শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১০

বিষাদ বসুধা

আরেফিনের মন বড় অস্থির; বড় উচাটন। স্বস্তিতে কোথাও দম নিতে পারছেন না। এই বসছেন। আবার উঠে হাঁটাহাঁটি করছেন। কখনো কখনো বিছানায় শুয়ে বিড় বিড় করে কি যেন বলছেন তিনি। হোটেল কক্ষে তিনি রীতিমতো ছটফট করছেন। জলের মাছ ডাঙায় উঠলে যে রকম অবস্থা হয় সে রকম অবস্থা হয়েছে তার। এর অনেকগুলো কারণ অবশ্য আছে। একটি কারণ হচ্ছে, একা হোটেল কক্ষে বসে থাকা। হোটেল কক্ষে একা কতক্ষণ বসে থাকা যায়! তিনি নিজেকে অসহায় বোধ করেন। অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত নিয়ে ভাবেন। অতীতটা কেমন ছিল? দুঃখ কষ্ট বেদনার সেই অতীতের দিনগুলোর কথা মনে করতে চান না তিনি। তিনি মনে মনে বলেন, এমন অতীত যেন কারো জীবনে না আসে। সে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কথা ভাবে। বর্তমান সময়টা তার কেমন যাচ্ছে? তার ভবিষ্যত কি, কোথায় যাবে সে, কি হবে তার জীবনে এসব নিয়ে ভাবে। কিন্তু ভবিষ্যটাও যেন অতীতের মতো শূন্য মরুদ্যান।

নানারকম হতাশা আরেফিনকে চারদিক থেকে জেঁকে ধরে। হতাশা কাটানোর জন্য তিনি পত্রিকা পড়েন, টিভি দেখেন। তাতেও তিনি হতাশা দূর করতে পারেন না। কারো সঙ্গে যে গল্প করে সময় কাটাবে তাও পারছেন না। অধিকাংশ মানুষই ইংরেজি জানে না। তারা জানার চেষ্টাও করে না। জানলেও কেউ একটি শব্দ মুখ থেকে বের করে না। যে ভাষা তাদের জীবনে কোনো প্রয়োজন নেই, সেই ভাষা তারা শিখবে কোন দুঃখে। কেউ কেউ মনে করেন, চীনা ভাষাই একদিন সারা বিশ্বকে ডোমিনেট করবে। একদিন আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
চীনারা এও মনে করেন, চীন এমন একটা দেশ; বিশ্বের প্রয়োজনেই এই দেশকে গুরুত্ব দেবে। এই দেশের ভাষা অন্য ভাষাভাষিরা শিখতে বাধ্য হবে। নিজেদের স্বার্থেই তারা চীনের দ্বারস্থ হবে। চীন নিজেদের প্রয়োজনে অন্য দেশের মুখাপেক্ষী হবে না। বিগত পঞ্চাশ বছরে চীন নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে। এজন্য চীনের অন্য ভাষা, অন্য দেশ, অন্য দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করতে হয়নি। বরং চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে যাবে। কারণ চীনা সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা। দিনে দিনে এই সভ্যতা আরো বিকাশ লাভ করেছে। বিশ্ব যতদিন টিকে থাকবে ততদিন এই সভ্যতাও টিকে থাকবে।

দেড়শ’ কোটি মানুষের দেশে ধর্মীয় সংস্কৃতি নেই অর্ধেকের বেশি মানুষের মধ্যে। তারা কোনো ধর্মকর্ম করে না। ধর্ম বিশ্বাসই করে না। তাদের কাছে মানবধর্ম অনেক বড়। চীনারা মনে করে, ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। ধর্মে ধর্মে হিংসা হানাহানি বাড়ায়। পৃথিবীতে যতগুলো সংঘাত হয়েছে তার বেশির ভাগই ধর্মকে কেন্দ্র করে। কিন্তু মানবধর্ম মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির সেতুবন্ধন তৈরি করে। চীন যে একটি সুসৃঙ্খল জাতি হিসেবে বিেশ্বর কাজে স্বীকৃত, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে মানবধর্ম।

আরেফিন বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেন। চীনারা অনেক আগেই ভাবে। বিশ^ ভাবে অনেক পড়ে। যদিও এই নিয়ে সুনামটা বাঙালির। বাঙালি নাকি অনেক আগে ভাবে। ভারত ভাবে তার পরে। এটা কখনো কখনো আরেফিনের কাছে ‘বাকওয়াজ বুলি’ মনে হয়। তিনি মনে মনে প্রশ্ন করেন, বাঙালি আগে আগে কি এমন ভেবেছে? বড় কোনো উদাহরণ কি আছে? আমি তো কোনো কিছু খুঁজে পাই না।

এই চিন্তাও আরেফিন বেশিক্ষণ মাথায় নিতে পারে না। তিনি মনে মনে উহানে কোনো বাঙালি পরিবার আছে কি না তা খুঁজে বেড়ান। কতদিন বাংলায় কারো সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারছেন না! বোবা-কালাদের মতো বসে থাকা-এও কি কারো ভালো লাগে! তিনি যতই বকবক করুন তার কথা কেউ বোঝে না। তিনিও কারো কথা বোঝেন না। এ রকম দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়েননি তিনি। বিদেশ-বিভুঁইয়ে গেলে মানুষের মনের দরজা খুলে যায়। বাইরের পৃথিবী দেখার আনন্দে বিভোর থাকে সে। অথচ চীনে এসে আরেফিন নিজেই একটা এলিয়েনে পরিণত হয়েছেন।

উহানে অনেক বাঙালি বসবাস করে। কিন্তু লকডাউনের কারণে কেউ ঘর থেকেও বের হতে পারছে না। আসলে চীনা ভাষা না জানলে চীনে চলাফেরা করা কঠিন। অন্যান্য দেশে অল্পবিস্তার ইংরেজি সবাই জানে। যানবাহনে চেপে যে কোনো জায়গায় যাওয়া যায় সহজেই। চীনে ঘুরতে ঘুরতে দিন শেষ হয়ে যাবে তারপরও গন্তব্যে পৌছা যাবে না। আরেফিনের এই তীক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বাইরে বের হতেও ভয় পায়।

দেশটাকে আরফিনের কাছে আজব দেশ মনে হয়। পুরো বিশ্ব থেকে আলাদা। চীনই যেন ওদের কাছে আরেক পৃথিবী। আরেক গ্রহ। আরেক জগত। বিশ্বের কোথায় কি ঘটল তা নিয়ে ওদের মাথা ব্যথা নেই। ওরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। চীনের পত্রিকাগুলোও নিজেদের সব খবর তো নয়ই; বহির্বিশ্বের খবরও খুব একটা দেয় না। অন্য কাউকে নিয়ে তারা ভাবে না। সবাই ভাবে নিজেকে নিয়ে। নিজের সুখ-শান্তি, নিজের বাড়ি, নিজের শহর নিজের দেশ। চীনারা রোবটের মতো সারাক্ষণ কাজ করে। আবেগ-অনুভূতি নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু তার প্রকাশ খুব কম।

আরেফিন নানাভাবে মোহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কিছুতেই তাকে ধরতে পারলেন না। কেন তাকে ধরতে পারছেন না? মোহিনীই কি তাহলে আরেফিনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখতে চায় না? তিনি গ্রামের বাড়িতে তার মা বাবাকে ফোনে তো ঠিকই পাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছেন অনেকবার। অথচ মোহিনীকে পাচ্ছেন না। কেন? কেন পাওয়া যাচ্ছে না তাকে? সে কি তাকে ব্লক করে রেখেছে?

আরেফিনের মা বাবা ওর কাছে অনেকবার মোহিনীর কথা জানতে চেয়েছেন। কিন্তু আরেফিন সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি। তিনি আমতা আমতা করে এটা সেটা বলে এড়িয়ে গেছেন। তারা অশিক্ষিত গ্রামের মানুষ হলেও ছেলের কথা বুঝতে কি আর বাকি আছে? মা বাবাকে কি আর ছেলে ফাঁকি দিতে পারে?

নানা প্রশ্ন আরেফিনের মনে দানা বাঁধে। তিনি মনে মনে বলেন, মোহিনী কি আমাকে নিয়ে একটুও ভাবে! আমার কথা মনে করে! আগের মতো সে কি আমাকে ভালোবাসে! নিশ্চয়ই মনে করে; নিশ্চয়ই ভালোবাসে। তা না হলে মোহিনীর কথা আমার এতোবেশি মনে পড়বে কেন! তা ছাড়া মোহিনীর প্রতি আমার ভালোবাসার তো কোনো কমতি নেই।

মোহিনীর সঙ্গে আরেফিনের কত স্মৃতি। সেই সব স্মৃতি তার মনের আয়নায় ভেসে ওঠে। কখনো ক্যাম্পাসে, কখনো পার্কে আবার কখনো লাইব্রেরিতে বসে পড়ার ফাঁকে গল্প আড্ডায় মেতে থাকার স্মৃতি তাকে আচ্ছন্ন করে। তিনি মনে মনে ভাবেন, ইস! কোথায় হারিয়ে গেলো সেই সময়গুলো! আবার কি কখনো ফিরে আসবে! সেই সময় যদি আবার ফিরে আসতো! কিন্তু যে সময় যায় তা নাকি আর ফিরে আসে না। শুধু স্মৃতিপটে আঁকা থাকে।

এ মুহূর্তে দেশে ফেরাও সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিনই করোনার প্রকোপ বাড়ছে। উহান থেকে চীনের অন্যান্য অঞ্চলে খুব বেশি না ছড়ালেও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আরেফিন কবে দেশে ফিরতে পারবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। হঠাৎ করেই দেশের প্রতি তার টান ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। হোটেল কক্ষের বিছানায় শুয়ে সে অস্থির কণ্ঠে বলে, আমার এমন লাগছে কেন! সবকিছু এমন এলোমেলো হয়ে গেল কেন!

আরেফিন সারারাত ঘুমাতে পারেননি। নানারকম দুশ্চিন্তা ঘূর্ণিঝড়ের মতো তার মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে। উথাল পাতাল অবস্থা হয়েছে তার। মনের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন তিনি। ভয়ঙ্কর সেই যুদ্ধ! সেই যুদ্ধে তিনি হেরে গেছেন। ঝড়ে পড়া পাখির মতো বিধ্বস্ত হয়ে মরার মতো বিছানায় পড়ে আছে। এক পর্যায়ে রাজ্যের ঘুম তার ওপর জেঁকে বসে। তিনি সকালের নাশতা ধরার জন্য সাধারণত ঘড়িতে এ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। মনের বিধ্বস্ত অবস্থার কারণে সেটাও তিনি ভুলে যান। সকালের নাশতার সময় পেরিয়ে গেছে। রুম কিপার সকালে কয়েকবার কলিং বেল বাজায়। তারপর দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। তাতেও আরেফিনের কোনো সাড়া মেলে না। বেহুঁশের মতো তিনি ঘুমান। কোনো শব্দই তার কানে পৌছায় না। লয়-প্রলয় হলেও তিনি হয়তো কোনো কিছুই টের পাবেন না।

রুম কিপার আবার আরেফিনের কক্ষের সামনে আসে। আবারও সে কলিং বেল চাপে। তারপর দরজা ধাক্কায়। এরপরও যখন দরজা খুলছে না দেখে তার মনে সন্দেহ হয়। সে মনে মনে ভাবে, নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা হয়েছে। সে নিজের চাবি দিয়ে দরজা খোলে। একপা দুইপা করে কক্ষের ভেতরে ঢোকে। বিছানার দিকে তাকাতেই সে দেখে, আরেফিন একেবারে মরা লাশের মতো পড়ে আছেন। সে কক্ষটাকে ভালো করে দেখে। কোনো ড্রিঙ্কস করেছে কি না তা বোঝার চেষ্টা করে। না। সে রকম কোনো আলামত চোখে পড়েনি। কক্ষের কোনো কিছুই এলোমেলো হয়নি।
রুম কিপার বিড়ালের মতো গুটি গুটি পা ফেলে আরেফিনের কাছে এগিয়ে যায়। খুব সাবধানে নাকের কাছে হাত দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে কি না তা ভালো করে দেখে। তার ভেতরে এক ধরনের ভয়, শঙ্কা কাজ করে।

আরেফিন শ্বাস নিচ্ছেন টের পেয়ে রুম কিপার এক রকম লাফিয়ে ওঠে। স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে বলে, না না! কিছু হয়নি। জীবিতই আছে। সুস্থই আছে। সে সত্যিই ঘুমের ঘোরে ডুবে আছে। এটা নিশ্চিত হওয়ার পর রুম কিপার বের হয়। তবে তার মনের মধ্যে নানা প্রশ্ন বার বার উঁকি দেয়, মানুষ এমন বেঘোরে ঘুমাতে পারে! কি করে সম্ভব! সব মানুষই কি এমনভাবে ঘুমায়! ঘুমাতে পারে! তবে এটা ঠিক, একজন ঘুমন্ত মানুষ আর মরা লাশের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। কিন্তু আরেফিনকে মনে হচ্ছে যেন একটা জিন্দা লাশ!

চলবে...

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৯

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৮

বিষাদ বসুধা: পর্ব ৭

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৬

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৫

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৪

বিষাদ বসুধা: পর্ব-৩

বিষাদ বসুধা: পর্ব-২

বিষাদ বসুধা: পর্ব-১

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার