কক্ষে এসে হাজির হয়। মোহিনী তাকে উদ্দেশ করে বলেন, শফিক সাহেবের সঙ্গে যারা কাজ করতেন তাদেরকে হোম কোয়ারিন্টিনে পাঠিয়ে দেন। পুরো অফিসকে আবারও খুব ভালো করে সেনিটাইজ করান। বাইরের লোক আসা-যাওয়া আপাতত বন্ধ রাখুন। আর অফিসের সামনে সেনিটাইজ করার যাবতীয় ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। বুঝতে পারছেন?
জি জি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোথাও সেনিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু কি সেনিটাইজার! ডেটল, স্যাভলন থেকে শুরু করে জীবানু নিরোধন যা যা আছে সব কিনে নিয়ে গেছে।
বলেন কী!
তাহলে আর বলছি কী ম্যাম! হুজুগে বাঙালি কি খামাখা বলে! মানুষ পাগলের মতো বাজার থেকে সব কিনে নিয়ে গেছে। যে যা পেরেছে। আমরা কারওয়ান বাজারে লোক পাঠিয়েছি। যেখান থেকে ফোন করে জানালো কিচ্ছু নেই! পরে আর কী করা, ডেটল কোম্পানিকে বললাম, আমাদেরকে কিছু সেনিটাইজার দিতে। ওরা বলল, কাল সকালে ব্যবস্থা করবে।
মাই গড! এই অবস্থা! তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে! যার টাকা ছিল সে কিনে নিয়ে গেছে। যার টাকা নেই সে নিশ্চয়ই এগুলো কিনতে পারেনি! তাদের সংখ্যাই তো বেশি। তাদের কি হবে?
তাদের আর কী হবে? তাদের ভরসা আল্লাহ!

দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়েন মোহিনী। কিছুক্ষণ পর তিনি বললেন, আরেকটা কথা, আমরা তো অনেককে ছুটি দিয়েছি তাই না?
জি ম্যাম।
তারপরও এতো লোক কেন?
ম্যাম, তারা আমাদের অফিসের গাড়িতেই যাতায়াত করে।
তা করুক। তাদের মুভমেন্ট তো হচ্ছে। ব্যবসা অনেক করেছি। এখন মানুষের বাঁচা-মরার প্রশ্ন। আগে বাঁচতে হবে। বেঁচে থাকলে অনেক ব্যবসা করা যাবে। এরমধ্যেই আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ লোককে আমরা হারিয়েছি। আর কাউকে হারাতে চাই না।
জি ম্যাম।

চলবে…

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১১

বিষাদ বসুধা: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

Header Ad

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলি সহ জুয়েল রানা (২০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার রাসেল দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার মাছুয়াপাড়া গ্রামের পান্না মিয়ার ছেলে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেল রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী সদস্য। এসময় ভগ্নিপতি জুয়েল মিয়ার বাড়ি থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও আট রাউন্ড তাজা গুলিসহ জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি আরও জানান।

Header Ad

আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?

ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলাম চলছে। তিন বছর পর পর হওয়া এই নিলাম এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সৌদি আরবের জেদ্দায়। দুই দিনব্যাপী নিলামের প্রথম দিনটি শুরু হয়েছে আজ, রোববার (২৪ নভেম্বর)। বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর এখন ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের নিলামে। ভক্তদের কৌতূহল, কোন তারকা কোন দলে যাচ্ছেন, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছেন তারা—এইসব প্রশ্ন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক, প্রথম দিন কোন খেলোয়াড় কোন দলে যোগ দিলেন।

গুজরাট টাইটান্স:

আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট এবারও শক্তিশালী দল গড়তে মরিয়া। নিলামের আগে তারা পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করেছে। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৬৯ কোটি রুপি নিয়ে শুরু করেছে নিলাম। অবশ্য এত টাকা খরচ করলেও অভিজ্ঞ রশিদ-গিলকে ঠিকই ধরে রেখেছে দলটি। এই দুইজন ছাড়াও আছেন সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া ও শাহরুখ খানের মতো ক্রিকেটাররা।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে গুজরাট

কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)—১০.৭৫ কোটি রুপি

জস বাটলার (ইংল্যান্ড)—১০.৭৫ কোটি রুপি

মোহাম্মদ সিরাজ (ভারত)— ১২.২৫ কোটি রুপি

পাঞ্জাব কিংস:

কখনও আইপিএলের শিরোপা জিততে না পারা পাঞ্জাব কিংস এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি নিয়ে হাজির হবে। মূলত খেলোয়াড় রিটেনশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় তারা। অন্যান্য দলগুলো তারকা সব ক্রিকেটারদের রিটেনশন পদ্ধতিতে দলে নিলেও সেখানে মাত্র দুইজনকে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের কেউই তারকা ক্রিকেটার নন। তারা হলে শশাঙ্ক সিংহ ও প্রভসিমরান সিংহ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে পাঞ্জাব

অর্শ্বদীপ সিং (ভারত)—১৮ কোটি রুপি

শ্রেয়ার আইয়ার (ভারত)— ২৬.৭৫ কোটি রুপি

যুযবেন্দ্র চাহাল (ভারত)— ১৮ কোটি রুপি

মার্কাস স্টয়নিস (অস্ট্রেলিয়া)— ১১ কোটি রুপি

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া)— ৪.২০ কোটি রুপি

দিল্লি ক্যাপিটালস:

নিলামের টেবিলে ৭৩ কোটি রুপি নিয়ে হাজির হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। চার ক্রিকেটারকে রিটেনশন করেছে তারা। এতে খরচ হয়েছে মোট ৪৭ কোটি রুপি। সেই হিসেবে নিলাম থেকে বড় কোনো তারকাকে ভেড়াতে প্রস্তুত দলটি। কখনও শিরোপা জিততে না পারা দলটির জন্য ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়াই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। দলটিতে আছেন অক্ষর প্যাটেল, কুলদ্বীপ যাদব, ত্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোরেল।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে দিল্লি

মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)—১১.৭৫ কোটি রুপি

লোকেশ রাহুল (ভারত)—১৪ কোটি রুপি

হ্যারি ব্রুক (ইংল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক (অস্ট্রেলিয়া)— ৯ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

লখনৌ সুপার জায়ান্ট:

২০২৪ আইপিএলে মাঠের বাইরের নানা কর্মকান্ডে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। এবার নিলামের আগে তারাও গুজরাটের মতো পাঁচ ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। এতে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি রুপি। হাতে আছে ৬৯ কোটি রুপি। দলটিতে আছেন নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণুই, মায়াঙ্ক যাদব, মহসিন খান ও আয়ুশ বাদোনি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে লখনৌ

ঋষভ পন্ত (ভারত)— ২৭ কোটি রুপি

ডেভিড মিলার (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৭.৫০ কোটি রুপি

এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ২ কোটি রুপি

মিচেল মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)— ৩.৪০ কোটি রুপি

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

আইপিএলের গত আসরের রানার্সআপ হায়দরাবাদ এবারও চমক দেওয়ার অপেক্ষায়। ২০২৪ সালে দারুণ ছন্দে থাকা দুই অসি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স ও ট্রাভিস হেডকে ধরে রেখেছে তারা। পাশাপাশি আছে হেনরিখ ক্লাসেনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারও। এছাড়া, দেশিদের মধ্যে অভিষেক শর্মা ও নিতীশ কুমার রেড্ডিরাও দ্যুতি ছড়াতে প্রস্তুত। এই পাঁচ ক্রিকেটারকে কিনতে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি। অবশিষ্ট ৪৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলাম শুরু করেছে হায়দরাবাদ।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে হায়দরাবাদ

মোহাম্মদ সামি (ভারত)—১০ কোটি রুপি

হারশাল প্যাটেল (ভারত)—৮ কোটি রুপি

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু:

আইপিএলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল ধরা হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। মূলত কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি থাকায় দলটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এবারের নিলামে বড় অঙ্কের অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছে আরসিবিও। রিটেনশনের সময় তারা দলে ভিড়িয়েছে বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার ও ইয়াশ দয়ালকে। এদের কিনতে মোট খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি রুপি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলাম শুরু করেছে ৮৩ কোটি রুপি নিয়ে।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে বেঙ্গালুরু

লিয়াম লিভিংস্টোন (ইংল্যান্ড)— ৮.৭৫ কোটি রুপি

ফিল সল্ট (ইংল্যান্ড)— ১১.৫০ কোটি রুপি

চেন্নাই সুপার কিংস:

আইপিএলের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই এবারও শক্তিশালী দল গড়ার পথে। দলটি রিটেন করেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মাথিশা পাথিরানা, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা ও এমএস ধোনিকে। এতে তাদের খরচ হয়েছে মোট ৬৫ কোটি রুপি। বাকি ৫৫ কোটি রুপি নিয়ে নিলামে অংশ নিয়েছে তারা। দেখার বিষয় গত আসরে দলটিতে দারুণ খেলা বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে এবার তারা ডেরায় ভেড়ায় কি না।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে চেন্নাই

ডেভন কনওয়ে ( নিউজিল্যান্ড)—৬.২৫ কোটি রুপি

রাহুল ত্রিপাঠি (ভারত) — ৩.৪০ কোটি রুপি

রাচিন রবীন্দ্র ( নিউজিল্যান্ড)—৪ কোটি রুপি

রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত) — ৯.৭৫ কোটি রুপি

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

আইপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস কলকাতা নাইট রাইডার্স ফের একবার চমক দিতে মরিয়া। গত আসরের দলটিতে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। যদিও এবার তাকে রিটেন করেনি দলটি। তারা ছয় জন প্লেয়ারকে নিলামের আগেই রিটেইন করেছে। তারা হলেন রিঙ্কু সিংহ, বরুণ চক্রবর্তী, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, হারশিত রানা ও রামানদ্বীপ সিংহ। এতে তাদের ব্যয় হয়েছে ৬৯ কোটি রুপি। ৫১ কোটি রুপি নিয়ে আজ নিলাম শুরু করেছে দলটি।

আজ নিলাম থেকে যাদের নিয়েছে কলকাতা

ভেঙ্কটেশ আইয়ার (ভারত)—২৩.৭৫ কোটি রুপি

কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)— ৩.৬০ কোটি রুপি

২০২৫ আইপিএল আগামী ১৪ মার্চ শুরু হয়ে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। আইপিএল কর্তৃপক্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়েছে, বেশির ভাগ আইসিসি পূর্ণ সদস্যদেশের খেলোয়াড়েরা পরবর্তী তিন বছর আইপিএলে খেলার বিষয়ে নিজ দেশের বোর্ড থেকে সম্মতি পেয়েছেন। তবে এর মধ্যে পাকিস্তান নেই। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণের পর এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ